• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অসুস্থতার কারণে রাজনীতি ছাড়ছেন মিঠুন!


বিনোদন ডেস্ক ডিসেম্বর ২৭, ২০১৬, ১২:৪৪ পিএম
অসুস্থতার কারণে রাজনীতি ছাড়ছেন মিঠুন!

ঢাকা: হুট করে মানুষের নেতা বনে যাওয়া পর্দার সেই ফাটাকেষ্ট বাস্তবেও রাজনীতিতে ছিলেন সক্রিয়। পশ্চিম বাংলার দাপুটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর তৃণমূল কংগ্রেস-এর দলে নাম লেখিয়ে সাংসদও হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই দল থেকে অভিমান করে সংসদ সদস্য হিসেবে পদত্যাগ করলেন তিনি। যদিও নিজের অসুস্থতাকে কারন হিসেবে দেখিয়েছেন তিনি। 

তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদ সদস্য অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। সাংসদ হিসেবে হিসেব অনুযায়ি তার ক্ষমতায় থাকার কথা আসছে ২০২০ সাল পর্যন্ত। কিন্তু তার আগেই গত ২৬ ডিসেম্বর পদ ছাড়লেন তিনি।

ভারতীয় শীর্ষস্থানীয় সংবাদ মাধ্যম ‘এনডিটিভি’ জানিয়েছে, শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে সংসদ সদস্যের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন মিঠুন চক্রবর্তী। তৃণমূল কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা ডেরেক ও’ব্রেনের বরাত দিয়ে সংবাদ মাধ্যমটি জানায়, মিঠুন চক্রবর্তীর এমন সিদ্ধান্তের কথা দ্রুতই মমতা ব্যানার্জীকে জানানো হয়েছে। তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হবে কিনা সে বিষয়ে জানা না গেলেও শিগগির মমতা এই বিষয়ে মিঠুনের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানা গেছে। 

অন্যদিকে পার্টির ভেতরের খবর ভিন্ন। মূলত মিঠুনের সঙ্গে পার্টির অন্যান্য নেতা নেত্রীদের দূরত্ব তৈরি হচ্ছিল। পার্টির নিয়ম অনুযায়ি প্রতি সংসদে পরপর তিনদিন অনুপস্থিতির নিয়ম নেই। কিন্তু মিঠুন বহুদিন ধরেই এই নিয়ম ভঙ্গ করে আসছিলেন। আর এই কারনেই পার্টির অনেক নেতার মধ্যে কানাঘুষা হচ্ছিল। এমনকি মিঠুন মমতার কাছ থেকে বিশেষ সুবিধা নিচ্ছেন, এমন কথাও নাকি উচ্চারিত হয়েছে। আর এইসব শুনেই পার্টি থেকে সরে দাঁড়ালেন তিনি।  

সিনেমার ক্যারিয়ারে কখনো দুর্নীতির কথা মিঠুনের বিরুদ্ধে শোনা না গেলেও রাজনীতিতে মমতার সঙ্গে জড়িয়ে চিটফান্ডের একটি মামলায় আসে তার নাম। আর এরপরেই ‘রহস্যজনক’ ভাবে হারিয়ে যান মিঠুন চক্রবর্তী। এমনকি, রাজ্যসভাতেও দেখা যায়নি তাকে। একাধিকবার রাজ্যসভাতে চিঠি পাঠিয়ে ছুটি চেয়ে নিয়েছেন তৃণমূলের এই সাংসদ। রাজনীতিতে আসার পর সৎ মানুষ হিসেবে পরিচিত মিঠুনের নামে এমন কলঙ্ক লেপন মেনে নিতে পারছেন না বলেই কি তাহলে শেষ পর্যন্ত দল ছাড়লেন?

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমটিএল

Wordbridge School
Link copied!