• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আর কারো অবস্থা যেন আমার মত না হয়


স্পোর্টস ডেস্ক মে ১২, ২০২১, ০৩:৩৯ পিএম
আর কারো অবস্থা যেন আমার মত না হয়

ঢাকা: মোহাম্মদ আমির, পাকিস্তান ক্রিকেটে বড় এক আক্ষেপের নাম। গত এক যুগে পাকিস্তানের ক্রিকেট মনে রাখার মতো যে ক’জন পেসার জন্ম দিয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম এই আমির। কিন্তু তার ক্যারিয়ারটা শেষ হয়েছে ভীষণ অপ্রীতিকর এক মুহূর্তকে সাক্ষী করে।

২০২০ সালের ডিসেম্বরে হঠাৎ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলে দেন আমির। বিদায়বেলায় রেখে যান একগাদা অভিযোগ। হেড কোচ মিসবাহ উল হক এবং বোলিং কোচ ওয়াকার ইউনুসের দেয়া ‘মানসিক যন্ত্রণা’ই মাত্র ২৭ বছর বয়সে অবসরে যেতে বাধ্য করেছে, জানান বাঁহাতি এই পেসার। যা নিয়ে আলোচনা ছিল পুরো ক্রিকেট বিশ্বেই।

মূলত ২০১৯ বিশ্বকাপের পরই টিম ম্যানেজম্যান্টের সঙ্গে সম্পর্কোবনতি ঘটে আমিরের। এত ব্যস্ত সূচির ধকল নিতে পারছেন না জানিয়ে টেস্ট ছেড়ে দেয়ার ঘোষণা দেন এই গতিতারকা। তার সে সিদ্ধান্ত ভালোভাবে নেয়নি ম্যানেজম্যান্ট, যার ফলশ্রুতিতে বাদ দেয়া হয় ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি দল থেকেও। অতঃপর আমিরের পক্ষ থেকে হঠাৎ অবসরের ঘোষণা।

নিজে অবসরে গেছেন, তবে পাকিস্তানের ক্রিকেটে আর কারো জীবনে যেন তার মতো অন্ধকার নেমে না আসে, সেই প্রার্থনাই আমিরের। দেশের ক্রিকেটকে বিদায় বলা কতটা কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল, জানালেন তিনি।

‘নিউজ১৮’কে দেয়া সাক্ষাৎকারে আমির বলেন, ‘নিজের প্রাণের দেশের খেলা থেকে অবসরে যাওয়া সহজ কাজ নয়। আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়ে অনেক ভেবেছি। যারা আমার কাছের মানুষ তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারপর সিদ্ধান্তটা নেই।’

পাকিস্তানের সাবেক এই গতিতারকা যোগ করেন, ‘যদি আমি সব বিস্তারিত বলতে যাই, সেই অধ্যায়গুলো আবার খুলতে যাই, এটা খুবই কুৎসিত ব্যাপার হবে। আশা করব আমাদের খেলোয়াড়রা, বিশেষ করে যারা তরুণ তাদের এমন কিছুর সামনে পড়তে হবে না, যেমনটা আমার বেলায় হয়েছে। আমি চাই না, আমাদের তরুণ খেলোয়াড়রা কোনো কষ্ট পেয়ে তাদের ক্যারিয়ার বিসর্জন দিক, যেমনটা আমি দিয়েছি।’

যে কোনো জায়গায় সম্মানটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। নিজের ক্যারিয়ারে প্রাপ্য সম্মানটা পাননি জানিয়ে আমির বলেন, ‘আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো সম্মান। আমার মনে হচ্ছিল, আমি প্রাপ্য সম্মানটা পাচ্ছি না। সেজন্যই আমি অবসরের সিদ্ধান্ত নেই। পাকিস্তান ক্রিকেটের দায়িত্বে যারা আছেন, তাদেরও তো নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। তাদের দায়িত্ব আছে, সিদ্ধান্ত নিতে হয়। আমারও সামনের দিকে এগোতে হবে। সবাইকেই এগিয়ে যেতে হবে। এই মুহূর্তে আমি নিজের জীবন নিয়ে খুশি আছি।’

সোনালীনিউজ/টিআই

Wordbridge School
Link copied!