• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অসহযোগ আন্দোলনের ডাক ও স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ


নিজস্ব প্রতিবেদক মার্চ ৪, ২০১৯, ০১:২৫ পিএম
অসহযোগ আন্দোলনের ডাক ও স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ

ঢাকা : একাত্তরের ৩ মার্চ (বুধবার) ছিল রক্তঝরা দিন। আগের দিন (২মার্চ, মঙ্গলবার)  এবং এ দিনের হরতালে পাক সেনাদের গুলিতে ঢাকায় ২৫ ও চট্টগ্রামে অন্তত ৭৫জন সহ মোট একশ’ ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করে। দেশজুড়ে হাতহতের সংখ্যা ছিল দু’হাজারেরও বেশি। ২ মার্চের গণহত্যার শোক ঘোষণা হয় এদিনে। গণহত্যার শোক দিবস আর অর্ধদিবস হরতালের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ৩ মার্চের দিনটি।

এই দিনে পল্টনের জনসভায় অহিংস অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ছাত্রলীগ ও জাতীয় শ্রমিক লীগ আহূত এ সভায় স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেন ছাত্রনেতা শাজাহান সিরাজ। এদিন সকাল থেকেই যথারীতি মিছিলের নগরী হয়ে ওঠে ঢাকা। শান্তিপূর্ণভাবে অর্ধদিবস হরতাল পালনের সঙ্গে সঙ্গে মিছিলে মিছিলে ঢেকে যায় পুরো নগরী।

পরিস্থিতির ভয়াবহতা আঁচ করতে পেরে এদিন পার্লামেন্টারি গ্রুপের ১২ জন নির্বাচিত নেতাকে ১০ মার্চ বৈঠকে আমন্ত্রণ জানান ইয়াহিয়া খান। বঙ্গবন্ধু  শেখ মুজিবুর রহমান এ আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেন। অন্যদিকে ভুট্টো এটা গ্রহণ করেন। আর এ দিনই মওলানা ভাসানীর তীব্র নিন্দাসূচক ও ব্যাঙ্গাত্মক টেলিগ্রাম পৌঁছে ইয়াহিয়ার কাছে।

এ সব ঘটনা স্বাধীনতার লক্ষ্যে আরো বড় ধরনের আত্মত্যাগের জন্য প্রস্তুত করে তুলে ছিল গোটা জাতিকে। তারা ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের ডাকের অপেক্ষা করতে থাকে।

পরদিন অর্থাৎ ৪ মার্চ (বৃহস্পতিবার) প্রকাশিত বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় এসব বিষয় গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশিত হয়। এ দিন (৪ মার্চ) দৈনিক ইত্তেফাক ৩ মার্চের পল্টনের জনসভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অহিংস অহযোগ আন্দোলনের ঘোষনা প্রধান খরব হিসেবে ‘ক্ষমতা হস্তান্তর না করা পযন্ত কর- খাজনা বন্ধ’  শিরোনামে ছবিসহ ৮ কলামে প্রকাশ করে। এছাড়া ইত্তেফাক ‘প্রসিডেন্ট কর্তৃক নেতৃ-সম্মেলনের আমন্ত্রণ’,  ‘শেখ মুজিব কর্তৃক ‘বন্দুকের নলের মাথায়’ সম্মেলনের আমন্ত্রণ প্রত্যাখান’, ‘ ভুট্টোর গ্রহণ’, প্রেসিডেন্টের প্রতি ভাসানীর তারবার্তা’ ‘ঢাকায় গত দুই দিনে ২৫জন নিহত এবং তিন শতাধিক আহত’, ‘চট্টগ্রামে হাঙ্গামা: রংপুর ও সিলেটে সান্ধ্য আইন’ শিরোনামে ২ এবং ৩ মার্চের ঘটনা গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশ করে।   

আজাদ এদিন ‘পল্টনের জন সমুদ্রে শেখ মুজিব: শান্তি শৃঙ্খলা বাজায় রাখুন’ শিরোনামে প্রধান খবর হিসেবে ৭ কলামে প্রকাশ করে। আজাদ-এ গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশিত অন্যন্য সংবাদগুলোর শিরোনাম ছিল ‘চট্টগ্রামে ৭১ ব্যক্তি নিহত: বহু আহত’, ‘প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া কর্তৃক ১০ই মার্চ ঢাকায় নেতাদের বৈঠক আহ্বান’,  ‘মুজিব কর্তৃক প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণ প্রত্যাখান’, ‘আবার কারফিউ লঙ্ঘন’  ইত্যাদি।

আর সংবাদ এদিন ‘প্রেসিডেন্টের নেতৃ সম্মেলন শেখ মুজিব কর্তৃক প্রত্যাখান ’ শিরোনামে প্রধান খবর হিসেবে ৭ কলামে প্রকাশ করে। এছাড়াও সংবাদ এদিন ‘ খাজনা-ট্যাক্স প্রদান বন্ধ করুন: মুজিব’, ‘নিহতের সংখ্যা ২৫-এ উন্নীত, আহত ১৩৩ জনকে হাসপাতালে ভর্তি’, ‘চট্টগ্রামে উ™ে^গজনক পরিস্থিতি’,  শিরোনামের খবর  গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশ করে।
 
৭১-এর  ৪ মার্চ (বৃহস্পতিবার)  দৈনিক ইত্তেফাক- প্রকাশিত কয়েকটি প্রতিবেদন তুলে ধরা হল:  

ক্ষমতা হস্তান্তর না করা পর্যন্ত কর-খাজনা বন্ধ

জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত রাখার প্রতিবাদে ঘোষিত কর্মসূচি পালনের দ্বিতীয় দিবসে গতকল্য (৩ মার্চ) বুধবার ঢাকার ঐতিহাসিক পল্টন ময়দানের উত্তাল-উদ্দাম, বিশাল জনসমুদ্রের উদ্দেশে ভাষন দান কালে আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ মুজিবুর রহমান বিগত দিনের ঘটনাবলীর পটভুমিতে বিচার করিয়া তুমুল করতালির মধ্যে সামরিক সরকারকে অবিলম্বে গণ-পরিষদের হস্তে ক্ষমতা সমর্পন করিয়া ব্যারাকে ফিরিয়া যাওয়ার আহ্বাণ জানাইয়া জলদগম্ভীর স্বরে ঘোষণা করেন: বাংলার প্রতিনিধিদের হাত ক্ষমতা সমর্পন করিয়া ব্যারাকে ফিরিয়া না যাওয়া পর্যন্ত সরকারের সাহিত স্বাধীকারকামী বাংলার মানুষ আর সহযোহিতা করিবে না, কোনো কর খাজনাও দিবে না।

ছাত্রলীগ ও জাতীয় শ্রমিক লীগের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই মহতী  সমাবেশে আগ্রহ ব্যাকুল অযুথ শ্রোতৃমÐলীকে স্বাক্ষী রাখিয়া আওয়ামী লীগ প্রধান সর্বাত্মক অহিংস অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়া সরকারী বেসরকারী চাকুরিজীবীদের প্রতি নির্দেশ দেন: পুনরাদেশ  না দেওয়া পর্যন্ত আপনারা অফিস আদালতে যাওয়া বন্ধ রাখুন।

বেতার, টেলিভিশন ও পত্র-পত্রিকার প্রতি নির্দেশ দিয়া তিনি বলেন, ‘যদি আমাদের বক্তব্য বিবৃতি, আমাদের আন্দোলনের খবরা খবর প্রকাশ-প্রচারের উপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়, সে নির্দেশ আপনারা লঙ্ঘন করুন’।

ভুট্টোগংদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক নিয়মে প্রনীত এক শাসনতন্ত্র যদি না চান, আপনারা আপনাদের শাসনতন্ত্র রচনা করুন। বাংলাদেশের শাসনতন্ত্র আমরাই রচনা করিব’। ...

প্রেসিডেন্ট কর্তৃক নেতৃ-সম্মেলনের আমন্ত্রণ

রাওয়ালপিন্ডি, ৩রা মার্চ।  প্রেসিডেন্ট ভবন হইতে আজ ঘোষণাটি প্রচার করা হয়। ‘একটি সাধারণ লক্ষ্য অর্জনে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দেকে সাহায্য করিতে প্রেসিডেন্ট তাহার সাধ্যানুযায়ী সব কিছুই করিবেন বলিয়া গত ১ মার্চের ঘোষণায় যে প্রতিশ্রুতি দিয়া ছিলেন, তদনুযায়ী তিনি ঢাকায় এক বৈঠকে মিলিত হওয়ার জন্য জাতীয় পরিষদের সকল পার্লামেন্টারী গ্রুপের নির্বাচিত নেতাদের নিকট জরুরী ব্যক্তিগত আমন্ত্রণ লিপি প্রেরণ করিয়াছেন। আগামী ৮ই মার্চ পবিত্র আশুরার দিন পড়ায় আগামী ১০ই মার্চ এই সম্মেলনের দিন ধার্য করা হইয়াছে।

এই সম্মেলন অনুষ্ঠানের পর ‘দুই সপ্তাহের মধ্যে কেন জাতীয় পরিষদের অধিবেশন অনুষ্ঠিত হইতে পারিবে না, প্রেসিডেন্ট উহার কোনো কারণ দেখিতেছেন না’।

সম্মেলনে যোগদানের জন্য আমন্ত্রিত নেতারা হইলেন: আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ মুজিবুর রহমান, পিপিপি প্রধান জনাব জুলফিকার আলী ভুট্টো, কাইয়ুমপন্থী পাকিস্তান মুসলিম লীগের খান আব্দুল কাইয়ুম খান, কাউন্সিল মুসলিম লীগের মিয়া মোহাম্মদ মুমতাজ দৌলতানা, হাজারভীপন্থী জমিয়তুল উলেমা-ই- ইসলামের মওলানা মুফতী মাহমুদ, ন্যাপের খান আব্দুল ওয়ালী খান, জামিয়াতুল উলেমা-ই- পাকিস্তানের মওলানা শাহ আহম্মদ নুরানী, জামাতে ইসলামীর জনাব আবদুল গফুর আহমদ, কনভেনশন মুসলিম লীগের জনাব মোহাম্মদ জামান কোরিফা, পিডিপি’র জনাব নুরুল আমিন এবং উপজাতীয় অঞ্চল হইতে নির্বাচিত জাতীয় পরিষদের সদস্যদের প্রতিনিধি মেজর জেনারেল জামালদার ও মালিক জাহাঙ্গীর খান।  

শেখ মুজিব কত্তৃক ‘বন্দুকের নলের মাথায়’ সম্মেলনের আমন্ত্রণ প্রত্যাখান

আওয়ামী লীগের প্রধান শেখ মুজিবুর রহমান আগামী ১০ই মার্চ ঢাকার রাজনৈতিক সম্মেলনে যোগদানের জন্য প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার আমন্ত্রণকে ‘বন্দুকের নলের মাথায়’ আমন্ত্রণের নামে ‘নিষ্ঠুর তামাসা’ বলিয়া আখ্যায়িত করিয়া উহা প্রত্যাখান করিয়া দিয়াছেন।

গতকাল (৩মার্চ) বুধবার রাতে এক বিবৃতিতে শেখ সাহেব বলেন, বেতারে প্রচারিত এই আমন্ত্রণের পটভুমিতে রহিয়াছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় নিরস্ত্র বেসামরিক নাগরিকদের পাইকারীহারে হত্যার বেদনাদায়ক অধ্যায়।

তিনি বলেন, যেই মুহুর্তে এইসব বীর শহীদদের রক্তের দাগ রাজপথের বুক হইতে এখনো শুকাইয়া যায় নাই, যখন বহু শহীদের নশ^র দেহ দাফনের প্রতীক্ষায় পড়িয়া আছে, যখন শত শত বুলেটবিদ্ধ মানুষ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা কষিয়া চলিয়াছে সেই মুহুর্তে এই সম্মেলনের আমন্ত্রণ নিষ্ঠুর তামাসা ছাড়া আর কিছুই নয়। ইহা আরো নির্মম উপহাসের স্বরূপ এই জন্য যে, এমন কিছু লোকের সঙ্গে আমাদের একত্রে বসিতে বলা হইয়াছে যাদের হীন চক্রান্তই নিরীহ নিরস্ত্র ছাত্র-শ্রমিক-কৃষক জনতার মৃত্যুর জন্য দায়ী।

শেখ মুজিব বলেন, যখন সামরিক প্রস্তুতি অব্যাহত, যখন আমাদের কানে বাজিতেছে অস্ত্রের ভাষার সুতীব্র হুংকার, সেই মুহুর্তে এই আমন্ত্রণ বন্দুকের নলের মাথায় আমন্ত্রণের শামিল। আর এই পরিস্তিতিতে এই ধরনের আমন্ত্রণ গ্রহনের প্রশ্নই ওঠে না। তাই আমি ইহা প্রত্যাখান করিতেছি।

ভুট্টোর গ্রহণ

করাচী, ৩রা মার্চ জনাব ভুট্টো প্রেসিডেন্ট কর্তৃক আগামী ১০ই মার্চ ঢাকায় আহুত নেতৃ সম্মেলনে যোগদান করিবেন। পিপলস্ পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক সমাপ্ত হওয়ার অব্যবহিত পরে পার্টির মুখপাত্র জনাব আব্দুল হাফিজ পীরজাদা এ কথা ঘোষণা করেন।  

পীরজাদা বলেন যে, প্রস্তাবিত সম্মেলনে শেখ মুজিবের সঙ্গে আলোচনার সুযোগ গ্রহণের জন্যই পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিয়াছে। এনা  

ঢাকায় গত দুই দিনে ২৩ জন নিহত ও তিন  শতাধিক আহত

গত মঙ্গলবার (২ মার্চ) ও গতকল্য বুধবার (৩মার্চ) শহরের বিভিন্নস্থানে কারফিউ লঙ্ঘনের কারণে শান্তি ও শৃঙ্খলা বাহিনীর গুলীবর্ষন, ছুরিকাঘাত, বোমা, ইট-পাটকেল ও লাঠির আঘাত এবং প্রাইভেট বন্দুক ও পয়েন্ট ২২ রাইফেলের গুলীতে ২৩ ব্যক্তি নিহত ও সোয়া তিন শতাধিক ব্যক্তি আহত হইয়াছেন বলিয়া বিভিন্ন সূত্র হইতে প্রাপ্ত খবরে জানা যায়। ইহাদের মধ্যে ১৬ জনকে মৃত অবস্থায় শহরের বিভিন্ন এলাকা ইহতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়।

নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে যাহাদের নাম ঠিকানা সংগ্রহ করা সম্ভব হইয়াছে তাহা নিম্নে প্রদত্ত হইল: ১. ফারুক (২০) সাধারণ সম্পাদক ছাত্র সংসদ, আবুজর গিফারী কলেজ, ২. মাহমুদ হোসেন (১১) পিতা : আব্দুর সোবহান, ২৪/২ বেগমগঞ্জলেন, নারিন্দা, ৩. আব্দুর রশিদ (২৫), ৪. হানিফ (২৪) টিপুসুলতান রোড়, ৫. আব্দুর রশিদ (২০) আদমজীনগর, দেশেবাড়ি পটুয়াখালী জেলার বাউফল থানার ইন্দুপুর গ্রাম, ৬. কেন্দু মিয়া (১৮), ৭. আব্দুল হক (৫০), ৮. ফয়েজ আহমদ (২৫) পিতা মৃত মনুমিয়া, রেলওয়ে গ্যাংম্যান, বাড়ি সীতাকুন্ডু চট্টগ্রাম, ৯. আমানউল্লা (১৪), ১০. আবুল কাশেম, ফেরী নৌকার মাঝি, কালিগঞ্জ, ঢাকা, ১১. রমজান আলী (৩৭) তাতীবাজার ঢাকা, ১২. রেনু মিয়া রিক্সাওয়ালা, ৯৭/২ রামকৃষষ্ণমিশন রোড, ঢাকা, ১৪. সিরাজ (১১) ৬ নং কাজী আব্দুল হামিদ লেন, ঢাকা।

সরেজমিন দেখিয়া যান, প্রেসিডেন্টের প্রতি ভাসানীর তারবার্তা

গতকাল (বুধবার ৩মার্চ) রাতে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের নিকট প্রেরিত এক তারবার্তায় জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণার প্রতিবাদ জানাইয়াছেন।

তিনি প্রেসিডেন্টকে অবিলম্বে ঢাকায় আসিয়া সরেজমিন এখানকার বর্তমান পরিস্থিতি পরিদর্শনের আহ্বান জানান। মওলানা ভাসানী বলেন যে, সংখ্যা গরিষ্ঠ জনগণের প্রতিনিধিরা যখন জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে যোগদানের জন্য প্রস্তুত ও ইচ্ছুক ছিলেন, তখন উহা স্থগিত রাখার কি কারণ থাকিতে পারে তাহা তিনি বুঝিতে পারিতেছেন না। এপিপি

চট্টগ্রামে হাঙ্গামা: রংপুর ও সিলেট সান্ধ্য আইন

স্বাধীকার আন্দোলনের নায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সংগ্রামী বাংলা রুখিয়া দাড়াইয়াছে। স্বাধীকার আন্দোলনের ওপর হামলার বিরুদ্ধে গণমানুষের আশা আকাঙ্খা নস্যাতের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে এক কণ্ঠ হইয়া গিয়াছে টেকনসাফ হইতে পঞ্চগড় পর্যন্ত সমগ্র বাংলাদেশ। আর বীর প্রসবিনী বাংলার দশ দিগন্তে স্বাধীকারকামী গণশক্তির সেই প্রচণ্ড গণ বিস্ফোরণের গৌরবময় পথ-সিঁড়ি আবার রক্তাক্ত হইয়াছে নিরিহ গণমানুষের রক্তে- আবার রক্ত গঙ্গায় সয়লাব হইয়া গিয়াছে বাংলার শ্যামল মাটি।

গতকাল বুধবার ঢাকায় হরতাল পালনের জাতীয় দিনে শহীদদের সংখ্য এসে দাড়াইয়াছে তেইশে, আর দেশব্যাপী হরতালের প্রথম দিনেই আত্মাহুতি দিয়াছে বীর চট্টলার অন্তত ৭৫টি সোনার সন্তান। আর এই খবর খেলার সময় পর্যন্ত বাংলার অনন্ত তিনটি জায়গায় ঢাকা, সিলেট ও রংপুরে নামিয়া আসিয়াছে সান্ধ্য আইনের করাল ছায়া।  

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!