• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

অপু বিশ্বাসের কথা রেখেছেন শাকিব খান


বিনোদন ডেস্ক ডিসেম্বর ১৭, ২০১৮, ০৫:৫৮ পিএম
অপু বিশ্বাসের কথা রেখেছেন শাকিব খান

ঢাকা: শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস দুজনের এমনিতে দেখা না হলেও সন্তানের কারণেই তাঁদের যোগাযোগ হয়। এবার তাঁদের ছেলে আব্রাম খান জয়কে প্রি-স্কুলে ভর্তি করা হয়েছে। এই কারণে তাঁদের একই সঙ্গে সন্তানের সঙ্গে স্কুলে যেতে হচ্ছে। সন্তানকে খুশি রাখতে আয়োজনেরও কোনো কমতি রাখছেন না তাঁরা। সম্প্রতি শাকিব আর অপু তাঁদের ছেলের স্কুলে ম্যাচিং করা পোশাকে হাজির হন। জানা গেছে, মা অপু বিশ্বাসের কথা রেখেছেন বাবা শাকিব খান, পরেছেন একই ডিজাইনের পোশাক। একই ডিজাইনের পোশাক ছিল জয়ের পরনেও। এই পোশাকের ডিজাইন করেছেন অপু বিশ্বাস নিজেই। সোমবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে তেমনটাই জানালেন অপু।

ভালো লাগা, ভালোবাসা, এরপর বিয়ে। নয় বছরের সংসার করার পর গত বছর চলচ্চিত্রের সবচেয়ে জনপ্রিয় এই জুটির বিবাহবিচ্ছেদ হয়। কিন্তু এখনো শাকিব আর অপু আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। আগে চলচ্চিত্রের কারণে আলোচনায় এলেও এখনকার প্রসঙ্গ ভিন্ন। একমাত্র সন্তান জয়ের কারণে তাঁরা দুজন আলোচিত।

বিয়ের খবর প্রকাশের পর গত বছর পয়লা বৈশাখে বাবা-মায়ের সঙ্গে এক ফ্রেমে বন্দী হয় শিশু আব্রাম খান জয়। একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকার আয়োজনে সেদিন রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে সন্তানের সঙ্গে একটি ফটোশুটে অংশ নেন তাঁরা দুজন। এরপর আর একসঙ্গে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানো হয়নি তাঁদের। দুই বছর সাড়ে তিন মাস বয়সী সন্তানকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার আইএসডি স্কুলে ভর্তি করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির প্রি–স্কুল শাখায় নিয়মিত যাচ্ছে জয়। সন্তান স্কুলে যাচ্ছে ভাবতেই বাবা শাকিব খান আর মা অপু বিশ্বাস ভীষণ উচ্ছ্বসিত। ১৩ ডিসেম্বর জয়ের স্কুলের একটি অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে আবার ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান তাঁরা। দুই ঘণ্টারও বেশি সময় স্কুলে জয়ের বন্ধুদের সঙ্গে খেলায় মেতে ছিলেন শাকিব ও অপু।

অপু বিশ্বাস বলেন, ‘মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জয়ের স্কুলে একটা অনুষ্ঠানে আয়োজন করা হয়। আমি জয়ের বাবাকে বলেছিলাম, চলো, অনুষ্ঠানে আমরা একই পোশাক পরি। একই পোশাক পরলে ভালো হয়। জয়ের বাবাও বলল ঠিক আছে। ভাবনাটা তো সুন্দর। জয়ের ক্লাসে সব মিলিয়ে ২০ জন শিক্ষার্থী, সবাই সন্তানের সঙ্গে মিলিয়ে পোশাক পরেছে। শাকিবও আমার কথা মতো একই ডিজাইনের পোশাক পরেছে। এটা জয়ের জন্য ছিল বাড়তি আনন্দ।’

অপু বিশ্বাস আরও বলেন, ‘জয়ের বাবা সন্তানের সুখের ব্যাপারে সবকিছুই করতে পারেন। সব সময়ই সন্তানের সুখের বিষয়কে প্রাধান্য দেয়। শাকিব যখন স্কুলে ঢুকেছে, তখন তার মধ্যে নায়কোচিত কোনো ব্যাপার ছিল না। জয়ের বন্ধুদের সঙ্গে খেলায় মেতে ছিল। পুরো সময়টা খুব আনন্দের মধ্যে কাটিয়েছে। আমার ছেলে তার বাবাকে কাছে পেলে আর সব ভুলে যায়। সন্তান আমার কাছে সব সময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সন্তানেরই কারণেই ক্যারিয়ার থেকে দুটো সিনেমা বাদ দিয়েছি, দুই বছর শুটিং থেকে দূরে সরে ছিলাম, টেলিভিশনের সরাসরি অনুষ্ঠানে আসাও সন্তানের কারণে, স্বামীর সঙ্গে মনোমালিন্যও হয়েছে সন্তানের কারণে—সেই সন্তানকে যখন তার বাবা আমার চেয়ে বেশি পজিটিভ দেখছে, আমার আর চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। এতেই আমি শতভাগ পেয়ে গেছি।’

অপু জানান, তাঁদের ম্যাচিং করা পোশাক পরার পেছনে একটি উদ্দেশ্যও ছিল। স্কুল কর্তৃপক্ষের চাওয়া, প্রি-স্কুলের শিক্ষার্থীদের বাবা-মায়ের ছবি দেওয়ালে টাঙিয়ে রাখা হবে। কারণ, শিক্ষার্থীরা যখন ক্লাসে ঢুকবে, তখন তারা যেন বাবা-মায়ের হাসিমুখের ছবিটাই দেখে। এখান থেকে বাচ্চারাও উৎসাহিত হবে। বাচ্চাদের হ্যাপি মোমেন্ট উপহার দেওয়াটাই মূল উদ্দেশ্য।

২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের বিয়ে হয়। বিয়ের ব্যাপারটি কঠোর গোপনীয়তার মধ্যে রেখে তাঁরা দুজন সমানতালে সিনেমার শুটিং করে গেছেন। গত বছর ১০ এপ্রিল একটি টেলিভিশন চ্যানেলে ছয় মাস বয়সের ছেলে আব্রামকে সঙ্গে নিয়ে উপস্থিত হন অপু। সেদিন অপু বলেন, ‘আমি শাকিবের স্ত্রী, আমাদের ছেলেও আছে।’ সূত্র: প্রথম আলো

সোনালীনিউজ/এসএস

Wordbridge School
Link copied!