• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

পিএসজির ‘দাসদের’ পেছনে অর্থ খরচ করবে না বার্সা


ক্রীড়া ডেস্ক মে ২৫, ২০২২, ০৮:১০ পিএম
পিএসজির ‘দাসদের’ পেছনে অর্থ খরচ করবে না বার্সা

ঢাকা: পিএসজি নেইমারকে ২২২ মিলিয়ন ইউরো দিয়ে কিনেছে। সঙ্গে আছে মোটা অঙ্কের বেতন। মেসির বেতনও আকাশ ছোঁয়া। এমবাপ্পেকে সর্বোচ্চ বেতনের লোভ দেখিয়ে ছিনতাই করে নিয়েছে। 

১০০ মিলিয়ন ইউরোর সাইনিং বোনাসও দিচ্ছে। দলবদলের আর্থিক ন্যায্যতা মানলে এসব কীভাবে সম্ভব মাথায় ঢোকে না বলে উল্লেখ করেছেন বার্সা প্রেসিডেন্ট হুয়ান লাপোর্তা। ফ্রান্স বলেই এসব সম্ভব বলে মন্তব্য করেন তিনি। 

এসময় পিএসজির তিন তারকাকে নিয়ে সাহসী মন্তব্যও করেছেন বার্সা প্রেসিডেন্ট। তার মতে, এই সব ফুটবলাররা অর্থের দাসত্ব স্বীকার করে পিএসজির সঙ্গে চুক্তি করেছে। টাকা থাকলে বার্সা তাদের পেছনে ঢালতো না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। 

নেইমারকে দলে নিতে চান কিনা এমন প্রশ্নে প্রচার মাধ্যম এল স্পোর্টিও ডি কাতালুনিয়াকে লাপোর্তা বলেছেন, ‘নেইমারকে কে-না পছন্দ করে? অসাধারণ খেলোয়াড় সে। কিন্তু পিএসজির সঙ্গে তার চার-পাঁচ বছরের চুক্তি আছে। মেসি-নেইমাররা পিএসজিতে বাধা পড়ে গেছে। এই সব ফুটবলার যারা পিএসজি’র সঙ্গে চুক্তি করেছে তারা অর্থের কাছে দাসত্ব স্বীকার করেই সই করেছে।’ 

বার্সা সভাপতি জানান, তারা সকলেই চেয়েছিলেন মেসি বার্সায় ক্যারিয়ার শেষ করুক। কিন্তু লা লিগার আর্থিক ন্যায্যতা নিশ্চিত করতে গিয়ে তা সম্ভব হয়নি। পিএসজি মেসির জন্য আকর্ষণীয় প্রস্তাব করেছিল। তার মতে, মেসি-নেইমার-এমবাপ্পের মতো তারকারা একবার আকর্ষণীয় ওই অর্থের ফাঁদে পা দিলে ইচ্ছে থাকলেও আর বের হতে পারে না। কারণ তাদের সঙ্গে মিলিয়ন মিলিয়ন অর্থের ব্যাপার-স্যাপার জড়িয়ে যায়। 

মেসি-নেইমারের বার্সায় ফেরার সম্ভাবনা নিয়ে তিনি বলেন, ‘নেইমার কি ফ্রিতে আসবে? তারা কোনদিন বার্সায় ফিরতে চাইলে তাদের ফ্রিতেই আসবে হবে। কারণ বার্সার আর্থিক অবস্থা ওই পর্যায়ে নেই যে, তাদের জন্য মোটা অঙ্কের অর্থ খরচ করবে। অর্থ থাকলে কি করতাম? না কিনতাম না, এটা অযৌক্তিক। এর বাইরে কোচ তাদের প্রজেক্টের অংশ মনে করবে কিনা সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। তবে খেলোয়াড় হিসেবে মেসি-নেইমার দু’জনকেই আমার খুব পছন্দ।’ 

কোনো নিয়ম-নীতি না মেনে পিএসজির অর্থ ঢালার বিষয়টির সমালোচনা করেছেন বার্সা প্রেসিডেন্ট। তার মতে, পিএসজি অর্থ দিয়ে ফুটবলারদের ছিনতাই করে নিচ্ছে, ক্লাব ফুটবলের বাজার ধ্বংস করছে, অসম্মান করছে। এটা ইউরোপিয়ান ফুটবলকে অস্থিতিশীল করে তুলবে, ‘পিএসজির পেছনে একটা রাষ্ট্র দাঁড়িয়ে আছে, তাদের অনেক টাকা আছে এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের নিয়মের বাইরে গিয়ে যা ইচ্ছে করে যাচ্ছে।’

সোনালীনিউজ/এআর

Wordbridge School
Link copied!