ঢাকা: কাতারে আলবিসিলেস্তেদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত ছিল বিলাসবহুল হোটেল। কিন্তু পাঁচতারকা হোটেলে না উঠে মেসিদের নিয়ে কোচ স্কালোনি উঠলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রাবাসে! সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে কাতারে পা রেখেছেন লিওনেল মেসি ও তার দল।
বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) স্থানীয় সময় রাত আড়াইটার দিকে কাতারের রাজধানী দোহায় পৌঁছায় টিম আর্জেন্টিনা।
অন্য দলের ফুটবলাররা যখন কাতারের সেরা হোটেলগুলোতে থাকছেন, মেসিরা তখন সাধারণ ছাত্রাবাসে। গরুর মাংসের বারবিকিউ খাওয়ার জন্যই নাকি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে আর্জেন্টিনা দল-এমনটিই জানা গেছে।
আর্জেন্টিনার স্থানীয় খাবারগুলোর মধ্যে অন্যতম গরুর মাংসের বারবিকিউ। কাতারে প্রবেশের আগে টিম আর্জেন্টিনার কর্তৃপক্ষ জানতে পারে, হোটেলগুলোর তুলনায় ছাত্রাবাসে খোলা আকাশের নিচে দারুণ বিফ বারবিকিউ তৈরি হয়। এগুলোর স্বাদও তুলনামূলক ভালো। তাই ছাত্রাবাসে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মেসিরা।
অবাক করা বিষয় হল যাওয়ার সময় নিজেদের সঙ্গে ২৬৩০ কেজি গোমাংস নিয়ে গেছে আর্জেন্টিনা দল। প্রতিযোগিতা চলাকালীন যাতে খাবারের জোগানে কোনও সমস্যা না হয় তার জন্য আগে থেকেই তৈরি তারা। কোনও ঝুঁকি নিতে চায়নি মেসির দল।
বিশ্বকাপ শুরু হতে বাকি আর মাত্র এক দিন। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সব দল। কাতার বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে মেসিদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা যেখানে থাকেন সেখানেই থাকছেন মেসিরা।
খেলোয়াড়দের পুষ্টির জন্য মাংস জরুরি হলেও পরিমাণ এত বেশি কেন? আর্জেন্টিনার এক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, পরিমাণ দেখে বেশি মনে হলেও আর্জেন্টিনা দলটা অনেক বড়। সেখানে খেলোয়াড়, কোচিং দল, মেডিক্যাল দল রয়েছে। তাই মাংসের পরিমাণ বেশি। তা ছাড়া আর্জেন্টিনা দলের সঙ্গে রাঁধুনি নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এর অর্থ তারা নিজেরাই রান্নার বন্দোবস্ত করবে। তাই একটু বেশি করেই গোমাংস নিয়ে গিয়েছে তারা।
সোনালীনিউজ/এআর
আপনার মতামত লিখুন :