• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
বিশ্বকাপের ‘থিম সং’

১৯৬২ থেকে ২০২২ (ভিডিও)


ক্রীড়া ডেস্ক নভেম্বর ২০, ২০২২, ০১:৪৭ পিএম
১৯৬২ থেকে ২০২২ (ভিডিও)

শাকিরা ও রিক মার্টিনের মতো এবার কাতার বিশ্বকাপের থিম সংয়ে আসছেন বলিউডের নোরা ফাতেহি

ঢাকা : ফুটবল বিশ্বকাপে খেলার সঙ্গে ‘থিম সং’ নিয়েও আগ্রহের কমতি থাকে না। ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসরের অফিসিয়াল সাউন্ডট্র্যাক বা থিম সং প্রকাশ করে ফিফা। সেই গান কবে আসবে, কে বা কারা গাইবে, এ নিয়ে চলে জল্পনা-আলোচনা।

গত ৬০ দশকে ইতিহাসের পরতে পরতে ফিফার প্রকাশ করা বহু গানের সুর-ছন্দে ফুটবলকে নতুন করে ভালোবেসেছেন খেলাপ্রেমীরা। এমনকি বিশ্বকাপ আর ‘থিম সং’ সমান্তরাল জনপ্রিয়তায় এগিয়েছে।

১৯৩০ সালে বিশ্বকাপ শুরু হলেও ১৯৬২ সালে চিলির আসর দিয়ে শুরু হয় থিম সংয়ের চল। এরপর থেকে নিয়মিত বিশ্বকাপ আসর শুরুর আগে থিম সং প্রকাশ করে আসছে ফিফা। সাধারণত ফুটবল নিয়ে উন্মাদনা বাড়াতেই ফিফার এই আয়োজন, তবে থিম সংয়ের বিল্পবের শুরু ১৯৯৮ সালে।

সে সময়ে গতানুগতিক ধারা থেকে বেরিয়ে থিম সংয়ের জন্য বেছে নেওয়া হয় লাতিন গায়ক রিকি মার্টিনকে। রিকির ‘কোপা দে লা ভিদা’ গানটি মুক্তির সঙ্গে সঙ্গেই মার্কিন মিউজিক চার্টের শীর্ষে চলে আসে।

তারপর বিশ্বকাপ মাতিয়েছেন শাকিরার মতো তারকারাও; এবার বলিউড তারকা নোরা ফাতেহিও আছেন থিম সংয়ের মিউজিক ভিডিওতে।

১৯৬২: ‘এল রক দেল মুন্দিয়াল’

‘এল রক দেল মুন্দিয়াল’ গানটি বিশ্বকাপ ইতিহাসের প্রথম অফিসিয়াল থিম সং। সেবার ছিল বিশ্বকাপের সপ্তম আসর আর ফিফার অফিসিয়াল থিম সং শুরুর বছর। লাতিন আমেরিকার দেশ চিলির ওই বিশ্বকাপে সেবার পারফর্ম করেছিল চিলির ব্যান্ড দ্য র‌্যাম্বলার্স ও আর্জেন্টিনার গায়ক হোর্হে রয়াস। এখনকার দিনের থিম সংগুলোর মতো এতটা জনপ্রিয়তা অবশ্য সেই গানটি পায়নি। তবে স্প্যানিশ ভাষায় রচিত ‘এল রক দেল মুন্দিয়াল’ বিশ্বকাপের প্রথম থিম সং হওয়ায় ইতিহাসের অংশ হয়ে আছে।  

 ১৯৬৬: ‘ওয়ার্ল্ড কাপ উইলি’

লনি ডোনেগানের গাওয়া ‘হি ইজ ওয়ার্ল্ড কাপ উইলি, উই অল লাভ হিম’ বিশ্বকাপ ফুটবলের দ্বিতীয় থিম সং। ‘উইলি’ হল একটি সিংহশাবক, বিশ্বকাপের প্রথম ‘মাসকট’। এই শাবককে কেন্দ্র করে ১৯৬৬ সালে তৈরি হয়েছিল বিশ্বকাপ ফুটবলের দ্বিতীয় থিম সং। সেবার বিশ্বকাপ মাঠে গড়ায় ইংল্যান্ডে। শিল্পী লনি ডোনেগানের গাওয়া ‘হি ইজ ওয়ার্ল্ড কাপ উইলি, উই অল লাভ হিম’ গানে লাল-সাদা-ধূসর বর্ণের উইলি এবং ফুটবল দুটোই নজর কাড়ে। সেবার চ্যাম্পিয়নও হয় ইংল্যান্ড।

১৯৭০:  ফুটবল মেক্সিকো ৭০
 

‘ফুটবল মেক্সিকো ৭০’ শিরোনামের গানটি পারফর্ম করে লস এরমানস সাভালা (সাভালা ভ্রাতৃদ্বয়)। সেবারে মেক্সিকোর মাটিতে অনুষ্ঠিত হয় ফুটবল বিশ্বকাপ। এই থিম সংটির রচয়িতা ছিলেন রবার্তো দো নাসামিন্তো। দেশটির সঙ্গীত ঐতিহ্যের ছোঁয়ায় ‘ফুটবল মেক্সিকো ৭০’ শিরোনামের গানটি ফারফর্ম করে সাভালা ভাইয়েরা। ফুটবল কিংবদন্তি পেলের সেটি ছিল শেষ বিশ্বকাপ।

১৯৭৪: ফুটবল
 

১৯৭৪ সালে জার্মানির মারিলা রডোউইচ গেয়েছিল ‘ফুটবল’ গানটি। তৎকালীন পশ্চিম জার্মানিতে ১৯৭৪ সালে বসে ফুটবল বিশ্বকাপের আসর। ওই আসরের থিম সংয়ে প্রথম কোন নারী সংগীত শিল্পী কণ্ঠ। তিনি হলেন জার্মানির মারাইলা রডোভিচ।  ‘ফুটবল’ শিরোনামের গানটি স্পেনিশ, রুশ, ইংরেজি, পোলিশ ও জার্মান-মোট পাঁচটি ভাষায় গানটি গাওয়া হয়। গানটি লিখেন পোল্যান্ডের বিখ্যাত কবি ও গীতিকার জোনাস কোফতার।

 ১৯৭৮: এল মুন্দিয়াল
 

‘মুন্দিয়াল’ সাউন্ডট্র্যাকের রূপকার ইতালিয়ান কম্পোজার এনিও মরিকোন। থিম সংয়ে ফিফা বিরতি টানে ১৯৭৮ সালে। সেবারে গানের বদলে একটি সাউন্ডট্র্যাক প্রকাশ করে ফিফা। ইতালিয়ান কম্পোজার এনিওমরিকোন তৈরি করেন ওই সাউন্ডট্র্যাকটি।  যার শিরোনাম ছিল ‘মুন্দিয়াল’। বেহালার সুরে ওই সাউন্ডট্র্যাকটি তৈরি করেন আর্জেন্টিনার বিখ্যাত অর্কেস্ট্রা কোম্পানি বুয়েন্স আয়ার্স মিউনিসিপল সিম্ফনি। সেবারে প্রথামবারের মতো বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয় আর্জেন্টিনা।

১৯৮২: মুন্দিয়াল ‘৮২
 

প্ল্যাসিডো ডোমিংগোর গান ‘মুন্দিয়াল ’৮২’। সেবার স্বাগতিক দেশ ছিল স্পেন। স্পেনিশ ভাষার ‘মুন্দিয়াল ’৮২’ গানটি বিশ্বকাপের জনপ্রিয় থিম সংগুলোর তালিকায় জায়গায় করে নেওয়া গানগুলোর একটি। গেয়েছিলেন জনপ্রিয় স্পেনিশ গায়ক প্ল্যাসিদো দোমিংগো। ওই গানে স্পেনের সংস্কৃতির নানা ঐতিহ্য তুলে ধরা হয়।

 ১৯৮৬: এল মুন্দো উনিডো পর ইউএন ব্যালন
 

‘এল মুন্দো উনিডো পর ইউএন ব্যালন’ গানটিতে জড়িয়ে আছেন আর্জেন্টাইনদের বিশ্বকাপ জেতার স্মৃতি। ফুটবলে বিশ্বে দ্বিতীয়বারের মতো শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে আর্জেন্টিনা ১৯৮৬ সালে। গানটি লিখেছিলেন মেক্সিকান কম্পোজার হুয়ান কার্লোস আবারা। আর কণ্ঠ দিয়েছিলেন ব্রিটিশ সংগীত শিল্পী এবং মঞ্চ অভিনেত্রী স্পেফানি লরেন্স।

১৯৯০: আনস্তেত ইতালিয়ানা
 

১৯৯০ সালের বিশ্বকাপের থিম সং ‘আনস্টেট ইতালিয়ানা’ গানটি গেয়েছিলেন দুই সংগীতলিল্পী জিয়ানা নান্নিনি ও এদুয়ার্দো বেনেতো। গানটি লিখেছেনও দুই গীতকাল মিলে। তারা হলেন ইতালিয়ান গিওর্গিও মরোদোর ও মার্কিন টম হুইটলক। কথা ও সুরে উদ্দীপনার জন্য গানটিকে সে সময়ে অনুপ্রেরণাদায়ী আখ্যা দেওয়া হয়েছিল।

১৯৯৪: গ্লোরিল্যান্ড
 

যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের থিম সং হল ‘গ্লোরিল্যান্ড’। গানটি পরিবেশন করেছিলেন ড্যারিল হল ও সাউন্ডস অব ব্ল্যাকনেস। প্রথমবারের মতো এই গানটির রেকর্ডও বের করেছিল ফিফা। স্যাক্সোফোনের ব্যবহারে এই থিম সংটি আগের অন্য সব গান থেকে আলাদা করে তোলে।

১৯৯৮: ‘কোপা দে লা ভিদা’
 

রিকি মার্টিনের ‘কোপা দে লা ভিদা’ গানের পর থেকে ফুটবল বিশ্বকাপে গানের উন্মাদনা শুরু। সেবার আসর বসেছিল ফ্রান্সে। বিশ্বকাপের অন্যতম স্মরণীয় ও জনপ্রিয় গানগুলোর একটি ‘কোপা দে লা ভিদা’। বিশ্বকাপের ইতিহাসে নতুন ধারার প্রথম অফিসিয়াল থিম সং হল এই গান। পুয়ের্তোরিকোর আইকনিক সংগীতশিল্পী রিকি মার্টিন নেচে গেয়ে তুমুল হুল্লোড় তুলে ওই গানটি গেয়ে বিশ্বকাপের থিম সংকে করে তোলেন ব্র্যান্ড, নিজেও বনে যান তারকা। মুক্তি পাওয়ার পরপরই গানটি জনপ্রিয় হয়ে যায় পুরো বিশ্বে।  ‘কোপা দে লা ভিদা’ গেয়ে সে বছর গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডেও পারফর্ম করে এই পপ তারকা। গানের ‘গোল, গোল, গোল,  আলে আলে আলে’ পংক্তিটি এখনওউদ্দীপনা ছড়ায়। বলা হয় এই গানটি দিয়েও থিম সং ইস্যুতে আলোড়ন শুরু হয় বিশ্বে।

২০০২: বুম
 

ওই বছরে প্রথম দ্বি-জাতি বিশ্বকাপের আয়োজন হয়। এশিয়ায়ও প্রথম বসে বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসরটি। দুই দেশ জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার আয়োজনে ২০০২ সালের বিশ্বকাপে ফিফার আনুষ্ঠানিক এই থিম সংটি গেয়েছিলেন মার্কিন সংগীত শিল্পী অ্যানাস্টাসিয়া। গানটির মিউজিক ভিডিও তৈরি করে মার্কোসন সিয়েগা। গানটির লিরিকে শ্রোতাদের হাল না ছেড়ে এগিয়ে যাওয়ার উৎসাহ দেওয়া হয়।

২০০৬: দ্য টাইম অব আওয়ার লাইভস
 

মার্কিন গায়িকা টনি ব্র্যাক্সটন এবং ইতালিয়ান ইল ডিভো (ভোকাল গ্রুপ)এর পরিবেশানায় ‘দ্য টাইম অব আওয়ার লাইভস’ পায় শ্রোতারা ২০০৬ সালের জার্মানি বিশ্বকাপে। ‘দ্য টাইম অব আওয়ার লাইভস’র গীতিকার সুইডিশ-জার্মান গীতিকবি জর্ডেন এলোফসন। গানের প্রযোজনায় ছিলেন স্টিভ ম্যাক। গানের মিউজিক ভিডিওটি পরিচালনা করেনন নাইজেল ডিক, ভিডিওটি ধারণ করা হয় একটি ফুটবল মাঠে।

২০১০: ওয়াকা ওয়াকা (দিস টাইম ফর আফ্রিকা)
 

বিশ্বকাপের প্রথম আসর বসল আফ্রিকায়, আর থিম সংয়ে মাতিয়ে তুললেন কলম্বিয়ান পপ তারকা শাকিরা। ‘ওয়াকা ওয়াকা’ অনেকের কাছেই বিশ্বকাপের সেরা স্মরণীয় গান। ফিফার ভাবনা ছিল থিম সংয়ে আয়োজক দেশের ঐতিহ্য ফুটিয়ে তোলা হবে। বেছে নেওয়া হয় শাকিরাকে। সোনালি রেশমি চুলের এই তারকা ছন্দময় নাচের সাথে ‘ওয়াকা ওয়াকা’ গেয়ে ঝড় তুলে রাতারাতি মাতিয়ে দেন বিশ্ব। গানের লেখকও ছিলেন শাকিরাই। তবে গান তৈরিতে শারিকার সঙ্গে যুক্ত হন আফ্রিকান ব্যান্ড ‘ফ্রেশলিগ্রাউন্ড’। শাকিরা আর ফ্রেশলিগ্রাউন্ডের হাত ধরে তৈরি হয় ২০১০ সালে ফুটবলের থিম সং ‘ওয়াকা ওয়াকা।‘ এতদিন পেরিয়েও যে গানের জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েনি।

২০১৪: উই আর ওয়ান
 

বিশ্বকাপের ২০১৪ সালের আসরকে ব্রাজিল স্বাগত জানায় ‘উই আর ওয়ান’ থিম সং দিয়ে। গানটি রচিত  স্পেনিশ, পর্তুগিজ ও ইংরেজি ভাষায়। আর গেয়েছিলেন মার্কিন গায়ক পিটবুল, জেনিফার লোপেজ ও ক্লদিয়া নিরেট।

২০১৮: লিভ ইট আপ
 

রাশিয়ার মাটিতে বিশ্বকাপের পর্দা ওঠে ২০১৮ সালে। সনি মিউজিকের প্রযোজনায় ‘লিভ ইট আপ’ গানটি ইংরেজি, স্প্যানিশ ও রুশ এই তিন ভাষায় কণ্ঠ দিয়েছেন শিল্পীরা। গানের পরিবেশনায় দেখা গেছে মার্কিন শিল্পী নিকি জ্যাম, উইল স্মিথ, ইরা ইসত্রেফি ও ডিপলোকে। এই গানের মিউজিক ভিডিওতে আগের কয়েক বিশ্বকাপের বিভিন্ন মুহূর্ত ধরা হয়েছে।

২০২২: হায়া হায়া (বেটার টুগেদার)

কাতার বিশ্বকাপের থিম সং হিসেবে গত এপ্রিলে ফিফা প্রকাশিত প্রথম অফিসিয়াল সাউন্ডট্র্যাকটির শিরোনাম ‘হায়া হায়া (বেটার টুগেদার)। এ বিশ্বকাপের অফিসিয়াল সাউন্ড ট্র্যাকের মোট তিনটি গান প্রকাশ হয়েছে।

চলতি বছরের এপ্রিলে প্রকাশিত হয় প্রথম অফিসিয়াল সাউন্ডট্র্যাক, যার নাম ‘হায়া হায়া (বেটার টুগেদার)। গানটি তৈরি করা হয় তিন সংগীতশিল্পীকে নিয়ে। মার্কিন গায়ক ত্রিনিদাদ কার্দোনা, জাপানি গায়িকা আইশা এবং নাইজেরিয়ান বংশোদ্ভুত  মার্কিন গায়ক ডেভিড আদেদেজি-তিন ঘরানার এই তিনজন মিলে গানটি করেছেন।
 

‘হায়া হায়া’ প্রকাশের চার মাসের মাথায় ফিকা প্রকাশ করে ‘আরবো’ গানটি। পুয়ের্তোরিকান শিল্পী ওজুনা এবং কঙ্গো বংশোদ্ভূত ফরাসি র‌্যাপার গিমস। প্রকাশের পর সমালোচক ও শ্রোতাদের কাছ থেকে বেশ ভালোই সাড়া পেয়েছে গানটি, অনেকেই গানটিকে বলছেন এই বিশ্বকাপের সবচেয়ে ভালো গান।
 

ফিফা তৃতীয় চমক নিয়ে হাজির হয় হত ৭ অক্টোবর। প্রকাশ পায় বিশ্বকাপের অফিসিয়াল তৃতীয় সাউন্ডট্র্যাক ‘লাইট ইন দ্য স্কাই’। বলিউড মাতানো  মরোক্কান বংশোদ্ভূত নৃত্যশিল্পী নোরা ফাতেহি আর সংগীতের এক ঝাঁক নারী সেলিব্রেটি মিলে তৈরি করেছেন গানটি। নোরা ছাড়াও আরবীয় গানের সুরে সাউন্ডট্র্যাকটি আছেন আমিরাতের বালকিস, ইরাকি শিল্পী রাহমা রিয়াদ এবং মরক্কোর গীতিকার ও শিল্পী মানাল বেঞ্চলিখা। গানটির প্রযোজনা করেছে রেডওয়ান। ২০১০ সালের ফুটবল বিশ্বকাপের তুমুল জনপ্রিয় গান ‘ওয়াকা ওয়াকা’ তারাই প্রযোজনা করেছিল। ইংরেজি, হিন্দি ও মরোক্কনা ভাষার থিম সংকে একটি অনুপ্রেরণামূলক গান হিসেবে বর্ণনা করে রেডওয়ান বলেছে, গানটি সব বয়সের ফুটবলপ্রেমী ও সংগীতপ্রিয় মানুষের মধ্যে মেলবন্ধন ঘটাবে। সূত্র : বিডিনিউজ

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!