• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

অফিস ফেলে আন্দোলনে কর্মচারিরা, পৌরসভা অচল করে দেওয়ার হুমকি


নিজস্ব প্রতিবেদক জুলাই ১৫, ২০১৯, ০৪:২২ পিএম
অফিস ফেলে আন্দোলনে কর্মচারিরা, পৌরসভা অচল করে দেওয়ার হুমকি

ঢাকা: রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে বেতন-ভাতা প্রদানের এক দফা দাবিতে ঢাকা প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে দেশের ৩২৮টি পৌরসভার কর্মকর্তা কর্মচারিরা। গত রোববার রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে মহাসমাবেশ থেকে দাবি আদায় না হওয়া অবধি লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ পৌরসভা সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএপিএস) সভাপতি আব্দুল আলিম মোল্যা।

সেই ঘোষণার পর বৈরি আবহাওয়া উপেক্ষা করে সারাদেশের পৌর কর্মচারিরা প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। তারা নানা রকম স্লোগান দিয়ে ওই এলাকা প্রকম্পিত করে তুলেছে। সোমবার (১৫ জুলাই) দ্বিতীয় দিনের মতোও পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারিদের অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। সময় যত গড়াচ্ছে অবস্থান কর্মসূচিতে পৌর কর্মচারিদের সংখ্যা তত বাড়ছে।

পৌর কর্মচারিদের এই কর্মসূচি নিয়ে কথা হয় গাইবান্ধা জেলা পৌরসভা সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নজরুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি সোনালীনিউজ’কে

বলেন,‘ আমরা দীর্ঘদিন ধরে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে বেতন-ভাতার এক দফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছি।  আমাদের স্থানীয় সরকার বিভাগের এ নিয়ে কোনো হেলদোল নেই। তারা বিষয়টি আমলেই নেয়নি। অথচ পৌরসভাগুলোতে দুই থেকে ৭৫ মাস অবধি বেতন বকেয়া। তাহলে ভাবুন, আমাদের সংসার চলে কী করে?   নেতৃবৃন্দ বারবার মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেও কোনো ফল আসেনি। তাই আমাদের যে কর্মসূচি কেন্দ্রীয় সভাপতি ঘোষণা করেছেন আমরা তা পালন করে যাব যতক্ষণ না আমাদের পক্ষে সুষ্পষ্ট ঘোষণা না আসে।’

প্রায় একই রকম কথা শোনালেন গাইবান্ধা জেলা পৌরসভা সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মিলন কুমার সরকার। তাঁর ভাষ্য,‘ এবার আমরা ঢাকায় এসেছি দাবি আদায় করে নিতে। এর জন্য যতদিন ঢাকায় থাকা দরকার আমরা ততদিন থাকব। দাবি আদায় না হওয়া অবধি আমরা ঘরে ফিরছি না। এ আমাদের প্রতিজ্ঞা।’

প্রেসক্লাবের আরেক প্রান্তে ব্যস্ত সময় পার করছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-প্রচার সম্পাদক বিপুল কুমার সাহা। তিনি এই প্রতিবেদককে বললেন,‘ দেখুন, এর আগেও আমরা আন্দোলন করেছি কিন্তু কাজ হয়নি। এবার আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। আমরা কাজ করছি, বেতন পাচ্ছি না। এভাবে তো চলতে পারে না। আইনে পৌরসভা থেকে বেতন-ভাতা প্রদানের উল্লেখ আছে। কিন্তু মেয়র মহোদয়রা তা দিতে ব্যর্থ হচ্ছেন। মানুষের জন্য আইন। সেই আইন মানুষের জন্য পরিবর্তন করা যেতেই পারে। এক সংবিধানই তো ষোলবার সংশোধন হয়েছে। তাহলে পৌরসভার ব্যাপারে আইন সংশোধনে বাঁধা কোথায়?’

কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম পাটোয়ারি সাফ জানিয়ে দিলেন, এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে দাবি আদায় না হওয়া অবধি,‘ অন্যদের সকল দাবি দাওয়া মানা হলেও আমাদের দাবি বারবার উপেক্ষিতই থেকে যাচ্ছে। এভাবে আর চলতে পারে না। আমরা বৈষম্যর শিকার। এই বন্দি দশা থেকে আমাদের মুক্ত হতে হবে। দেশের ৮৭ ভাগ পৌরসভায় বেতন হয় না। অবসরে গেলে পেনশন-গ্রাইচুটি কিছুই পায় না। সরকার ডিজিটাল দেশ গড়ার অঙ্গিকার করেছে। পৌরসভার কর্মচারিরা অভূক্ত থেকে কিভাবে ডিজিটাল শহর গড়বে? তাই সরকারের কাছে আমাদের একটাই দাবি, আমাদের বেতন-ভাতার নিশ্চয়তা দিয়ে তা রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে প্রদানের ব্যবস্থা করুন।’

সোনালীনিউজ/আরআইবি

Wordbridge School
Link copied!