• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

অসুস্থ নবজাতককে হাসপাতালে রেখে পালালেন মা


চাঁদপুর প্রতিনিধি ডিসেম্বর ৮, ২০১৯, ০৩:০০ পিএম
অসুস্থ নবজাতককে হাসপাতালে রেখে পালালেন মা

চাঁদপুর : ১৫ দিন বয়সী এক নবজাতককে রেখে পালিয়ে গেছেন তার মা। চাঁদপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে এ ঘটনার পর থেকে কন্যা শিশুটিকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে যাচ্ছেন অনেক নিঃসন্তান দম্পতি। তাদের কেউ কেউ শিশুটিকে লালন-পালন করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

এ বিষয়ে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. সুজাউদ-দৌলা রুবেল জানান, অপরিণত বয়সে জন্ম নেয়া শিশুটি প্রথম দিকে অসুস্থ থাকলেও সেবা-যত্ন পেয়ে এখন বেশ সুস্থ। প্রকৃত অভিভাবক শেষ পর্যন্ত না এলে নিয়ম মেনেই শিশুটির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
 
তিনি আরো বলেন, শিশুটির শারীরিক অপূর্ণতা থাকলেও এখন ভালো সেবা পেয়ে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে শুরু করেছে। হাসপাতালে এই শিশুটিকে দত্তক নিতে ইতোমধ্যে ১৫ জনেরও বেশি ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।

বিষয়টি নিয়ে হাসপাতালের সিনিয়র নার্স মুক্তি রাণী দাস জানান, গত ১৫ দিন আগে এখানে এক মা এই কন্যা সন্তান প্রসব করেন। চারদিন প্রসূতি ও নবজাতক একসঙ্গে ছিল। পরে চলেও যায় তারা। কিন্তু ঠান্ডাজনিত সমস্যা হওয়ায় শিশুটিকে নিয়ে আবারও হাসপাতালে ভর্তি হয় মা। গত বৃহস্পতিবার রাতে হাসপাতালের ৪র্থ তলায় নারী ও শিশু ওয়ার্ডের একটি বেডে শিশুটিকে একা ফেলে রেখে চলে যান মা। বাচ্চার কান্নার শব্দ শুনে এ সময় সেখানে ছুটে যান কর্তব্যরত নার্স। 

কিন্তু অনেক সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও শিশুটির পাশে ছুটে আসেনি তার মা। এই নিয়ে পুরো হাসপাতালে হইচই পড়ে যায়। চাঁদপুর সদর উপজেলার শাহতলী গ্রামের নাম ঠিকানা ব্যবহার করে ‘সাথী’ নামে হাসপাতালে ভর্তি হলেও সেখানে এই ঠিকানায় তাদের কোনো অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। হাসপাতালের রেজিস্ট্রি খাতায় মেয়ের নানার নাম তাজুল ইসলাম লেখা ছিল। এ নিয়ে বেকায়দায় পড়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

এদিকে, হাসপাতালে ফেলে যাওয়া শিশুটিকে নিয়ে যেতে অনেকেই আগ্রহ দেখাচ্ছেন। ইতোমধ্যে একজন মা তার বুকের দুধ খাওয়াতে শুরু করেছেন। তিনি নিয়মিত শিশুটির দেখাশোনাও করছেন। হাসপাতালে কর্তব্যরত নার্স ও কুলসুমা বেগম নামে এক নারী গত তিন দিন ধরে শিশুটিকে দেখাশোনা করে সুস্থ করে তুলছেন।

এ বিষয়ে কুলসুমা বেগম বলেন, আমি শিশুটিকে মায়ের আদর-স্নেহ দিয়ে লালন-পালন করছি। তাকে পালনের জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বলেছি। কিন্তু তারা কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি।

বিষয়টি নিয়ে সমাজসেবা অধিদফতরের কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বলেন, সরকারি নিয়ম মেনেই নবজাতকটি যাতে ভালোভাবে বেড়ে ওঠা তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!