• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

কোচের সিদ্ধান্তে ‘ক্ষুব্ধ’ মেসি


ক্রীড়া ডেস্ক সেপ্টেম্বর ২০, ২০২১, ০১:৪৪ পিএম
কোচের সিদ্ধান্তে ‘ক্ষুব্ধ’ মেসি

লিওনেল মেসি ও মাউরিসিও পচেত্তিনো। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা : দীর্ঘ ২১ বছর পর বার্সেলোনা ছেড়ে প্যারিস সেইন্ট জার্মেইয়ে (পিএসজি) পাড়ি জমিয়েছেন লিওনেল মেসি। তবে নতুন ক্লাবে তিন ম্যাচ খেলেও এখন পর্যন্ত গোলের দেখা পাননি মেসি। তৃতীয় ম্যাচেই কোচের ওপর নাখোশ দেখা গেছে মেসিকে।

নেইমার জুনিয়র, কিলিয়ান এমবাপে ও অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার সঙ্গে লিওনেল মেসিকে রেখে আক্রমণাত্মক দল সাজিয়েছিলেন মাউরিসিও পচেত্তিনো। কিন্তু ম্যাচের পুরোটা সময় খেলাননি মেসিকে, তুলে নেন ৭৬ মিনিটের সময়। আর কোচের এ সিদ্ধান্তটি পছন্দ হয়নি মেসির, যা স্পষ্টই বোঝা গেছে তার অভিব্যক্তিতে।

আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের হয়ে সবশেষ ম্যাচেও হ্যাটট্রিক করেছেন লিওনেল মেসি। কিন্তু নতুন ক্লাব পিএসজির হয়ে খেলা তিন ম্যাচে গোলের খাতা খুলতে পারেননি। গোল না পেলেও একাধিকবার গোলের সুযোগ তৈরি করেছেন।

রবিবার রাতে অলিম্পিক লিওর বিপক্ষে ঘরের মাঠের ম্যাচে স্বপ্রতিভ ছিলেন মেসি। পুরো ম্যাচের সর্বোচ্চ সুযোগ তৈরি করেছেন, লক্ষ্য বরাবর সবচেয়ে বেশি শটও নিয়েছেন তিনি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত গোলের দেখা পাননি।

ম্যাচের প্রথমার্ধে ডি-বক্সের বাইরে ফাউলের শিকার হন নেইমার, ফ্রি কিক পায় পিএসজি। প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে নেয়া ফ্রি কিকে মানব দেয়ালকে পরাস্ত করার পাশাপাশি গোলরক্ষক লোপেজকেও হার মানান মেসি। কিন্তু সেই শট প্রতিহত হয় ক্রসবারে।

প্রথমার্ধে আরও কিছু সুযোগ তৈরি করেছিলেন মেসি। বিশেষ করে ম্যাচের ৩২ মিনিটের সময় নেইমারের ব্যাক হিল থেকে বল পেয়ে দূরের পোস্টে শট নেন তিনি। আগেই ঝাঁপ দেয়া লোপেজ শেষ মুহূর্তে ঠেকিয়ে দেন সেই শট। এর আগে ম্যাচের শুরুর দিকে মেসির শট ব্লক করেন ডিফেন্ডার ডেনায়ার।

পরে দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের দলকে এগিয়ে দেয়ার দারুণ সুযোগ পেয়েছিলেন মেসি। ম্যাচের ৭৪ মিনিটের সময় নেইমারের সঙ্গে ওয়ান-টু-ওয়ান করে এগিয়ে গিয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেন তিনি। পরের মিনিটেই তাকে উঠিয়ে নেন পিএসজি কোচ মাউরিসিও পচেত্তিনো। তার জায়গায় নামান আশরাফ হাকিমিকে।

মাঠ ছাড়ার সময় হাকিমির সঙ্গে হাত মেলান ঠিকই, কিন্তু পচেত্তিনো হাত এগিয়ে দিলেও হাত মেলাননি মেসি।

মেসির সেই মুহূর্তের ছবি-ভিডিও নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। তাই ম্যাচ শেষে স্বাভাবিকভাবেই এ বিষয়ে প্রশ্ন রাখা হয় পচেত্তিনোর কাছে।

পচেত্তিনোর ভাষ্য, ‘সবাই জানে, আমাদের দলে সব দুর্দান্ত খেলোয়াড়রা আছেন। আমাদের স্কোয়াডে ৩৫ জন অসাধারণ খেলোয়াড় রয়েছে। সেখান থেকে আমাদের ঠিক করতে হয় কোন ১১ জন ম্যাচ শুরু করবে। এরপর ম্যাচ চলাকালীন সময়েও সিদ্ধান্ত নিতে হয়।’

তিনি বলেন, ‘কখনও কখনও সিদ্ধান্তগুলো কাজে লাগে, কখনও কখনও কাজে লাগে না। কিন্তু এ কাজগুলো করার জন্যই আমরা বেঞ্চের সামনে দাঁড়িয়ে থাকি এবং ভাবি যে কী করা উচিত। এসব সিদ্ধান্ত আপনাকে নিতেই হব, সেটায় ফল ভালো আসুক বা না আসুক; পছন্দ হোক বা না হোক।’

সোনালীনিউজ/এমটিআই

 

Wordbridge School
Link copied!