• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মায়ের চিকিৎসার অর্থ যোগাতে ক্রিকেটার শাহাদাতের আকুতি


ক্রীড়া ডেস্ক ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২১, ০৩:২৩ পিএম
মায়ের চিকিৎসার অর্থ যোগাতে ক্রিকেটার শাহাদাতের আকুতি

ফাইল ছবি

ঢাকা : একসময় জাতীয় দলের নির্ভরতার নাম ছিলেন শাহাদাত হোসেন রাজীব। ২০০৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেট দিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শাহাদাতের অভিষেক হয়েছিল। ক্রিকেটের এই মর্যাদার ফরম্যাটে দেশের হয়ে ৩৮ ম্যাচ খেলেছেন তিনি। এই ফরম্যাটে তার উইকেট সংখ্যা ৭২। 

বাংলাদেশি পেসারদের মাঝে তার উপরে আছেন কেবল মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। তার উইকেট সংখ্যা ৭৮টি। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ৫ উইকেট শিকার করে লর্ডসের অনার্স বোর্ডে নাম লিখিয়েছেন শাহাদাত। রঙিন পোশাকের ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে তিনি খেলেছেন ৫১ ওয়ানডে ও ৬ টি-২০। ওয়ানডেতে ৪৭ আর টি-২০তে ৪টি উইকেট নিয়েছেন এই পেসার।

এদিকে ক্যারিয়ারে নানা বিতর্কে জড়িয়ে এখন দেশের ক্রিকেটে বিস্মৃতপ্রায় তিনি। বাড়ির গৃহকর্মীকে মারার অভিযোগে বেশ বিপাকে পরার পর সতীর্থ আরাফাত সানি জুনিয়রকেও মারধর করেন এ ফাস্ট বোলার। শেষোক্ত কারণে তাকে ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞা (২ বছর স্থগিত) দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

বর্তমানে মায়ের চিকিৎসার অর্থ যোগাতে আবারো ক্রিকেটে ফিরতে চান তিনি। কিন্তু নিষেধাজ্ঞার এখনো প্রায় বছর দেড়েক বাকি। এদিকে মা ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন। এমতাবস্থায় মায়ের চিকিৎসার টাকা জোগানোর জন্য অন্য কোনো উপায় না পেয়ে যে করেই হোক ক্রিকেটে ফিরতে চাচ্ছেন এই পেসার।

এরইমধ্যে নিষেধাজ্ঞা কমাতে এরই মধ্যে বিসিবির কাছে আবেদন করেছেন শাহাদাত। তার বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি বোর্ড। তবে নিজের ভুলের জন্য অনুতপ্ত এবং ভবিষ্যতে আর কখনো এ ধরণের ভুল করবেন না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।

এ বিষয়ে শাহাদাত বলেন, সম্প্রতি আমার নিষেধাজ্ঞা কমাতে আমি বোর্ডের কাছে আবেদন করেছি। বাকিটা তাদের উপর নির্ভর করছে। ক্রিকেট ছাড়া আমি আর কোনো কাজ করতে জানি না। আমি আমার ভুলের জন্য সত্যিই অনুতপ্ত। বিসিবিকে জোর দিয়ে বলেছি যে, বোর্ড যদি আমার সম্পর্কে আর কখনো কোনো ধরনের অভিযোগ পায় তাহলে আমি আর আমার মুখ দেখাব না।

তিনি আরও বলেন, আমি মিরপুর গিয়ে নেট বোলার হিসাবে বল করছিলাম। আমি জানতাম না যে আমি বল করতে পারব না। হঠাৎ করে প্রধান কিউরেটর গামিনী ডি সিলভা আমাকে মাঠ ছেড়ে যেতে বলে। যখন আমাকে এ কথা বলা হয়েছিল তখন আমার চোখের জল ধরে রাখতে পারিনি। আমি ক্রিকেট নিয়েই সাথেই বাঁচতে চাই।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!