• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অধিনায়ক ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করত অভিযোগ কোচের


ক্রীড়া ডেস্ক নভেম্বর ৩০, ২০১৮, ০৭:২৯ পিএম
অধিনায়ক ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করত অভিযোগ কোচের

ঢাকা : ভারতীয় নারী দলের ওয়ানডে অধিনায়ক মিতালি রাজের সঙ্গে কোচ রমেশ পাওয়ারের সম্পর্ক যে স্বাভাবিক ছিল না সেটি তিনি মেনে নিয়েছেন। তবে কোচের দাবি, বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে মিতালির বাদ পড়ার ঘটনায় সম্পর্কের এই শীতলতা কোনো প্রভাব ফেলেনি। মিতালি সম্পূর্ণ ক্রিকেটীয় কারণে বাদ পড়েছিলেন।

বিশ্বকাপ-বিতর্কে মিতালির মন্তব্যে পরিস্থিতি আরো জটিল হয়েছে। তিনি বোর্ডে যে ই-মেইল পাঠিয়েছেন, তাতে নিশানা শুধু পাওয়ার একা নন, সিওএ সদস্য সাবেক নামী ক্রিকেটার ডায়ানা এডুলজিও।

পাওয়ার অবশ্য  মুম্বাইয়ে বোর্ডের সদর দপ্তরে সিইও রাহুল জোহরি ও জিএম (ক্রিকেট অপারেশন) সাবা করিমের সামনে বসে মিতালির বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ এনেছেন। তিনি নাকি বলেছেন, মিতালি শুধু দলের ব্যাপারে উদাসীনই ছিলেন না, কোচ হিসেবে তাঁকে নিয়ন্ত্রণে রাখাও মুশকিল হয়ে যাচ্ছিল! পাওয়ার বৈঠকে মিতালি সম্পর্কে ‘অ্যালুফ’ ও ’ডিফিকাল্ট টু হ্যান্ডল’ শব্দগুলো ব্যবহার করেছেন।

এছাড়াও পাওয়ারের অভিযোগ মিতালি নাকি মাঝপথেই টুর্নামেন্ট ছেড়ে আসতে চেয়েছিলেন। কোচের স্ট্র্যাটেজি মানতেন না। পাকিস্তান ম্যাচে জোর করে তাঁকে দিয়ে ওপেন করানো হয়। আর মিতালি নাকি ব্ল্যাকমেইলও করার চেষ্টা করেছেন পাওয়ারকে। মিতালি তাঁর অভিযোগে কোচ সম্পর্কে বলেছেন, পাওয়ার তাঁকে এড়িয়ে চলতেন।

কিন্তু পওয়ার সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর মতে, মিতালিকে বাদ দেওয়া ছিল দলের কৌশল। খারাপ স্ট্রাইক রেট এর অন্যতম কারণ। তাছাড়া উইনিং কম্বিনেশন ধরে রাখার ব্যাপারও ছিল।

কিন্তু পাওয়ারকে যখন প্রশ্ন করা হয়, তাহলে পাকিস্তান ও আয়ারল্যান্ড ম্যাচে মিতালির এই স্ট্রাইক রেটের ব্যাপারটা ভাবা হয়নি কেন, তিনি কোনো জবাব দিতে পারেননি। দুটি ম্যাচেই মিতালি ফিফটি করেন। মিতালিকে বাদ দিতে বাইরের কোনো চাপ ছিল কি না জানতে চাওয়া হলে পাওয়ার অস্বীকার করেন। কিন্তু তিনি জানান, বোর্ডের এক প্রভাবশালী কর্তা ম্যানেজার ও দলের সঙ্গে থাকা নির্বাচকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন।

সোনালীনিউজ/আরআইবি/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!