• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
ক্রিকেট দলের সাবেক কোচ

জালাল আহমেদ চৌধুরী আর নেই


ক্রীড়া ডেস্ক সেপ্টেম্বর ২১, ২০২১, ১২:৩৫ পিএম
জালাল আহমেদ চৌধুরী আর নেই

ফাইল ছবি

ঢাকা : না ফেরার দেশে চলে গেলেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক কোচ ও বরেণ্য ক্রীড়া লেখক জালাল আহমেদ চৌধুরী (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন)।

মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

বাংলাদেশের ক্রিকেটের গুণী এই কোচের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল। 

তিনি একাদারে ক্রিকেটার, আম্পায়ার, কোচ, লেখক, ক্রীড়া সাংবাদিক। কত পরিচয় তার। ক্রিকেটের ধ্রুপদী এক লেখক ছিলেন তিনি। যা লিখতেন তাই যেন অমৃত। সব ছাপিয়ে এখন তিনি আর দুনিয়ার কেউ নন। পরপারের বাসিন্দা হয়ে গেছেন। 

অসুস্থ হয়ে ক্রীড়াঙ্গনের সর্বজন শ্রদ্ধেয় জালাল আহমেদ চৌধুরী ধানমন্ডির আনোয়ার খান মর্ডান হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন গত ১৫ সেপ্টেম্বর। পরে তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। 

গত শুক্রবার রাত থেকে ছিলেন ভেন্টিলেশনে। ছিলেন আইসিইউতেও। ফুসফুসের সংক্রমণ ও শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগে শেষ পর্যন্ত চলেই গেলেন সর্বজন শ্রদ্ধেয় এই ব্যক্তিত্ব। মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে মারা গেছেন তিনি (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন)।

ফুসফুসজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন ৭০ ঊর্ধ্ব জালাল চৌধুরী। করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ ছিলেন। তিনি ভেন্টিলেশনে গেলেও আশায় ছিলেন সবাই। কিন্তু ফেরানো গেলো না তাকে। চলেই গেলেন চিরতরে। 

বিশিষ্ট এই ক্রিকেট কোচ রাজধানীর আজিমপুরে একটি ফ্ল্যাটে বসবাস করতেন একাই। তার সন্তানরা প্রবাসী। 

জালাল আহমেদ চৌধুরী সত্তর-আশির দশকে ক্রিকেট খেলেছেন। এরপর ক্রিকেট কোচিং করান। তার হাত ধরে দেশের অনেক শীর্ষ পর্যায়ের ক্রিকেটার তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশ ওয়ানডে ক্রিকেট দলের অধিনায়ক গাজী আশরাফ হোসেন লিপুও জালাল আহমেদ চৌধুরীর ক্রিকেটের ছাত্র ছিলেন। হাল আমলের মোহাম্মদ আশরাফুল-তুষার ইমরানরা তারই শিষ্য। ১৯৯৭ আইসিসি ট্রফি বিজয়ী দলটিও জালাল চৌধুরীর হাতেই গড়া।

ক্রিকেট খেলা ও কোচিংই নয়, ক্রীড়া সাংবাদিকতাও করেছেন জালাল চৌধুরী। দেশের পেশাদার ক্রীড়া সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন তিনি। বাংলা ও ইংরেজি দুই ভাষায় তার লেখার দক্ষতা ছিল অসাধারণ। সর্বজন শ্রদ্ধেয় এই মানুষটি সবাইকে শোকে ভাসিয়ে চলে গেলেন। রেখে গেলেন তার অনবদ্য সব শব্দমালা আর ভক্ত অনুরাগী।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!