• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শিরোপা হাতে নিয়েই রিয়ালকে বিদায় মার্সেলোর


ক্রীড়া ডেস্ক মে ২৯, ২০২২, ০৩:৩৯ পিএম
শিরোপা হাতে নিয়েই রিয়ালকে বিদায় মার্সেলোর

ঢাকা: ব্রাজিল তারকা মার্সেলো যেন এই দিনটির জন্যই অপেক্ষা করছিলেন। অবশেষে সেই শুভক্ষণ এসেছে কাল রাতে। রিয়াল অভিযানের শুরুটা মার্সেলো করেছিলেন শিরোপা জিতে, শেষও করলেন শিরোপা জয়ে। 

প্যারিসের স্তাদ দে ফ্রান্সে লিভারপুলকে ১-০ গোলে হারিয়ে রিয়াল মাদ্রিদ নিজেদের ইতিহাসে চ্যাম্পিয়নস লিগের ১৪তম শিরোপা জয়ের পর মার্সেলো ঘোষণা দিয়েছেন-সান্তিয়াগো বার্নব্যুতে এটাই তার শেষ গ্রীষ্ম।

রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে সর্বোচ্চ শিরোপা জেতার রেকর্ড কদিন আগেই করেছেন মার্সেলো। লা লিগা জেতার পর এককভাবে চূড়ায় উঠেছিলেন। আর কাল সব মিলিয়ে ২৫তম শিরোপা জয় মার্সেলোর। রিয়াল অধিনায়ক অবশ্য ম্যাচ শেষেই বিদায়ের কথা বলেননি। 

চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের আনন্দের মুহূর্তটায় হয়তো বিদায়ের বিউগল বাজাতে চাননি মার্সেলো। ম্যাচ শেষে দলের সঙ্গে নেচে-গেয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ জয় উদ্‌যাপন করেছেন ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার।

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জানিয়েছেন নিজের অনুভূতির কথা, ‘আমার খুব আনন্দ হচ্ছে। এ মুহূর্তে আমার জন্য কথা বলাটা একটু কঠিন। আমি আমার পরিবার আর সতীর্থদের দেখতে পাচ্ছি এখানে। এ মৌসুম রিয়ালের যেমন কেটেছে, সেটা আমাদের প্রাপ্যই ছিল। আমার জন্য অদ্ভুত এক মুহূর্ত এটা। আমি পাঁচবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতলাম। আমার ক্যারিয়ারে এমন কিছু পাব বলে আমি কখনোই ভাবিনি।’

আরও একটি কারণে কালকের জয়টা অনন্য মার্সেলোর কাছে, ‘এটা খুব দারুণ মুহূর্ত। যখন আপনি দলের প্রথম অধিনায়ক, আপনি এই ট্রফি উঁচিয়ে ধরার স্বপ্ন দেখেন এবং রিয়াল মাদ্রিদের অধিনায়ক হিসেবে একমাত্র ব্রাজিলিয়ান হিসেবে চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছি আমি।’

মার্সেলো রিয়াল মাদ্রিদে নাম লিখিয়েছেন ২০০৭ সালে। সে বছর লা লিগা জিতে রিয়াল-অভিযান শুরু করেন তিনি। এরপর লা লিগা জিতেছেন পাঁচবার। প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপার স্বাদ পেয়েছেন ২০১৪ সালে। চারটি ক্লাব বিশ্বকাপও জিতেছেন ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার।

ক্যারিয়ারে এত শিরোপা জিতেছেন বলেই হয়তো এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের আনন্দটা তিনি তরুণদের মধ্যেই বেশি ছড়িয়ে দিতে চাইলেন। ম্যাচ শেষে মার্সেলো বলেছেন, ‘আমরা সবাই ঘাম ঝরিয়েছি। দলের জন্য দৌড়েছি, লড়াই করেছি। এ মুহূর্ত তরুণদের জন্য, যারা তাদের প্রথম ফাইনাল খেলল। তবে এই তরুণেরা সবাই এরই মধ্যে পরিণত। উন্মাদ এক মুহূর্ত এটা। আমরা সমর্থকদের অভিনন্দন জানাতে চাই, সব সময় তারা আমাদের পাশে ছিল।’

তিনি বলেন, ‘অনুভূতিটা খুব নিষ্ঠুর, রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে এটাই আমার শেষ ম্যাচ। কিন্তু আমি খুব খুশি। আজ মন খারাপের দিন নয়, আমি অনেক আনন্দ নিয়ে যাচ্ছি। বার্নাব্যুতে যে জাদুকরি রাতগুলো পেয়েছি, এর জন্য সমর্থকদের ধন্যবাদ।’ 

সোনালীনিউজ/এআর

Wordbridge School
Link copied!