• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

অ্যাডহক নয়, ফেডারেশনে নির্বাচিত প্রতিনিধি চান ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী


ক্রীড়া প্রতিবেদক জানুয়ারি ১৭, ২০১৯, ০৬:৪৭ পিএম
অ্যাডহক নয়, ফেডারেশনে নির্বাচিত প্রতিনিধি চান ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: বাবা প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা আহসানউল্লাহ মাস্টারের মৃত্যুর পর থেকে গাজীপুর-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে আসছেন তার সুযোগ্য পুত্র জাহিদ আহসান রাসেল। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টানা চতুর্থ বারের মতো এমপি হয়ে যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পেয়েছেন রাসেল। দায়িত্ব নিয়েই ক্রীড়াঙ্গনকে মাদক, সন্ত্রাস ও দুর্নীতিমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন।  

এবার চাপিয়ে দেয়া অ্যাডহক কমিটি দিয়ে পরিচালিত ফেডারেশনগুলোতে গণতান্ত্রিক ধারা ফেরানোর আশ্বাস দিলেন নতুন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। বুধবার ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশনগুলোর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে মত বিনিময় সভায় এই আশ্বাস দেন তিনি।  এছাড়া ক্রীড়াঙ্গনের উন্নয়নে খেলোয়াড়দের জন্য দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করারও ঘোষণা দেন প্রতিমন্ত্রী।

বর্তমানে ৫৩টি ক্রীড়া ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশন রয়েছে। এর মধ্যে ২১ টিই চলছে অ্যাডহক কমিটি দিয়ে। ৪০ ভাগ ফেডারেশনে অ্যাডহক কমিটি থাকায় হতাশা প্রকাশ করেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী।  

তিনি বলেন, ‘৫৩ টি ফেডারেশন/অ্যাসোসিয়েশনের মধ্যে ২১ টিতে অ্যাডহক কমিটি। এ বিষয়টা আমার কাছে খারাপ লেগেছে। অনির্বাচিত কমিটি দিয়ে আশানুরূপ ফলাফল করা দুরূহ কাজ। যে সব ফেডারেশনে অ্যাডহক কমিটি আছে শীঘ্রই সেগুলোতে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে হবে। আমি সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করছি, নির্বাচনের মাধ্যমে দ্রুত পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে।

জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, ‘মত বিনিময় সভায় আলোচনা করে অনেক কিছু জানলাম। এরপর আরেকটি বৈঠক করবো। আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারে ক্রীড়াঙ্গন নিয়ে যে প্রতিশ্রুতিগুলো আছে, তা বাস্তবায়নের দায়িত্ব আমাদের। বাস্তবায়নের জন্য সবার মতামত নিয়ে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা করতে চাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যতো বাজেট দেই, যতো প্রশিক্ষণ করাই, সবই বৃথা যাবে আন্তরিকতা না থাকলে। আগামী ১ বছরে, ৩ বছরে এবং ৫ বছরে ফেডারেশনকে আপনারা কোথায় দেখতে চান, সে লক্ষ্য ঠিক করেন। আপনাদের কাছে পরিকল্পনা চাচ্ছি। আপনাদের পরিকল্পনা না পেলে অর্থ মন্ত্রণালয়ে কিভাবে টাকা চাইবো?’

ক্রীড়াঙ্গনের বাজেট বৃদ্ধির চেষ্টা করবেন উল্লেখ করে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি থাকাকালীন অনেক সুপারিশ করেছিলাম। সেগুলো এখন আমার টেবিলেই। ওই সুপারিশগুলো আবার দেখে কিভাবে বাস্তবায়ন করা যায় সে ব্যবস্থা নেবো। আমাদের ইনডোর গেমসের জন্য জায়গার অভাব। আমরা চেষ্টা করেছিলাম অত্যাধুনিক ক্রীড়া কমপ্লেক্স কিংবা অলিম্পিক ভিলেজ করতে। নানা কারণে হয়নি। এবার যাতে করতে পারি সে চেষ্টা থাকবে। আমার অন্যতম কাজ হবে বাজেট বৃদ্ধি করা। আমি ইতিমধ্যে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলেছি। তিনিও খেলাধুলার মানুষ। আশা করি, তার অনেক সহযোগিতা পাবো।’

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!