• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

মহিলারা ‘সেক্স স্লেভ’ ছাড়া কিছুই নয় 


সোনালীনিউজ ডেস্ক ডিসেম্বর ৪, ২০১৯, ০২:২৬ পিএম
মহিলারা ‘সেক্স স্লেভ’ ছাড়া কিছুই নয় 

তাসলিমা নাসরিন-প্রিয়াঙ্কা রেড্ডি

ঢাকা : হায়দরাবাদে প্রিয়াঙ্কা রেড্ডির নামে এক তরুণ চিকিৎসককে নৃশংসভাবে ধর্ষণ ও পরে লাশ পুড়িয়ে ফেলার ঘটনায় জ্বলছে গোটা ভারত।  বিভিন্ন প্রান্তে হচ্ছে প্রতিবাদ। এমনকি এই ইস্যুতে উত্তাল হয়ে ওঠে সংসদও। একাধিক সাংসদ ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিৎ বলে মনে করেছেন। এই পরিস্থিতিতে ধর্ষণকে সমূলে উপড়ে ফেলার বার্তা দিলেন বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন।

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) এই প্রসঙ্গে ট্যুইট করেন তসলিমা।  তাঁর মতে, ধর্ষকদের মেরে কোনও লাভ নেই।  সবার আগে পিতৃতান্ত্রিক শিক্ষাকেই শেষ করতে হবে। তিনি লিখেছেন, ‘পিতৃতান্ত্রিক শিক্ষা শেখায় যে মহিলারা মহিলারা নিকৃষ্ট প্রজাতির। শুধু সেক্স অবজেক্ট ছাড়া আর কিছুই নয়।’

তসলিমা আরও বলেন, যৌনবৃ্ত্তিকে আইনি তকমা দিয়ে একথা আরও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে যে পুরুষের কাছে মহিলারা সেক্স স্লেভ ছাড়া কিছুই নয়। সুতরাং মহিলাদের ধর্ষণ করা বা অত্যাচার করা অস্বাভাবিক কিছু নয়।

হায়দরাবাদে পশু চিকিত্সক ওই তরুণীকে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় উত্তাল হয় সংসদের উভয়কক্ষ। সোমবার রাজ্যসভায় নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন সমাজবাদী পার্টির সাংসদ তথা অভিনেত্রী জয়া বচ্চন। তিনি বলেন, ধর্ষকদের আমজনতার হাতে তুলে দেওয়া হোক। মানুষই ওদের পিটিয়ে প্রকাশ্যে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দিক। জয়ার সেই দাবিকে সমর্থন করেছেন এরাজ্যের তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী, বিজেপি এমপি রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ও।

যাদবপুরের সাংসদ মিমি টুইট করে জানান, “তাঁর (জয়া বচ্চন) মন্তব্যকে সমর্থন জানাচ্ছি। আমার মনে হয় না, নিরাপত্তা দিয়ে ধর্ষকদের আদালতে নিয়ে যাওয়ার দরকার আছে বা বিচারের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।” তাঁর আরও মন্তব্য, সব মন্ত্রীদের কাছে অনুরোধ করছি, এমন কঠোর আইন আনা প্রয়োজন, ধর্ষণ করার আগে ১০০ বার ভাবা উচিত। এমনকি মেয়েদের দিকে খারাপ উদ্দেশ্যে তাকাতে ভয় পায়।

তেলঙ্গানায় গত বুধবারের এই ঘটনায় শিউরে উঠেছে গোটা দেশ। গত কাল ২৬ বছরের ওই তরুণীর আধপোড়া দেহাংশ উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে সাইবারাবাদ পুলিশ। মহম্মদ আরিফ (২৬), জল্লু শিবা (২০), জল্লু নবীন (২০) এবং চিন্তকুন্ত চেন্নাকেশভুলু (২০) নামে এই চার জনই ট্রাকের কর্মী। তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় খুন, ৩৭৫ ধারায় ধর্ষণ ও ৩৬২ ঝারায় অপহরণের অভিযোগ আনা হয়েছে।

হায়দরাবাদ গণধর্ষণকাণ্ডের প্রতিবাদে সোমবার দিল্লির যন্তরমন্তরে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়। কালো ব্যান্ড এবং ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ দেখান অনেকে। এদিনও কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন অনেক পড়ুয়া।

সোনালীনিউজ/এএস

Wordbridge School
Link copied!