• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

এক কেজি আমের দাম ৩ লাখ টাকা, বাগান পাহারায় কুকুর!


নিউজ ডেস্ক জুন ২০, ২০২১, ১০:৪০ পিএম
এক কেজি আমের দাম ৩ লাখ টাকা, বাগান পাহারায় কুকুর!

ঢাকা : জাপানি প্রজাতির এ আমের নাম মিয়াজাকি। এক-একটির ওজন সর্বোচ্চ ৩৫০ গ্রাম। সে হিসাবে একটি আমের দামই এক লাখ টাকা!

১০০ গ্রামের কম সাইজের এক একটি আমের দাম পড়ে ১৫-২০ হাজার টাকা।

এ নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আনন্দবাজার পত্রিকা।

খবরে বলা হয়, ভারতের মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুর এলাকার আলোচিত মাত্র দুই গাছের এ আমবাগান  পাহারায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ছয় সশস্ত্র রক্ষী ও চার জার্মান শেফার্ড!

বাগানের মালিক জব্বলপুরের দম্পতি রানি এবং সঙ্কল্প পরিহার বলেন, আম দেখতে এবং কিনতে প্রতিদিনই ভিড় পড়ে। কিন্তু এই আম কাউকে বিক্রি করবেন না তারা। বরং আমের বীজ থেকে গাছের সংখ্যা আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে তাদের। বর্তমানে মাত্র দুটি গাছ রয়েছে তার বাগানে।

জাপানি ভাষায় এ আমকে ‘তাইয়ো-নো-তামাগো' বলেও ডাকা হয়। যার অর্থ সূর্যের ডিম। সে দেশে ফলন হওয়া এ আম বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফল হিসাবে বিবেচিত। বিশেষ প্রজাতির এ আমের রং একেবারে গাঢ় লাল বা বেগুনি ধাঁচের। জাপানের কিয়ুশু প্রিফেকচারের মিয়াজাকি শহরে মূলত পাওয়া যায় এই আম। শহরের নামেই হয়েছে আমের নামকরণ।

আমটি দেখতে অনেকটা ডায়নোসরের ডিমের মতো। জাপানে দামি উপহার হিসাবে দেওয়া হয় এই আম। মিয়াজাকির তুলনা টানা হয় দামি পাথর চুনির সঙ্গে। গুণ ও স্বাদের কারণেই আমটি এত মূল্যবান ফল হিসাবে জায়গা করে নিয়েছে। অন্য আমের তুলনায় এতে শর্করার পরিমাণ ১৫ শতাংশ বেশি। যে কারণে, এটি বেশ মিষ্টি।

জাপানে মিয়াজাকি আমের ফলন হয় সাধারণত এপ্রিল থেকে আগাস্টের মধ্যে। আমগুলো অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর। এর মধ্যে রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন ও ফলিক অ্যাসিড। এটি ক্যান্সার প্রতিরোধক। দৃষ্টিশক্তির সমস্যায় এই আম ভীষণ উপকারী। কলেস্টোরেলের মাত্রা কমায়। হিটস্ট্রোক প্রতিরোধ করে। ত্বকের জন্যেও বেশ উপকারী। বাড়ায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও ।

১৯৮৪ সাল থেকে জাপানে এই আমের চাষ শুরু হয়। দুজন জাপানি কৃষক এ আম উৎপাদন শুরু করেন। এরপর বাণিজ্যিক সাফল্যের জন্য রীতিমতো গবেষণা চালাতে থাকেন। জাল দিয়ে আম গাছকে সুরক্ষিত করার উপায় তারাই উদ্ভাবন করেন। পরবর্তী সময় আম চুরি হওয়া থেকে নিষ্কৃতি পেতে তারা পাহারাদার নিয়োগের ব্যবস্থা করেন।

উষ্ণ আবহাওয়া, দীর্ঘ সময় এবং যথষ্টে পরিমাণ বৃষ্টি-এই তিনের সমন্বয়ে দারুণ ফলন হয় মিয়াজাকির। জাপানের পরই থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন ও ভারতে এ আমের চাষ শুরু হয়েছে। ঢাকার জাফরাবাদ এলাকাতেও ওমর ফারুক ভুঁইয়া নামের এক ব্যক্তি তার ছাদ বাগানে মিয়াজাকি চাষ শুরু করেছেন।  সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা, ইন্ডিয়া টুডে, এএনআই

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!