• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
গড় আয়ু ৭০ বছর

মা-শিশুমৃত্যুর হার হ্রাস


নিজস্ব প্রতিবেদক মে ৩, ২০২১, ০১:৩৯ পিএম
মা-শিশুমৃত্যুর হার হ্রাস

ঢাকা : বাংলাদেশের মানুষের বর্তমান গড় বয়স ৭০ বছর। স্বাধীনতার ৫০ বছরে মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে ২৪ দশমিক ৫ বছর। এ সময়ে উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে মা ও শিশুমৃত্যুর হার। মৌলিক চিকিৎসা, সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূলের মাধ্যমে মানুষের আয়ু বৃদ্ধির সঙ্গে মা ও শিশুর মৃত্যু অনেকাংশে রোধ হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে রোববার (২ মে) এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় এসব বলেন সংস্থাটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

অধ্যাপক নাসিমা বলেন, স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু অনেক বেড়েছে। কমেছে শিশুমৃত্যুর হার। টিকাদান কর্মসূচির আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি মিলেছে। স্বাস্থ্যের অবকাঠামো উন্নয়ন হয়েছে অনেক। স্বাধীনতা অর্জনের প্রাক্কালে দেশের মানুষের গড় আয়ু ছিল ৪৬ দশমিক ৫। ১৯৯৬ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৬২ দশমিক ২। বর্তমানে তা আরো বেড়েছে। এটা আমাদের দেশের বড় অর্জন।

১৯৭১ সালে শিশুমৃত্যুর হার প্রতি হাজারে ছিল প্রায় ২০০-এর কাছাকাছি। এটা বর্তমানে কমে প্রতি হাজারে ৫০-এর নিচে এসেছে। যেভাবে কমে আসছে, এই ধারা অব্যাহত থাকলে আমাদের এসডিজি লক্ষ্যমাত্রায় ২০৩০ সালে পৌঁছাতে পারব।

মাতৃমৃত্যুর হার কমিয়ে আনা প্রসঙ্গে বলেন, গত বছরের ডিসেম্বরে প্রতি হাজারে ৪০০ জন মা সন্তান জন্ম দেয়ার সময় মারা যেতেন। তা কমে বর্তমানে ২০০-এর নিচে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। অপুষ্টি হ্রাস পেয়েছে। আমরা প্রতিটি ধাপে উন্নতি লাভ করেছি। ১৯৯৬ সালে শতকরা ২১ শতাংশ শিশু পুষ্টিহীনতা নিয়ে জন্মগ্রহণ করত। তা কমে বর্তমানে ৮ শতাংশে নেমেছে।

গ্রামের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে সরকার কাজ করছে। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে মাঠ পর্যায়ের মানুষের সেবা দেওয়া হচ্ছে। দেশের সব মানুষের সেবা নিশ্চিতে ইউনিয়ন পর্যায়ে স্বাস্থ্য ক্লিনিক তৈরি হয়েছে। সেসব ক্লিনিকে বহির্বিভাগ ও অন্তবিভাগে সেবা দেওয়া হচ্ছে। ছুটির দিনেও এসব সেবা দেওয়া হয়। দেশে চিকিৎসার প্রসার বেড়েছে। এখন আর আমাদের বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হয় না। বাংলাদেশে সব ধরনের চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। দেশীয় চিকিৎসার প্রতি মানুষের আস্থা বেড়েছে।

ভার্চুয়াল সভায় আরো অংশ, নেন স্বাস্থ্যসচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য ও শিক্ষাসচিব আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার খুরশীদ আলম, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম প্রমুখ।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!