• ঢাকা
  • বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

অবরুদ্ধ পাকিস্তানিরা মুক্ত হয় বিভিন্ন জেলা


নিজস্ব প্রতিবেদক ডিসেম্বর ৮, ২০১৯, ০৩:৩৮ পিএম
অবরুদ্ধ পাকিস্তানিরা মুক্ত হয় বিভিন্ন জেলা

ঢাকা : ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয়ের আগেই অর্জিত হতে থাকে আরো অনেক ছোট ছোট বিজয়। বাঙালির অসীম সাহসের কাছে পাকিস্তানি সেনারা পরাজিত হতে থাকে বাংলার বিভিন্ন জনপদে। জলে, স্থলে, আকাশে মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর আক্রমণে পাকিস্তানিরা দিশেহারা। অনেক জায়গায় তারা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। মিত্রবাহিনীর মাধ্যমে তাদের পুরো বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে আত্মসমর্পণের প্রস্তাব দেওয়া হয় ১৯৭১ সালের ৮ ডিসেম্বর।

১৯৭১ সালের এদিনে হানাদার মুক্ত হয় মৌলভীবাজার, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, বরিশাল, পটুয়াখালী ও মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলা। এসব এলাকায় স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়ে দেন মুক্তিযোদ্ধারা। মিত্রবাহিনীর কর্মকর্তারা তিনটি ব্যবস্থা গ্রহণ করে পুরো পাকিস্তানি বাহিনীকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রধান পাকিস্তানি বাহিনীকে আত্মসমর্পণ করতে বলেন এবং এই আশ্বাস দেন যে, আত্মসমর্পণ করলে পাকবাহিনীর প্রতি জেনেভা কনভেনশনের রীতি অনুযায়ী সম্মানজনক ব্যবহার করা হবে। জেনারেল মানেকশর এ আহ্বান আকাশবাণী (বেতার) থেকে নানা ভাষায় বারবার প্রচার করা হয়।

সামরিক শাসকরা নিজেদের অবস্থা পুরোপুরি বুঝতে না পেরে আত্মসমর্পণের দিকে না গিয়ে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে বাংলাদেশে অবস্থানরত সেনাসদস্যদের নির্দেশ দেয়। কিন্তু পরাজয় সম্পর্কে নিশ্চিত ছিল রণাঙ্গনে থাকা পাক কমান্ড। কারণ প্রতি ক্ষেত্রে পাকবাহিনীকে একের পর এক পরাজিত করতে থাকে মুক্তিবাহিনী।

পাকিস্তান সরকার ও তাদের মিত্র দেশগুলোর বুঝতে বাকি থাকে না যে, যুদ্ধে তাদের হার নিশ্চিত। এ পরিস্থিতিতে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ অবিলম্বে যুদ্ধ বিরতি পালন এবং সৈন্য প্রত্যাহারের জন্য ভারত ও পাকিস্তানের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রস্তাব গ্রহণ করে। এ প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে সাধারণ পরিষদে ভারতীয় প্রতিনিধি সমর সেন বলেন, পাকিস্তানকে অবশ্যই বাংলাদেশকে স্বীকার করে নিতে হবে।

উপমহাদেশে শান্তি পুনঃস্থাপনের জন্য আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ মুজিবুর রহমানকে মুক্তি দিতে হবে। বাংলাদেশ সরকারের কাছে গ্রহণযোগ্য না হলে জাতিসংঘের কোনো প্রস্তাব বাস্তবায়ন করা যাবে না। এ অবস্থার মধ্যেও কিসিঞ্জার পাকিস্তানের জন্য ‘সামরিক সরবরাহ’ নিশ্চিত করার পক্ষে তার অভিমত প্রকাশ করেন। কিন্তু তার আশপাশের মানুষদের কাছেও এটা ছিল হাসির নামান্তর।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!