• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

অ্যাম্বুলেন্সে লাশ নেই, আছে মদ!


ময়মনসিংহ প্রতিনিধি মার্চ ২১, ২০১৯, ০৯:০৪ পিএম
অ্যাম্বুলেন্সে লাশ নেই, আছে মদ!

ময়মনসিংহ: অ্যাম্বুলেন্সে রোগী নেই, নেই মরদেহ কিংবা অন্য কিছু। তবে অ্যাম্বুলেন্সের ভেতরে প্লাস্টিকের কন্টেইনার ভর্তি এক হাজার লিটার মদ পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দুপুরে মদের কন্টেইনারে ঠাসা এমনই একটি অ্যাম্বুলেন্স আটক করে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা থানা পুলিশ।

এ সময় আটক করা হয় অ্যাম্বুলেন্সের চালক শহীদুল ইসলামকেও (৩৫)। আটকের পর খোদ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একজন পরিদর্শক থানায় গিয়ে মদ ভর্তি অ্যাম্বুলেন্সটি ছাড়িয়ে নিতে তদবিরে ব্যস্ত হয়ে ওঠেন। কিন্তু পুলিশ তার কথা শুনেনি।

পুলিশ জানায়, দুপুরে ময়মনসিংহ থেকে একটি অ্যাম্বুলেন্স মুক্তাগাছা হয়ে টাঙ্গাইলের দিকে যাচ্ছিল। অ্যাম্বুলেন্সটি মুক্তাগাছা শহরে পৌঁছালে মুক্তাগাছা থানার এসআই আলী আজহারের নেতৃত্বে থাকা একদল পুলিশের সন্দেহ হলে তারা অ্যাম্বুলেন্সটি আটক করে। পরে অ্যাম্বুলেন্সটি তল্লাশি করে রোগীর বদলে মেলে ৩৫টি প্লাস্টিকের কন্টেইনার। প্রত্যেকটি কন্টেইনারে পাওয়া যায় বাংলা মদ। পরে চালকসহ অ্যাম্বুলেন্সটি আটক করে থানায় নেয়া হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে অ্যাম্বুলেন্সের চালক শহীদুল ইসলাম জানান, তিনি ওই অ্যাম্বুলেন্সে ময়মনসিংহ থেকে এক হাজার লিটার বাংলা মদ টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার পোড়াপাশা গ্রামে নিয়ে যাচ্ছিলেন। সেখানকার মো. রনি মিয়া এই মদের মালিক।

মুক্তাগাছা থানার ওসি আলী আহমেদ মোল্লা জানান, ময়মনসিংহ থেকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক চন্দন গোপাল সুর মুক্তাগাছা থানায় গিয়ে এসব মদ বৈধ দাবি করে মদসহ অ্যাম্বুলেন্সটি ছাড়িয়ে নিতে চেষ্টা করেন। কিন্তু পুলিশ তার কথায় আশ্বস্ত হতে পারেনি। তাই অ্যাম্বুলেন্স, মদ এবং চালককে আপাতত আটক করে রাখা হয়েছে। আটক মদের বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। কাগজপত্র বৈধ কি-না তাও যাচাই করা হচ্ছে।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!