• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

অ্যাটর্নি জেনারেলের স্ত্রী বারবার বলেছিলেন ‘ক্ষমা করে দিও’


নিজস্ব প্রতিবেদক সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২০, ০১:৪১ পিএম
অ্যাটর্নি জেনারেলের স্ত্রী বারবার বলেছিলেন ‘ক্ষমা করে দিও’

ঢাকা : সকাল ১০টা বেজে ৪০ মিনিট তখন। অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমকে নিয়ে লাশবাহী ফ্রিজিং গাড়িটি সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের উদ্দেশে রওয়ানা দিয়েছে। এ সময় মাহবুবে আলমের স্ত্রী বিনতা মাহবুব বাসা থেকে দৌড়ে গাড়ির কাছে আসেন। অঝোরে কাঁদতে থাকেন। বিদায়বেলায় তিনি মরদেহবাহী গাড়ি ধরে বারবার বলতে থাকেন। ‘ক্ষমা করে দিও, ক্ষমা করে দিও তুমি; আমাকে ক্ষমা করে দিও।’   

সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের জানাজা সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সম্পন্ন হয়েছে।

মাহবুবে আলম দীর্ঘ ৪৫ বছর ধরে সুপ্রিম কোর্টে আইন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। সর্বশেষ টানা ১১ বছর দেশের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে এখানে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

তার সম্মানে আজ সোমবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগ বসছে না বলেই আগেই জানানো হয়েছে। তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীসহ আরও অনেকে।

মাহবুবে আলম রোববার সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিটে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। 

সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে বেইলি রোডের সরকারি বাসায় তার মরদেহ আনা হয়। সেখান থেকে সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটের দিকে তার মরদেহবাহী গাড়ি সুপ্রিম কোর্ট প্রঙ্গণের দিকে রওনা হয়। ১০টা ৪১ মিনিটের দিকে গাড়িটি সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে পৌঁছায়।

সেখানে তার মরদেহে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান দীর্ঘদিনের সহকর্মী আইনজীবীসহ রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গরা। তার মধ্যে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকও উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সোমবার সকাল থেকে মাহবুবে আলমকে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য তার সহকর্মী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গরা হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে জমায়েত হতে থাকেন।

মাহবুবে আলম জ্বর ও গলাব্যথা নিয়ে গেলো চার সেপ্টেম্বর সিএমএইচ হাসপাতালে ভর্তি হন। ওই দিনেই করোনা পরীক্ষা করালে তার রিপোর্টে পজিটিভ আসে। গেলো ১৯ সেপ্টেম্বর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিউতে স্থান্তর করা হয়। এরপর থেকে সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন।

১৯৭৫ সালে সুপ্রিম কোর্টের এ সিনিয়র আইনজীবী আইন পেশায় নিযুক্ত হন। ১৯৯৮ সালের ১৫ নভেম্বর থেকে ২০০১ সালের ৪ অক্টোবর পর্যন্ত অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন।

এর আগে মাহবুবে আলম সুপ্রিম কোর্ট বারের ১৯৯৩ সালে সম্পাদক ও ২০০৫-২০০৬ সালে সভাপতি নির্বাচিত হন। পরে ২০০৯ সালের ১৩ জানুয়ারি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন।

তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু হত্যা, জাতীয় চার নেতা হত্যা, সংবিধানের ত্রয়োদশ ও ষোড়শ সংশোধনীসহ ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানি করেন।

সোনালীনিউজ/এএস
 

Wordbridge School
Link copied!