• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

অনুসন্ধানের সময়ই দুর্নীতিবাজদের সম্পদ জব্দের সিদ্ধান্ত


নিজস্ব প্রতিবেদক জানুয়ারি ২৪, ২০১৯, ০৭:৫৫ পিএম
অনুসন্ধানের সময়ই দুর্নীতিবাজদের সম্পদ জব্দের সিদ্ধান্ত

ঢাকা: অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান চলাকালেই দুর্নীতিবাজদের সম্পদ জব্দের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার (২৪ জানুয়ারি) সেগুনবাগিচায় প্রধান কার্যালয়ে কমিশনের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ‘অপরাধলব্ধ সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা ইউনিট’র কার্যক্রম নিয়ে এই জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।

অপরাধলব্ধ সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা ইউনিটের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির, গোয়েন্দা ইউনিটের পরিচালক, আইন অনুবিভাগের পরিচালক ও বিশেষ তদন্ত অনুবিভাগের পরিচালকসহ দুদকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

সভায় দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ২০০৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত অবৈধ সম্পদসংক্রান্ত চলমান মামলা এবং নিষ্পত্তি হয়ে কমিশনের পক্ষে রায় যাওয়া মামলার তালিকা কমিশনে লিপিবদ্ধ করতে হবে। অবৈধ সম্পদ জব্দ, ক্রোক বা অবরুদ্ধ করার তথ্যও রেজিস্ট্রারে রাখতে হবে। ইতোমধ্যেই যেসব মামলায় আসামিদের শাস্তির পাশাপাশি আর্থিক জরিমানা অথবা সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে সেই তথ্য রেজিস্ট্রারে লিপিবদ্ধ করার নির্দেশ দেন ইকবাল মাহমুদ।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, জব্দ করা অবৈধ সম্পদ ভোগ করার সুযোগ কাউকে দেয়া হবে না। অবৈধ সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে আনার ব্যবস্থা করবে দুদক। এসব সম্পদ ব্যবস্থাপনায় যাতে কোনও দুর্নীতি না হয় সেজন্য নীতিমালা করা যায় কিনা তা খতিয়ে দেখতে কমিশনের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন তিনি। কেবিনেট ডিভিশন, অর্থ মন্ত্রণালয়, আইন-বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে যৌথ আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে জব্দ করা অবৈধ সম্পদ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা যায় কিনা তা-ও খতিয়ে দেখতে বলেন দুদক চেয়ারম্যান।

তিনি বলেন, জব্দ হওয়া সম্পদের জিম্মাদার যারা হবেন, তাদের জবাবদিহিতার বিষয়টিও পরীক্ষা করতে হবে। দুর্নীতির একটি পথ বন্ধ করে আরেকটি পথ খুলতে দেয়া হবে না।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মেডিকেল অ্যাডুকেশন শাখার হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. আবজাল হোসেনের কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রসঙ্গ টেনে ইকবাল মাহমুদ বলেন, আবজালের জব্দ হওয়া ব্যাংক হিসাবের বাইরেও ব্যাংক হিসাব থাকতে পারে। তাই তার সকল ব্যাংক হিসাবের লেনদেন স্থগিত রাখার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যানন্সিয়াল ইউনিটকে চিঠি পাঠাতে হবে।

সভায় দুদকের অভিযান নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার বিষয় নিয়ে কথা হয়। এ বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যান সভায় বলেন, আইন মেনেই কমিশনের প্রতিটি অভিযান হচ্ছে।

সভা শেষে দুদক মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী এ নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি জানান, দুর্নীতিবাজ ব্যক্তি, তাদের দোসর, পরিবারের সদস্য ও পরবর্তী প্রজন্ম এখন থেকে অবৈধ সম্পদ ভোগ-দখলে রাখার সুযোগ পাবে না।

আরেক মহাপরিচালক (আইন) মঈদুল ইসলাম বলেন, দুদক যখনই চাইবে তা অনুসন্ধান বা তদন্ত পর্যায়ে যখনই হোক অবৈধ সম্পদ জব্দ করতে পারবে।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!