• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ফুটবলার আঁখির বাবাকে হুমকি, সেই দুই পুলিশ ক্লোজড 


ক্রীড়া ডেস্ক সেপ্টেম্বর ২২, ২০২২, ০৮:২৪ পিএম
ফুটবলার আঁখির বাবাকে হুমকি, সেই দুই পুলিশ ক্লোজড 

ঢাকা:  জাতীয় নারী ফুটবল দলের খেলোয়াড় আঁখি খাতুনের বাবা আক্তার হোসেনকে হুমকির অভিযোগ ওঠে দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে। এরা দুজন সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর থানায় কর্মরত ছিলেন। 

বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম মৃধা।

তিনি বলেন, ফুটবলার আঁখির বাবার সঙ্গে অসদাচরণের ঘটনায় সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. মামুন হোসেন ও পুলিশ সদস্য আবু মুসাকে ক্লোজড করে সিরাজগঞ্জ পুলিশ লাইনসে পাঠানো হয়েছে।

ওসি আরও বলেন, আঁখিকে সরকার থেকে দেওয়া জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আদালত থেকে একটা নোটিশ থানায় এসেছিল। সেই নোটিশটি এএসআই মামুন আঁখির বাবার কাছে পৌঁছে দিয়ে রিসিভ করার সময় তার সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয়। পরে বিষয়টি নিয়ে বিভাগীয় তদন্ত হয়। তদন্ত শেষে দুই পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করা হয়েছে।

পরিবার সূত্র জানায়, সাফজয়ী জাতীয় নারী ফুটবল দলের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় আঁখি খাতুনের বাড়ি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার পারকোলা গ্রামে। সেখানে এক শতক জমির ওপর দোচালা একটি টিনের ঘরে তার বেড়ে ওঠ। সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে গোল্ডেন বুট জেতা এ ফুটবলারকে তিন শতক জমি উপহার দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু বিভিন্ন জটিলতার কারণে সে সময়ের দেওয়া জমি পাননি এই নারী ফুটবলারের পরিবার।

পুনরায় চলতি বছরের গত ৪ জুন সিরাজগঞ্জ অফিসার্স ক্লাবে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে আঁখির পরিবারের কাছে ৮ শতক জমির দলিল হস্তান্তর করেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব কবির বিন আনোয়ার। এই জমি নিয়ে আর সমস্যা হবে না, এমনটাই জানানো হয়েছিল আঁখির পরিবারকে। কিন্তু সম্প্রতি সেই জমি নিয়েও চলছে আইনি জটিলতা।

বৃহস্পতিবার দুপুরে আঁখির বাবা আক্তার হোসেন জানান, বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শাহজাদপুর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মামুনসহ কয়েকজন পুলিশ তার বাড়িতে আসেন। তারা বলেন, সরকারের দেওয়া আঁখির জমির ওপরে আদালত থেকে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। পরে এএসআই মামুন তাকে একটি কাগজে সই দিতে বলেন।

আক্তার হোসেন তাকে ইউএনও বা ডিসির সঙ্গে কথা বলতে বলেন। তখন আবারও সই চাইলে তিনি সই না দেওয়ায় তাকে কটূক্তি করেন পুলিশ কর্মকর্তা। শুধু তাই নয়, তাকে থানায় ধরে নিয়ে যাবে বলা হয়।

সোনালীনিউজ/এআর

Wordbridge School
Link copied!