• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
গোল টেবিল আলোচনা সভায় বক্তারা

করোনায় বেড়েছে শিশুশ্রম


নিজস্ব প্রতিবেদক জানুয়ারি ৩০, ২০২২, ০২:৪৭ পিএম
করোনায় বেড়েছে শিশুশ্রম

ঢাকা : শিশুশ্রম নিরসনে ট্রেড ইউনিয়ন ইউনিয়ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করে দেশের ছয়টি শ্রমিক সংস্থা।

সংস্থাগুলোর নেতারা বলছেন, দেশের করোনাকালে শিশু শ্রম বেড়েছে। শিশুশ্রম কমিয়ে আনতে সরকার যে পরিকল্পনা করছে তার সাথে ট্রেড ট্রেড ইউনিয়ন সম্পৃক্ত করলে কার্যকর ফলাফল পাওয়া যাবে।

কিন্তু সরকারের কোন পরিকল্পনা বা আলোচনায় শ্রমিক নেতাদের রাখা হয় না। ফলে শিশুশ্রম নিরসণে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া যায় না। তাই শিশুশ্রম নিরসনে ট্রেড ইউনিয়ন সম্পৃক্তকরণের উপর জোর দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ছয়টি ফেডারেশনের প্রতিনিধিরা।

আজ শনিবার সিরডাপ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত শিশুশ্রম নিরসনে গোল টেবিল আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তারা। সভার আয়োজন করে ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ইউনিয়ন কনফেডারেশন বাংলাদেশ কাউন্সিল আইটিইউসি-বিসি।

সহযোগিতা করে আইটিইউসি-বিসি, আইএলও, ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ইউনিয়ন কনফেডারেশন এশিয়া ফ্যাসেফিক আইটিইউসি-এপি। শিশুশ্রম নিরসনে স্টেকহোল্ডারদের সাথে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন লেবার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সাকিল আখতার চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য দেন আইটিইউসি-বিসির সাধারণ সম্পাদক মোজিবুর রহমান ভূঁইয়া। সভাপতিত্ব করেন বংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর। আরও বক্তব্য রাখেন শ্রম অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আবু আশরিফ মাহমুদ।

সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে সাকিল আখতার চৌধুরী বলেন, ৫ থেকে ১৭ বছরের শিশুরা শ্রমের সাথে যুক্ত। করোনা এই অবস্থাকে আর একটু বাড়িয়েছে। গ্রাম অঞ্চলে ৮৪ শতাংশ এবং শহরে ১৭ শতাংশ শিশু শ্রমিক আছে। ৪০ শতাংশ কৃষিতে, ৩০ শতাংশ শিল্প-কারখানায় এবং ৩০ শতাংশ সেবা খাতে শিশু শ্রম দিচ্ছে।

সরকারি হিসাব মতে, দেশে ৩৪ লাখ শিশু শ্রমিক আছে। যাদের মধ্যে ১২ লাখ শিশু শ্রমিক ঝুঁকিপূর্ণ শ্রমে নিযুক্ত। এসডিজি অর্জনে শিশুশ্রম নিরসন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই শিশুদের জন্য উপযুক্ত শিক্ষা, সুস্বাস্থ্য ও অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে গুরুত্ব দেয়ার কথা বলেন তিনি।

শিশুশ্রম নিরসনে তিনি সকল শিশুদের জন্য শিক্ষার অবারিত সুযোগ তৈরি করা; দারিদ্র দূরীকরণে সার্বজনীন সামাজিক সুরক্ষা দেয়া; শিশুশ্রম নিরসনে ব্যাপক প্রচারাভিযান চালানো; আইনের বাস্তবায়ন নিশ্চিক করা; শিশু পাচারে জড়িতদের কঠোর শাস্তি দেয়া এবং সরকার, মালিক পক্ষ, ট্রেড ইউনিয়ন, গণমাধ্যমকর্মী ও সংশ্লিষ্ট বেসরকারী সামাজিক সংগঠনগুলোর সমন্বিত উদ্যোগ নেয়ার কথা বলেন। এবং আইএলও ১৩৮ কনভেনশনকে সমর্থন করার কথা উল্লেখ করেন।

শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর বলেন,বাংলাদেশে,র দৃশ্যমান অগ্রগতী হলেও শিশুশ্রম নিরসনে কার্যকর ফল অর্জন করতে পারছে না। তাই নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করে পদক্ষেপ নিতে বলেন তিনি।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!