• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
করোনাভাইরাস সংক্রমণে

অসংখ্য মানুষ মরবে, প্রস্তুত থাকার আহ্বান সুইডেন প্রধানমন্ত্রীর


আন্তর্জাতিক ডেস্ক এপ্রিল ৬, ২০২০, ০২:১৬ পিএম
অসংখ্য মানুষ মরবে, প্রস্তুত থাকার আহ্বান সুইডেন প্রধানমন্ত্রীর

ঢাকা: এতদিনে করোনা ভাইরাস সংক্রমণকে গুরুত্ব দেয়নি সুইডেন। এ জন্য দেশটির কড়া সমালোচনা করেছেন কমপক্ষে ২৩০০ বিশেষজ্ঞ। এরই মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে কমপক্ষে ৪০১ জন মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন ৬৮৩০ জন। এ অবস্থায় চেতনা ফিরেছে দেশটির। প্রধানমন্ত্রী স্টেফ্যান লোফভেন তার দেশবাসীকে সতর্ক করেছেন। বলেছেন, ঝাঁকে ঝাঁকে মানুষ মরবে। হাজার হাজার মানুষ মরতে চলেছেন তার দেশে।

এ জন্য এখনই তাদেরকে প্রস্তুতি নিতে হবে। নানা রকম সতর্কতা দেয়া সত্ত্বেও বিষয়টিকে গায়েই মাখছেন না দেশবাসী। এমন প্রেক্ষাপটে তাদেরকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি। এ খবর দিয়েছে বৃটেনের একটি ট্যাবলয়েড পত্রিকার অনলাইন সংস্কারণ। করোনা মহামারির বিষয়ে সরকার উপযুক্ত ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে তাদের কড়া সমালোচনা করেছেন দেশটির ২৩০০ ডাক্তার ও শিক্ষাবিদ। তবে খুব বিরল ক্ষেত্রে কঠোর প্রতিরোধমুলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। অন্যদিকে ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী স্টেফ্যান লোফভেন তার দেশকে সতর্ক করলেন। তিনি সোশ্যাল ডেমোক্রেট নেতা। হুঁশিয়ারি দিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করবে। এ জন্য প্রস্তুত থাকুন।

ইউরোপসহ বিশে^র অন্য দেশগুলোতে জীবনযাত্রা যেখানে ঘরের চার দেয়ালে বন্দি, সেখানে সুইডেনে স্বাভাবিক। কেউ কোনো করোনাকে পাত্তাই দিচ্ছেন না। এ অবস্থা দেখে ইউরোপের বহু দেশ বিস্ময় প্রকাশ করেছে। সুইডেনের বেশির ভাগ বার, খাবার দোকান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমনকি অফিস পর্যন্ত খোলা। সেখানে ৫০০ পর্যন্ত মানুষকে একত্রিত হতে দেয়া হচ্ছে। তবে শুধু ঝুঁকিতে থাকা নাগরিকরাই বাড়িতে স্বেচ্ছায় আইসোলেশনে রয়েছেন।

সরকার সমর্থিত পাবলিক হেলথ এজেন্সি অব সুইডেন বলেছে, নিজেরা সামাজিক দূরত্ব ভঙ্গ করছেন এ বিষয়ে সুইডিশ নাগরিকদের মধ্যে যথেষ্ট সাধারণ জ্ঞান আছে। বিধিনিষেধ দেয়া হলে তা রাখতে হবে কয়েক মাস। কিন্তু সেখানে মৃতের সংখ্যা ৪০১ ্এবং আক্রান্তের সংখ্যা ৬৮৩০ অতিক্রম করার পর এই সুরে পরিবর্তন এসেছে। গত সপ্তাহে নোবেল ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্ল-হেনরিক হেলডিন সহ কমপক্ষে ২০০০ চিকিৎসক ও শিক্ষাবিদ সুইডেনকে নতুন করে জেগে উঠার আহ্বান জানিয়ে একটি খোলা চিঠি লেখেন। একটি কেয়ার হোমে এই ভাইরাসে আক্রান্ত প্রায় ৫০ জন প্রবীণ মারা যাওয়ার পর রাজধানী স্টকহোমকে লকডাউন করে দেয়ার দাবি ওঠে।

সোনালীনিউজ/টিআই

Wordbridge School

আন্তর্জাতিক বিভাগের আরো খবর

Link copied!