• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অজুহাত না দেখিয়ে গ্যাসের দাম কমান


নিজস্ব প্রতিবেদক জুলাই ১০, ২০১৯, ০৪:৩৫ পিএম
অজুহাত না দেখিয়ে গ্যাসের দাম কমান

ঢাকা : কোনো প্রকার অজুহাত না দেখিয়ে অবিলম্বে গ্যাসের দাম কমাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

বুধবার (১০ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান রিজভী।

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে বলবো, কোনো অজুহাত দেখাবেন না। গ্যাসের দাম কমান। গ্যাসের দাম বাড়ানোর কারণে জনজীবনে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।

গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধিতে জনগণ ক্ষোভে ফুঁসছে বলে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, অনতিবিলম্বে গ্যাসের দাম বাড়ানোর ঘোষণা স্থগিত করুন। অন্যথায় রাজপথে নেমে জনগণ দাবি আদায় করে নেবে।   

তিনি অভিযোগ করেন, ‘গ্যাসে এই মুহূর্তে কোনো ভর্তুকি নেই। এলএনজি আমদানি করে তার ভর্তুকি দেওয়ার জন্য গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে। সরকারের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত মন্ত্রী, উপদেষ্টা এবং তাদের অত্যন্ত প্রিয়ভাজন এলএনজি আমদানিকারক ব্যবসায়ীদের বাড়তি খরচ মেটাতে জনগণের ঘাড়ে গ্যাসের দাম চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

এলএনজি ব্যবসায়ীদের সুবিধা দিতে সাধারণ ভোক্তাদেরকে কেন বাড়তি দাম দিতে হবে বলেও প্রশ্ন তুলেন বিএনপির এই নেতা।

পৃথিবীর সব গণতান্ত্রিক দেশে গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানিতে ভর্তুকি দেওয়া হয় বলে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, সরকার ভর্তুকি দেয় জনগণের টাকায়। কারণ, এই ক্ষেত্রগুলোতে ভর্তুকি দিয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসসহ জীবনযাত্রার মান সহজ ও স্বস্তিদায়ক রাখা হয়। গ্যাসের দাম বাড়ার ফলে কলকারখানায় উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে। তার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে সর্বত্রই। সরকারের প্রতিটি পদক্ষেপে দুর্নীতি, অদক্ষতা এবং তারা যে দেশ পরিচালনায় অক্ষম তার প্রমাণ এই গ্যাসের দাম বাড়ানো।’

গত ছয় মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম শতকরা প্রায় ৫০ ভাগ কমে গেছে। বিশ্ববাজারে দরপতনের এই সময়ে বাংলাদেশের গণবিরোধী সরকার গ্যাসের দাম গড়ে ৩২ দশমিক ৮ শতাংশ বাড়িয়েছে। কৃষি, বিদ্যুৎ ও শিল্পে বেড়েছে ৪৬ শতাংশ। সার উৎপাদনে বেড়েছে ৬৪ শতাংশ।

তিনি প্রশ্ন করেন, ‘জীবনযাত্রা ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যে অস্থির অবস্থা। আন্তর্জাতিক বাজার থেকে যে গ্যাস ভারত কেনে ছয় ডলারে, পাকিস্তান কেনে আট ডলারে, সেখানে বাংলাদেশকে কেন তা ১০ ডলারে কিনতে হবে? দায়দায়িত্ব জনগণকে কেন গ্রহণ করতে হবে?’

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘দেশের জনগণের প্রিয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার নীলনকশা তৈরি করেছে সরকার। তাকে মিথ্যা মামলায় ক্ষমতার মত্ততায় দেড় বছর বন্দি করে রাখা হয়েছে। তিনি গুরুতর অসুস্থ।

তার জামিনে এখন সরাসরি বাধা দিচ্ছেন মিডনাইট নির্বাচনের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আদালতে হস্তক্ষেপ করার পাশাপাশি দেশনেত্রীর (খালেদা জিয়া) আইনজীবীদেরও আইনি পদক্ষেপ গ্রহণে বাধা দেওয়া হচ্ছে। দেশনেত্রীর ওকালতনামায় স্বাক্ষর করতে দেওয়া হচ্ছে না।

রিজভী বলেন, ‘উন্নয়ন উন্নয়ন শুনতে শুনতে দেশের জনগণ ক্লান্ত ও মুমূর্ষু হয়ে পড়েছে। সরকারের উন্নয়ন বুলির আড়ালে লুটপাটের মহোৎসবের কাহিনী মানুষ এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন। উন্নয়নের কথা বলে জনগণের পকেট কেটে ক্ষমতাসীন দলের লোকজনদের আর ভোট ডাকাতিতে সহযোগিতাকারীদের পকেট ভারি করা হচ্ছে।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী ও অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!