• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

অভিবাসী সমস্যা সমাধানে জার্মান-তুরস্ক সমঝোতা


নিজস্ব প্রতিবেদক জানুয়ারি ২৫, ২০১৬, ০৪:৩৩ পিএম
অভিবাসী সমস্যা সমাধানে জার্মান-তুরস্ক সমঝোতা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ইউরোপের অভিমুখী যাএা করা অভিবাসন-প্রত্যাশীদের ঢলের মুখে বেশ চাপে আছেন জার্মানি চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল। এবার অভিবাসন-প্রত্যাশীদের এই ঢল থামাতে ঐকমত্যে পৌঁছেছে জার্মানি-তুরস্ক।

গত শুক্রবার বার্লিনে আয়োজিত এক বৈঠকে তুর্কি প্রধানমন্ত্রী আহমেদ দাভুতোগলু ও অ্যাঙ্গেলা মেরকেল ইউরোপের অভিবাসন-সংকট মোকাবিলায় একসঙ্গে জোরালোভাবে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছেন। শুধু অভিবাসন-প্রত্যাশীদের ধেয়ে আসা ঢল থামানোই নয়, বরং তুরস্কে শরণার্থী শিবিরের অবস্থার উন্নয়ন ও সিরিয়ার সঙ্গে শান্তি চুক্তি করার বিষয়ে একমত হয়েছেন তাঁরা।

বৈঠক শেষে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তুর্কি প্রধানমন্ত্রী দাভুতোগলু বলেন, শরণার্থী-সংকট জার্মানির কোনো সংকট নয়, এটা তুরস্ক বা ইউরোপেরও সমস্যা নয়। এই সংকটের মূলে সিরিয়া। আমরা যদি পরস্পরের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিই, তাহলে এই সংকটকে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে। যার যার সমস্যা তাদের দিকেই যদি আবার সমাধান করার চাপ দেওয়া হয়, তাহলে সমাধান অনেক কঠিন হয়ে যাবে।’

গত এক বছরই আফগানিস্তান, ইরাক ও সিরিয়ার প্রায় ১১ লাখ অভিবাসন-প্রত্যাশী মানুষ তুরস্ক হয়ে জার্মানিতে প্রবেশ করেছে। সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধের কারণে গত পাঁচ বছরে প্রায় আড়াই লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। এ কারণে অনেকেই উন্নত জীবনের আশায় অভিবাসন-প্রত্যাশী হিসেবে তুরস্ক দিয়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে প্রবেশ করছে।

জার্মান চ্যান্সলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল বলেন, অবৈধ অভিবাসী প্রশ্নে আমি একমত হয়েছি। এই সংকট সমাধানের জন্য আমাদের একসঙ্গে কাজ করে যেতে হবে।

সম্প্রতি বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকেই অভিবাসী-সংকট নিরসনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে আসছে জার্মানি ও তুরস্ক। এই দুই দেশের মন্ত্রিসভায় এ নিয়ে বেশ কঠোর আলোচনাও চলছে। তুরস্ক থেকে হাজার হাজার অভিবাসন-প্রত্যাশী ইউরোপ অভিমুখে ভয়ংকরভাবে রাবারের নৌকায় চেপে সমুদ্র পাড়ি দেওয়া ঠেকাতে তুরস্ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

এর আগে অ্যাঙ্গেলা মেরকেলের একজন মুখপাত্র বলেছিলেন, গত সপ্তাহে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে যে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে তাতে নিহত ১০ জনই জার্মান পর্যটক। তুর্কি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে। এ ছাড়া জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ঐক্যের বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হবে।

গত বৃহস্পতিবার জার্মানির প্রতিরক্ষামন্ত্রী উরসুলা ভন ডার লিয়েন তুরস্ক সফরকালে বলেন, সরকারের বিশেষজ্ঞ আলোচনায় শরণার্থীদের এরকম আগমন ঠেকানোর বিষয়টি অবশ্যই গুরুত্ব পাবে।

এদিকে তুরস্কের তত্ত্বাবধানে সিরিয়ার ২২ লাখ শরণার্থীকে সাহায্যের বিষয়ে ইইউর অন্তর্ভুক্ত দেশগুলো কী পরিমাণ অর্থ সহায়তা দেবে, তা নিয়ে এখনো আলোচনা চলছে। এ ব্যাপারে ইইউ এখনো পরিষ্কারভাবে কিছু বলেনি।

গত বৃহস্পতিবার দাভোস সামিট অব বিজনেস অ্যান্ড পলিটিক্যাল এলিটসে তুর্কি প্রধানমন্ত্রী আহমেদ দাভুতোগলু বলেন, ‘আমরা অর্থ চাইনি, এ নিয়ে আলোচনাও করিনি, এটা আমাদের কাছে একটা মানবিক দায়িত্ব। এ কারণেই আমাদের কাছে অর্থনৈতিক সহায়তা বড় কোনো সমস্যা নয়।’

বার্লিন আলোচনায় দাভুতোগলু বলেন, ‘আমরা সংহতি ও ঐক্যের ব্যাপারে আহ্বান জানিয়েছি। সবাইকে এ বিষয়ে এক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছি।’ তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা আমাদের সহকর্মী মেরকেলের সঙ্গে আলোচনা করব। আশা করি, এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপটাই হবে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ।’

 


সোনালীনিউজ/ঢাকা/মে

 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ইউরোপের অভিমুখী যাএা করা অভিবাসন-প্রত্যাশীদের ঢলের মুখে বেশ চাপে আছেন জার্মানি চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল। এবার অভিবাসন-প্রত্যাশীদের এই ঢল থামাতে ঐকমত্যে পৌঁছেছে জার্মানি-তুরস্ক।

গত শুক্রবার বার্লিনে আয়োজিত এক বৈঠকে তুর্কি প্রধানমন্ত্রী আহমেদ দাভুতোগলু ও অ্যাঙ্গেলা মেরকেল ইউরোপের অভিবাসন-সংকট মোকাবিলায় একসঙ্গে জোরালোভাবে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছেন। শুধু অভিবাসন-প্রত্যাশীদের ধেয়ে আসা ঢল থামানোই নয়, বরং তুরস্কে শরণার্থী শিবিরের অবস্থার উন্নয়ন ও সিরিয়ার সঙ্গে শান্তি চুক্তি করার বিষয়ে একমত হয়েছেন তাঁরা।

বৈঠক শেষে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তুর্কি প্রধানমন্ত্রী দাভুতোগলু বলেন, শরণার্থী-সংকট জার্মানির কোনো সংকট নয়, এটা তুরস্ক বা ইউরোপেরও সমস্যা নয়। এই সংকটের মূলে সিরিয়া। আমরা যদি পরস্পরের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিই, তাহলে এই সংকটকে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে। যার যার সমস্যা তাদের দিকেই যদি আবার সমাধান করার চাপ দেওয়া হয়, তাহলে সমাধান অনেক কঠিন হয়ে যাবে।’

গত এক বছরই আফগানিস্তান, ইরাক ও সিরিয়ার প্রায় ১১ লাখ অভিবাসন-প্রত্যাশী মানুষ তুরস্ক হয়ে জার্মানিতে প্রবেশ করেছে। সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধের কারণে গত পাঁচ বছরে প্রায় আড়াই লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। এ কারণে অনেকেই উন্নত জীবনের আশায় অভিবাসন-প্রত্যাশী হিসেবে তুরস্ক দিয়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে প্রবেশ করছে।

জার্মান চ্যান্সলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল বলেন, অবৈধ অভিবাসী প্রশ্নে আমি একমত হয়েছি। এই সংকট সমাধানের জন্য আমাদের একসঙ্গে কাজ করে যেতে হবে।

সম্প্রতি বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকেই অভিবাসী-সংকট নিরসনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে আসছে জার্মানি ও তুরস্ক। এই দুই দেশের মন্ত্রিসভায় এ নিয়ে বেশ কঠোর আলোচনাও চলছে। তুরস্ক থেকে হাজার হাজার অভিবাসন-প্রত্যাশী ইউরোপ অভিমুখে ভয়ংকরভাবে রাবারের নৌকায় চেপে সমুদ্র পাড়ি দেওয়া ঠেকাতে তুরস্ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

এর আগে অ্যাঙ্গেলা মেরকেলের একজন মুখপাত্র বলেছিলেন, গত সপ্তাহে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে যে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে তাতে নিহত ১০ জনই জার্মান পর্যটক। তুর্কি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে। এ ছাড়া জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ঐক্যের বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হবে।

গত বৃহস্পতিবার জার্মানির প্রতিরক্ষামন্ত্রী উরসুলা ভন ডার লিয়েন তুরস্ক সফরকালে বলেন, সরকারের বিশেষজ্ঞ আলোচনায় শরণার্থীদের এরকম আগমন ঠেকানোর বিষয়টি অবশ্যই গুরুত্ব পাবে।

এদিকে তুরস্কের তত্ত্বাবধানে সিরিয়ার ২২ লাখ শরণার্থীকে সাহায্যের বিষয়ে ইইউর অন্তর্ভুক্ত দেশগুলো কী পরিমাণ অর্থ সহায়তা দেবে, তা নিয়ে এখনো আলোচনা চলছে। এ ব্যাপারে ইইউ এখনো পরিষ্কারভাবে কিছু বলেনি।

গত বৃহস্পতিবার দাভোস সামিট অব বিজনেস অ্যান্ড পলিটিক্যাল এলিটসে তুর্কি প্রধানমন্ত্রী আহমেদ দাভুতোগলু বলেন, ‘আমরা অর্থ চাইনি, এ নিয়ে আলোচনাও করিনি, এটা আমাদের কাছে একটা মানবিক দায়িত্ব। এ কারণেই আমাদের কাছে অর্থনৈতিক সহায়তা বড় কোনো সমস্যা নয়।’

বার্লিন আলোচনায় দাভুতোগলু বলেন, ‘আমরা সংহতি ও ঐক্যের ব্যাপারে আহ্বান জানিয়েছি। সবাইকে এ বিষয়ে এক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছি।’ তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা আমাদের সহকর্মী মেরকেলের সঙ্গে আলোচনা করব। আশা করি, এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপটাই হবে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ।’

 


সোনালীনিউজ/ঢাকা/মে

 

Wordbridge School
Link copied!