• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

‘অলি তুই মোরে মারিস না, টাহা-পয়সা যা আছে লইয়া যা’


পিরোজপুর প্রতিনিধি আগস্ট ৯, ২০২০, ১০:০৮ এএম
‘অলি তুই মোরে মারিস না, টাহা-পয়সা যা আছে লইয়া যা’

পিরোজপুর : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার আলোচিত ট্রিপল মার্ডার এর সাথে জড়িত অভিযোগে থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ হত্যাকান্ডের প্রধান আসামি মো. অলী বিশ্বাস (৩৮) ও মো. রাকিব বেপারী (২০) নামে তার এক সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে।

মুখোশধারী চার ঘাতক সিঁদ কেটে আয়নালের বসতঘরে প্রবেশ করে। ঘরে ঢুকে মারধর করে নগদ টাকাসহ বিভিন্ন মালামাল লুট করে। এ সময় আয়নাল দস্যু অটোচালক অলিকে চিনে ফেলে অনুনয়-বিনয় করে বলেন, ‘অলি তুই মোরে মারিস না, টাহা-পয়সা যা আছে লইয়া যা।’

পিরোজপুর পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মঠবাড়িয়া থানায় এক প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে ওই দুইজনকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এসময় তিনি জানান, শুক্রবার রাত ১টার দিকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও মঠবাড়িয়া থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে হত্যাকান্ডের মাস্টার মাইন্ড উপজেলার ধানীসাফা গ্রামের মৃত তোজাম্বর আলী বিশ্বাসের ছেলে মো. অলী বিশ্বাসকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত অপর কিলার একই গ্রামের কাওসার বেপারীর ছেলে মো. রাকিব বেপারীকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ সুপার আরো জানান, অলীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ওই হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র, নিহতের বাড়ি থেকে লুন্ঠিত কিছু টাকা ও অন্যান্য মালামাল উদ্ধার করা হয়। এ হত্যাকান্ডে চার জন অংশ নেয়।

গ্রেফতারকৃত প্রধান আসামি অলী এবং নিহত অটোচালক আয়নাল হোসেন একই সাথে অটো চালাতেন। হত্যাকান্ডের আগের দিন গত ৩০ জুলাই বিকেলে অলী আয়নালকে টাকা গণনা করতে দেখেন। ওই টাকা চুরি করতে রাতের বেলা সিঁদ কেটে আয়নালের ঘরে ঢোকেন অলী। এ সময় আয়নাল জেগে গিয়ে অলী ও অন্যদের চিনে ফেলেন এবং অলীর নাম ধরে ডাকেন আয়নাল। এতে তারা (অলী ও সাথে থাকা লোকজন) আয়নালসহ তার স্ত্রী ও শিশু কন্যাকে হত্যা করেন।

উল্লেখ্য, জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার ধানীসাফা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সাফা গ্রামের অটোচালক মো. আয়নাল হোসেন হাওলাদার (৩৫), তার স্ত্রী খুকু মনি (২৫) ও তার আড়াই বছরের শিশু কন্যা আঁখি আক্তারকে গত ৩০ জুলাই রাতে ঘাতকরা হত্যা করে। পরে নিহতদের সবাইকে দু’হাত কাপড় দিয়ে বেঁধে ওই ঘরের আঁড়ার সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়।

নিহত আয়নাল হোসেন ওই গ্রামের মৃত রত্তন হাওলাদারের ছেলে। তিনি ৩ বছর আগে ব্রুনাই থেকে দেশে ফিরে বাড়ির কাছের মোজাম্মেল হোসেনের বাড়িতে ভাড়া থেকে অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন।

মঠবাড়িয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ জ ম মাসুদুজ্জামান জানান, গত ৩১ জুলাই সকাল সাড়ে ৭টার দিকে প্রতিবেশীরা আয়নাল হোসেনের কোনো সাড়া না পেয়ে তার ঘরের জানালা দিয়ে উঁকি দিলে ভেতরে তিন জনের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। পরে থানা পুলিশকে খবর দেন।

সোনালীনিউজ/টিএস/এএস

Wordbridge School
Link copied!