• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সেই দুই ঘটনায় ড্রেসিং রুমে কান্নার রোল


ক্রীড়া ডেস্ক অক্টোবর ১৪, ২০২১, ১২:৩৬ এএম
সেই দুই ঘটনায় ড্রেসিং রুমে কান্নার রোল

ঢাকা : ৮৬ মিনিট পর্যন্ত ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ৮৭ মিনিটে উজবেক রেফারির পেনাল্টির এক বাঁশিই বাংলাদেশের স্বপ্ন ভেঙে দিল।

বক্সের মধ্যে নেপালের ফরোয়ার্ড পড়ে যান। উজবেকিস্তানের রেফারি পেনাল্টি দিয়ে দেন। পাশাপাশি ডিফেন্ডার বিশ্বনাথ ঘোষকে দেন হলুদ কার্ড। পেনাল্টি থেকে নেপালের অঞ্জন বিস্টা গোল করলে স্কোরলাইন হয়ে যায় ১-১।

আরও পড়ুন : রেফারি পক্ষপাতিত্ব করেছে : অস্কার ব্রুজন

এর মাধ্যমে বাংলাদেশের ১৬ বছর পর সাফ ফাইনাল খেলার স্বপ্নও শেষ হয়ে যায়। রেফারির শেষ বাঁশির সঙ্গে সঙ্গে মালে স্টেডিয়াম বাংলাদেশের ট্র্যাজেডিতে পরিণত হয়।

১৬ বছর পর দক্ষিণ এশিয়ার বিশ্বকাপ খ্যাত সাফ ফুটবলে ফাইনাল খেলার দ্বারপ্রান্তে ছিল বাংলাদেশ দল। রেফারির এক বিতর্কিত সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ ফাইনাল থেকে বঞ্চিত হলো।

আরও পড়ুন : নেপালের কাছেই ভাঙল সাফের স্বপ্ন

ম্যাচের পর ড্রেসিংরুমের অবস্থা সম্পর্কে উইঙ্গার রাকিব হোসেন বলেন, ‘সবাই কান্নাকাটি করছে।’ রেফারির সিদ্ধান্তটা বিতর্কিত হওয়ায় ফুটবলারদের কষ্টটা বেশি, ‘সিদ্ধান্ত সঠিক হলে এত খারাপ লাগতো না। সিদ্ধান্তটা আনফেয়ার হওয়ায় খুব খারাপ লাগছে।’

ম্যাচের ৭৮ মিনিটের পর থেকে বাংলাদেশ দল বিপাকে। বিপদের শুরুটা হয় রাকিবের মাধ্যমেই। নেপালের বক্স থেকে লম্বা বল দেন বাংলাদেশের বক্সের দিকে। নেপালের ফরোয়ার্ড ধরার আগে বাংলাদেশের গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো সামনে গিয়ে ক্লিয়ার করতে যান। ক্লিয়ার করার এক পর্যায়ে বল তার হাতে লাগায় রেফারি লাল কার্ড দেখান। বাংলাদেশ দশজনের দলে পরিণত হয়।

আরও পড়ুন : ফাইনালে সাকিবের কলকাতা

পরবর্তীতে নেপাল পেনাল্টিতে সমতা আনে, এতে বাংলাদেশের টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয়। রাকিবের এই লম্বা ব্যাকপাস না হলে ম্যাচের চিত্র ভিন্নও হতে পারতো। দুই কার্ডের জন্য রাকিব আগের ম্যাচে ছিলেন না। এই ম্যাচে অবশ্য শুরু থেকেই খেলেছেন। রাকিবকে করা ফাউল থেকে দশ মিনিটে ফ্রি-কিক পায় বাংলাদেশ। জামাল ভূঁইয়ার নেওয়া সেই ফ্রি-কিক থেকে সুমন রেজা গোল করেন।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!