• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কান্নাজড়িত কণ্ঠে জোকোভিচ বললেন ‘আমি পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী’


ক্রীড়া ডেস্ক সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২১, ০২:৫৯ পিএম
কান্নাজড়িত কণ্ঠে জোকোভিচ বললেন ‘আমি পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী’

ঢাকা: পুরুষ টেনিস ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি গ্র্যান্ড স্লাম একক শিরোপার মালিক হতে পারলেন না নোভাক জোকোভিচ। ৫২ বছরের মধ্যে প্রথম পুরুষ খেলোয়াড় হিসেবে বছরের সবগুলো গ্র্যান্ড স্লামের শিরোপাও জেতা হলো না। 

ইউএস ওপেনের ফাইনালে বিশ্বের এক নম্বর খেলোয়াড়কে কাঁদিয়ে প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপা জিতে নিলেন রুশ খেলোয়াড় দানিল মেদভেদেভ। বছরের শুরুতে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে জোকোভিচের বিপক্ষে সরাসরি সেটে হেরে মেজর শিরোপার অপেক্ষা দীর্ঘায়িত হয়েছিল মেদভেদেভের। সাত মাস পর ইউওস ওপেনের ফাইনালে সেই একই প্রতিপক্ষ পেয়ে সুযোগটা আর হাতছাড়া করলেন না এই রুশ তারকা। জোকোভিচকে হারটা ফিরিয়ে দিলেন ঠিক একইভাবে, সরাসরি সেটে।

নিউ ইয়র্কের ফ্লাশিং মিডোসে স্থানীয় সময় রোববারের ফাইনালে মেদভেদেভের জয় ৬-৪, ৬-৪, ৬-৪ গেমে। গ্র্যান্ড স্ল্যামে তৃতীয় ফাইনালে এসে শিরোপার স্বাদ পেলেন দ্বিতীয় বাছাই মেদভেদেভ। গত অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের আগে ২০১৯ সালের ইউএস ওপেনে রাফায়েল নাদালের বিপক্ষে হেরেছিলেন তিনি।

বছরের প্রথম তিনটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম অস্ট্রেলিয়ান ওপেন, ফরাসি ওপেন ও উইম্বলডন জিতে জোকোভিচ সম্ভাবনা জাগান ৫২ বছর পর প্রথম কোনো পুরুষ খেলোয়াড় হিসেবে ক্যারিয়ার গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের। সার্বিয়ান তারকা নিজেই বলেছিলেন, করতে পারলে এটা হবে তার ক্যারিয়ারের ‘সবচেয়ে বড় অর্জন।’

এর আগে দুবার বছরের তিনটি করে গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতেছিলেন জোকোভিচ, ২০১১ ও ২০১৫ সালে। হলো না এবারও। সবশেষ পুরুষ খেলোয়াড় হিসেবে ক্যারিয়ার গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের রেকর্ডটা রইল রড লেভারের কাছেই। ১৯৬৯ সালে এই কীর্তি গড়েছিলেন তিনি। 

দুই ঘণ্টা ১৫ মিনিট স্থায়ী লড়াইয়ের পুরোটা সময়ই দারুণ আত্মবিশ্বাসী দেখা গেছে মেদভেদেভকে। প্রথম দুই সেট জয়ের পরও তৃতীয় সেটের শুরুটা করেন আরও দুর্দান্ত, দুবার সার্ভ ব্রেক করে ৫-২ গেমে এগিয়ে যান তিনি। পরে জোকোভিচ একবার ব্রেক পয়েন্ট নেন। তবে তাকে কেবল ম্যাচের দৈর্ঘ্যই বাড়ে। ফলাফলে প্রভাব পড়েনি।

পিছিয়ে থাকার পরও জোমোভিচের সমর্থনে দর্শকরা চিৎকার করতে থাকে। দর্শকের এই ভালোবাসা তাকে ছুঁয়ে যায়। তার চোখ ভিজে যায়, তোয়ালে দিয়ে চোখ মুছে শেষ গেমের জন্য দাঁড়ান। তখনও তার চোখ ছিল সিক্ত।

ম্যাচ শেষে জোকোভিচের আবেগঘন কণ্ঠে জোকোভিচ বলেন, “যদিও আমি ম্যাচ জিতিনি, তারপরও আমি পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ। কারণ আজ এই কোর্টে আপনারা আমাকে খুব বিশেষ একজন হিসেবে তুলে ধরেছেন।”

“আপনারা আমার হৃদয় ছুঁয়েছেন। নিউ ইয়র্কে আমি কখনোই এমনটা অনুভব করিনি। আপনাদের ধন্যবাদ। ভালোবাসি সবাইকে।”

সোনালীনিউজ/এআর

Wordbridge School
Link copied!