• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

আওয়ামী লীগের কাউন্সিল ও বিএনপির প্রতিক্রিয়া


মহিউদ্দিন খান মোহন জানুয়ারি ৪, ২০২০, ০৪:০০ পিএম
আওয়ামী লীগের কাউন্সিল ও বিএনপির প্রতিক্রিয়া

ঢাকা : বলা যায় রাজকীয় আযোজনের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হলো আওয়ামী লীগের ২১তম কাউন্সিল সম্মেলন।

গত ২০ ও ২১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ওই সম্মেলনকে কেন্দ্র করে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে দলটির নেতাকর্মীদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছিল ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার। কাউন্সিলে নতুন করে কারা নেতৃত্বে আসছেন তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনার শেষ ছিল না।

সভাপতি পদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই থাকছেন এটা সবারই জানা ছিল। এবার নিয়ে তিনি নবমবারের মতো সভাপতি হলেন। আর বছর হিসেবে আটত্রিশ বছর ধরে দেশের এ বৃহৎ রাজনৈতিক দলটির নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন।

বলা যায়, তিনি যতদিন সক্ষম থাকবেন ততদিন ওই পদে নতুন কারো অধিষ্ঠান আওয়ামী লীগে কল্পনাতীত। যদিও প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর শেখ হাসিনা সাতান্ন বছর বয়সে রাজনীতি থেকে অবসরে যাবার ইচ্ছা ব্যক্ত করেছিলেন। তবে বিদ্যমান বাস্তবতার কারণেই হয়তো তার সে ইচ্ছার বাস্তবায়ন করতে পারেননি। তার অবর্তমানে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো কাউকে এ মুহূর্তে দেখা যাচ্ছে না। এবারো কাউন্সিল অধিবেশনে বক্তৃতার সময় শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমার বয়স হয়ে যাচ্ছে। দলের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য আপনারা প্রস্তুত হোন।’

শেখ হাসিনা তার সক্ষমতা বজায় থাকতে নেতৃত্বের উত্তরাধিকার নিশ্চয়ই তৈরি করবেন- এটা দলটির নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা। তবে তিনি যে আওয়ামী লীগের অবিসংবাদিত নেতা এবং এখনো দলে তার বিকল্প নেই, সেটা একবাক্যেই স্বীকার্য।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে এবার ব্যাপক পরিবর্তনের একটি সম্ভাবনার কথা শোনা গিয়েছিল। বিশেষ করে সভাপতির পরে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাহী পদ সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নতুন কারো আসার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন কেউ কেউ। গুরুত্বপূর্ণ ওই পদের জন্য আগ্রহী কয়েকজনের কথা মিডিয়াতে আলোচনাও হয়েছিল।

তবে আওয়ামী লীগের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক তৎপরতার দিকে যারা প্রখর দৃষ্টি রেখেছিলেন, তারা বলেছিলেন শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনা ওবায়দুল কাদেরকেই ওই পদে বসাবেন।

আওয়ামী লীগের দিক থেকে বিবেচনা করলে এ সিদ্ধান্তকে অত্যন্ত সময়োপযোগী ও সুবিবেচনাপ্রসূত বলে স্বীকার না করে উপায় নেই। কেননা গত এক মেয়াদে ওবায়দুল কাদের সরকারের মন্ত্রী থাকার পরও দলের সাংগঠনিক কাজে যথেষ্ট পারঙ্গমতা দেখিয়েছেন।

এমনকি জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণ থেকে ফেরত আসার পর খুব বেশিদিন তিনি সাংগঠনিক কার্যক্রম থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখেননি। সবদিক বিবেচনায় রেখে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা যে ওবায়দুল কাদেরকেই তার ‘রানিং মেট’ হিসেবে পুনরায় বেছে নেবেন এটা অনেকটাই স্পষ্ট ছিল।

আওয়ামী লীগের এবারের কাউন্সিল সম্মেলনটি ছিল নানা কারণে আলোচিত। টানা তিন মেয়াদ রাষ্ট্রক্ষমতায় থেকে দলটি একরকম অপ্রতিরোধ্য ও অপ্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবেই দেশের রাজনীতির মাঠে বর্তমানে অবস্থান করছে। তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে কাউন্সিলের জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও এর আশপাশে যে রকম বর্ণাঢ্যভাবে সাজানো হয়েছিল আক্ষরিক অর্থেই তা ছিল জৌলুসপূর্ণ। তবে কমিটি ঘোষণার পর দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। বিশেষ করে শ্রমিকনেতা ও সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খানের সরাসরি প্রেসিডিয়াম সদস্য হওয়া সত্যিকার অর্থেই ‘চমক’।

তিনি আওয়ামী লীগের মতো একটি দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামের সদস্য হতে পারেন, এটা কেউ ধারণাও করেননি। সরকার প্রণীত সড়ক পরিবহন আইনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে পরিবহন শ্রমিকদের আশকারা দেওয়ার অভিযোগে তিনি অভিযুক্ত। সর্বশেষ ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ আন্দোলনের নেতা চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের বিরুদ্ধে সরাসরি বিষোদ্গার করে তিনি সমালোচনার পাত্র হয়েছেন।

ইতঃপূর্বে এসব কারণে তাকে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে শোনা গিয়েছিল। সেই বাদপড়া লোকটিকে কেন দলের সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ ফোরামে অন্তর্ভুক্ত করা হলো তা একটি প্রশ্ন। কেউ কেউ আবার শাজাহান খানের অতীত আমলনামার দিকেও অঙ্গুলি নির্দেশ করছেন। একসময় বঙ্গবন্ধু সরকারকে উৎখাতের লক্ষ্যে গঠিত জাসদের সশস্ত্র গণবাহিনীর অন্যতম নেতা ছিলেন শাজাহান খান।

তা ছাড়া ২০০১ সালে নির্বাচনের আগে তিনি বিএনপি থেকে মনোনয়নের আশায় ‘হাওয়া ভবনে’ও যাতায়াত করেছিলেন। অবশ্য অনেক কসরত করেও তিনি ধানের শীষ মুঠোবদ্ধ করতে পারেননি। শেষমেশ তাকে নৌকার বৈঠা হাতে নিয়েই নির্বাচনী নদীতে নামতে হয়েছিল। এসব বিষয় বিবেচনায় শাজাহান খানের এ পদায়ন কতটা যুক্তিযুক্ত হয়েছে রাজনৈতিক অঙ্গনে এ প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

কেউ কেউ বলছেন, শাজাহান খানের এ পদায়ন জনগণের কাছে ভুল বার্তা পৌঁছে দিতে পারে। সড়কে সন্ত্রাসের মদতদাতা সরকার প্রণীত সড়ক আইন বাস্তবায়নের পথে বাধা সৃষ্টি করবেন না- এ গ্যারান্টি কে দেবে?

ইতোমধ্যে ঘোষিত হয়েছে দলটির কেন্দ্রীয় কমিটি। ৮১টি পদের মধ্যে এ পর্যন্ত ৭৪টি পদে নেতাদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। নতুন বেশ কয়েকজনকে কেন্দ্রীয় গুরুত্বপূর্ণ পদে যুক্ত করা হয়েছে। আর বিপরীতে বাদ পড়েছেন বিগত কমিটির কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা। বর্তমান মন্ত্রিসভার নয়জন সদস্য, যারা আগের কমিটিতে বিভিন্ন পদে ছিলেন তারা বাদ পড়েছেন।

এদের মধ্যে পূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম (আইনবিষয়ক সম্পাদক), সাংগঠনিক সম্পাদক নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও শিক্ষা উপ-মন্ত্রী ব্যারিষ্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল অন্যতম।

এরা দলের সাংগঠনিক কার্যক্রমে যেমন, তেমনি মন্ত্রণালয়ের কাজেও যথেষ্ট দক্ষতার পরিচয় দিয়ে আসছিলেন। তারপরও নতুন কমিটিতে কেন তাদের স্থান হলো না এ নিয়ে আলোচনা চলছে সর্বত্র।

অনেকেই বলছেন যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার দলকে আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য সক্ষম করে তোলার লক্ষ্য নিয়েই এবারের কমিটি পুনর্বিন্যাস করেছেন। নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টির সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার ছাপ এবারের কমিটি গঠনে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। কাউন্সিলের আগে দলটির নেতাকর্মীদের একাংশের অভিমত ছিল, সরকার ও দলকে আলাদা করার।

এমনকি কাউন্সিলের দিন আগত কাউন্সিলর ও ডেলিগেটদের অনেককে মিডিয়ায় এ চিন্তাধারার পক্ষে মতামত ব্যক্ত করতে দেখা গেছে। নয় মন্ত্রীর পদ হারানো সে চিন্তাভাবনার বাস্তবায়ন কি না তা অবশ্য নিশ্চিত করে বলার সুযোগ নেই। তা ছাড়া আমাদের দেশের রাজনৈতিক বাস্তবতায় সরকার ও দলের সম্পূর্ণ পৃথককরণ প্রায় অসম্ভব। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এ সিদ্ধান্ত হয়তো ইতিবাচক ফল বয়ে আনতে পারে। দলের দায়িত্ব থেকে মুক্ত হওয়ার ফলে সংশ্লিষ্ট নেতারা এখন মন্ত্রণালয় ও নিজস্ব নির্বাচনী এলাকার কাজে অধিকতর মনোনিবেশ করার সুযোগ পাবেন।

আওয়ামী লীগের কাউন্সিল ও নতুন কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, যারা কমিটিতে ঠাঁই পেয়েছেন তারা নিজেদের যোগ্যতা বলেই তা পেয়েছেন। এখানে অর্থ-কড়ি লেনদেনের ঘটনা ঘটেনি, এমন অভিযোগও কেউ তোলেনি। সে সুযোগও বোধকরি ছিল না।

কেননা, কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া থেকেই বোঝা যায়, সভাপতি শেখ হাসিনার সরাসরি তত্ত্বাবধানে এ কমিটি হয়েছে। লক্ষণীয় হলো, দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কমিটি গঠনের দায়িত্ব শেখ হাসিনা ‘বিশ্বস্ত’ কারো ওপর ছেড়ে দিয়ে নির্ভার হননি।

যেমন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটি গঠনের দায়িত্ব খালেদা জিয়া তার অতীব বিশ্বস্ত কয়েকজন নেতা ও কর্মচারীর ওপর ন্যস্ত করার পর সেখানে ধুন্ধুমার পদ-বাণিজ্যের ঘটনা ঘটেছে।

দলটির নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যেই গণমাধ্যমের কাছে সে পদ-বাণিজ্যের অভিযোগ করেছেন। সেদিক থেকে শেখ হাসিনা যে অত্যন্ত বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

 এদিকে আওয়ামী লীগের কাউন্সিল সম্পর্কে দলটির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি যে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে তা নিয়ে এখানে-সেখানে আলোচনা হচ্ছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘এ কাউন্সিল থেকে জাতির জন্য কোনো দিকনির্দেশনা নেই। গণতন্ত্রহীনতা ও অর্থনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণের পথ দেখাতে পারেনি দলটি।

জাতির প্রত্যাশা ছিল- আওয়ামী লীগের সম্মেলনে গণতন্ত্র উত্তরণের একটি পথ দেখা যাবে। কিন্তু তারা সে পথ দেখাতে পারেনি। এ কাউন্সিলে সত্যিই জাতি হতাশ হয়েছে’ (সূত্র : ২২ ডিসেম্বরের দৈনিকসমূহ)। আওয়ামী লীগের কাউন্সিল সম্পর্কে বিএনপি মহাসচিবের মন্তব্যকে ‘যারে দেখতে নারি তার চলন বাঁকা’ প্রবাদের সঙ্গে তুলনা করা যায়।

কেননা আমাদের রাজনীতিতে বর্তমানে যে কালচার চলছে, তাতে প্রতিদ্বন্দ্বী দলের কোনো কাজকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখা প্রায় অসম্ভব ব্যাপার। আওয়ামী লীগের কাউন্সিল জাতিকে কীভাবে হতাশ করেছে মির্জা আলমগীর তা পরিষ্কার করেননি। তবে যেহেতু কাউন্সিলটি ছিল আওয়ামী লীগের একান্ত নিজস্ব সাংগঠনিক তৎপরতার চূড়ান্ত পর্ব, তাই সেখানে দলীয় কর্মকৌশল ঠিক করাই প্রাধান্য পাবে এটাই স্বাভাবিক।

আগামী দিনে দলটি কীভাবে এগোবে, দেশ ও জাতির জন্য কী কী পদক্ষেপ নেবে তা উল্লেখ করা হয়েছে শীর্ষ নেত্রীর বক্তৃতায়।  তবে তা যে বিএনপিকে সন্তুষ্ট করতে পারেনি, বিএনপি মহাসচিবের প্রতিক্রিয়ায় তা স্পষ্ট।

‘গণতন্ত্রে উত্তরণ’ বলতে মির্জা আলমগীর যা বোঝাতে চেয়েছেন, তা নিয়ে বিতর্ক আছে। কেননা আওয়ামী লীগ মনে করে তারা দেশে পূর্ণ গণতন্ত্র কায়েম করেছে এবং দেশবাসী তাদের প্রতি সন্তুষ্ট। এর বিপরীতে বিএনপি মনে করে দেশে গণতন্ত্র নেই এবং তা পুনঃপ্রতিষ্ঠা দরকার।

বিএনপির এ উপলব্ধির বাস্তবায়ন তাদেরকেই করতে হবে; আওয়ামী লীগ করে দেবে না। কীভাবে তারা সেটা করবেন তা তাদের নিজস্ব পরিকল্পনা ও সিদ্ধান্তের বিষয়। তবে বিএনপির প্রত্যাশা আওয়ামী লীগ পূরণ করে দেবে- এ ভাবনায় যদি মির্জা সাহেবরা আচ্ছন্ন হয়ে থাকেন, তাহলে বলতেই হয়, তারা ঘোরের মধ্যে আছেন।

জনগণের যে প্রত্যাশার কথা মির্জা আলমগীর বলেছেন, তা পূরণ করতে হলে তাদের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি অত্যাবশ্যক। আর সেজন্য তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত কাউন্সিল করে নেতৃত্বের পুনর্বিন্যাস জরুরি, এ কথা দলটির শুভাকাঙ্ক্ষীরা প্রতিনিয়তই বলছেন। কিন্তু দলটির কর্মকাণ্ডে সে প্রচেষ্টা দৃশ্যমান নয়।

সম্প্রতি একটি দৈনিকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি দিয়ে চলছে বিএনপি। স্মরণযোগ্য, বিএনপির বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটির মেয়াদ পার হয়ে গেছে আরো নয় মাস আগে। কিন্তু কাউন্সিলের কোনো উদ্যোগ তারা নিতে পারছেন না।

মেয়াদোত্তীর্ণ কাঠামো নিয়ে একটি দল যে সাবলীল গতিতে এগোতে পারে না মির্জা আলমগীরদের সেটা বুঝতে হবে। তাই আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে জাতি কী পেল না পেল তা ভেবে সময় নষ্ট না করে ‘জাতির প্রত্যাশা’ তারা কীভাবে পূরণ করবেন সে ব্যাপারে মনোযোগী হওয়াই বোধকরি শ্রেয়।

লেখক : সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব ভাবনার প্রতিফলন। সোনালীনিউজ-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে লেখকের এই মতামতের অমিল থাকাটা স্বাভাবিক। তাই এখানে প্রকাশিত লেখার জন্য সোনালীনিউজ কর্তৃপক্ষ লেখকের কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে আইনগত বা অন্য কোনও ধরনের কোনও দায় নেবে না। এর দায় সম্পূর্ণই লেখকের।

Wordbridge School
Link copied!