• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

অতৃপ্ত প্রেমের নিদর্শন টেকনাফের মাথিনের কূপ


নিজস্ব প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৬, ১০:৩৪ এএম
অতৃপ্ত প্রেমের নিদর্শন টেকনাফের মাথিনের কূপ

সোনালীনিউজ ডেস্ক

বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে, কক্সবাজারের টেকনাফ থানায় কর্মরত ধীরাজের প্রেম হয় স্থানীয় মগ জমিদারকন্যা মাথিনের সঙ্গে। আর তাদেরই অতৃপ্ত প্রেমের নিদর্শন মাথিনের কূপ। টেকনাফ থানা প্রাঙ্গণে এ কূপ দেখতে সারা বছর ভিড় করেন বিপুল সংখ্যক পর্যটক। তবে ভালোবাসার নিদর্শন হওয়ায় ভ্যালেন্টাইন ডে’ তে এখানে দর্শনার্থীদের ভিড় বেড়ে যায় কয়েকগুণ।

বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে কলকাতা থেকে কক্সবাজারের টেকনাফ থানায় বদলি হয়ে আসেন ধীরাজ চট্টপাধ্যায়। এ সময় টেকনাফ থানাধীন একটি কূপে জল নিতে এলে ধীরাজকে দেখে তার প্রেমে পড়ে যায় মগ জমিদার কন্যা মাথিন। পরে দু’জনের ভালোবাসার কাছে হার মেনে বিয়েতে মত দেন জমিদার ওয়ানথিং। ঠিক এমন সময় ধীরাজকে কলকাতায় ডেকে পাঠান মৃত্যুপথ যাত্রী তার পিতা।

পরে বাধ্য হয়েই প্রিয়তম মাথিনকে রেখে অসুস্থ বাবার ডাকে সাড়া দিয়ে কলকাতায় চলে যান ধীরাজ। এরপর সে আর ফেরেননি। এদিকে অর্ধাহারে অনাহারে প্রেমিকের অপেক্ষায় দিন গুনতে গুনতে এক সময় মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন মাথিন। পরে তার নামেই ১৯৮৪ সালে এই কূপটির নাম করণ করা হয় মাথিনের কূপ।

ভ্যালেন্টাইস ডে’ তে ভালোবাসার অন্যতম নিদর্শন এই মাথিনের কূপ দেখতে কক্সবাজারের টেকনাফ থানায় ভিড় জমান অসংখ্য দর্শনার্থীরা। কূপের সামনে দেয়ালে লেখা, তাদের প্রেমের গল্প পড়ে মুগ্ধ হন তারা। আবার অনেকেই বিয়োগান্তক এ ভালোবাসার গল্প পড়ে আবেগ তাড়িত হয়ে পড়েন।

এদিকে মাথিনের কূপকে ঐতিহাসিক নিদর্শন হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে বলে জানালেন টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আতাউর রহমান।

এ প্রেমগাঁথা নিয়ে ১৯৩৫ সালে লাহোরের ইউনিক পাবলিকেশন্স থেকে ‘যখন পুলিশ ছিলাম’ নামে ধীরাজ চট্টোপাধ্যায়ের আত্মজীবনী মূলক একটি গ্রন্থ প্রকাশ করা হয়।

সোনালীনিউজ/আমা 

Wordbridge School
Link copied!