• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে গোয়ালন্দ উপজেলার ২৩ বছরের জনপ্রতিনিধি

আওয়ামীলীগ নেতার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র


নিজস্ব প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৯, ১০:৫২ পিএম
আওয়ামীলীগ নেতার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র

ঢাকা : জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে গোয়ালন্দ উপজেলার ২৩ বছরের জনপ্রতিনিধি, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি ও বর্তমানে উপজেলা চেয়ারম্যান মো: নূরুল ইসলামের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে একটি মহল। ওই মহলটি শুদু ষড়যন্ত্রই করছে না এখন তার ওপর নানা অপবাদ দেয়ারও অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। সর্বশেষ তার মেধাবী ছেলেকে জড়িয়ে নানা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।

জানা গেছে, ছাত্রলীগ থেকে রাজনীতির হাতে খড়ি মো: নুরুল ইসলামের। বিএ পাশ করার পর প্রথমে তিনি সরাসরি জনপ্রতিনিধি হিসেবে গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এলাকার জনগনের গভীর ভালবাসা ও সহযোগিতায় তিনি দীর্ঘ ১৮ বছর একই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে অত্যান্ত সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। দলের প্রতি নানা ত্যাগ ও অবদানের কারণে ২০১৪ সালে উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগ থেকে তাকে মনোনীত করেন। ওই নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত থেকে তার বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্ধিতা করেন সাউদুর রহমান হেনা। ওই বছর তিনি বিপুল ভোটে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে তিনি অত্যান্ত সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তার দক্ষতা, স্বচ্ছতা ও দায়িত্ব পালনে একনিষ্টতার কারণে ২০১৬ ও ২০১৭ সালে রাজবাড়ী জেলার শ্রেষ।ট উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

গোয়ালন্দ উপজেলায় আপামর জনসাধণের মাঝে অত্যান্ত সৎ ও যোগ্য ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত উপজেলা চেয়াপরম্যান ও বর্তমানে গোয়ালন্দ উপজেলার আওয়ামীলীগের সহসভাপতি মো: নুরুল ইসলামকে নানাভাবে হেয় করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে একটি মহল। তার জনপ্রিয়তায় ভীত হয় ওই মহলটি তার বিরুদ্ধে নানা ষঢ়যন্ত্র চালাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

আওয়ামীলগ থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে তিনি যেমন মনোনীত না হতে পারেন সেজন্য উপজেলা কাউন্সিলর ভোটে তানা ষঢ়যন্ত্র করে পরাজিত করা হয়। অভিযোগ রয়েছে কাউন্সিলের চিঠি আসলেও ওই মহলটি তাকে চিঠি সম্পর্কে জানানো হয়নি। বরং তার সমার্থিত ভোটারদের গত ২৭ জানুয়ারি কাউন্সিলর নির্বাচনে যথারীতি নিয়মে ভোট দেওয়া থেকে বিরত রাখা হয়। অসৎ উপায়ে ভোটারদের প্রলোভনের মাধ্যমে ভোট দিতে বাধ্য করা হয়। এমনকি তার সমার্থিত ভোটারদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভভ না হয় সেজন্য মাত্র একদিন আগে তৃণমূল পর্যায়ে ভোটাদের কাউন্সিল সম্পর্কে চিঠি দেয়া হয়। এ ভাবে সুকৌশলে তৃণমূল পর্যায় থেকে তিন জনের তালিকা প্রেরণ থেকে অত্যান্ত জনপ্রিয়তার খ্যাতি লাভ করা বর্তমান উপজেলার চেয়ারম্যানের নাম বাদ দেয়া হয়।

এতেই ক্ষ্যান্ত হয়নি ওই মহলটি, এখণ তার ওপর নানা অপবাদ দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে তার মেধাবী সন্তানকে জড়িয়ে মিথ্যা অপবাদ দেয়া হয়েছে। একটি অন লাইনে তার সন্তানকে জড়িয়ে রিপোর্ট ছাপানো হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে ‘ গোয়ালন্দ আওয়ামীলীগ নেতার ছেলে জামাত কর্মী। জানা গেছে, তার ছেলে জামাতের কোনো কর্মী নন। এ ধরনের মিথ্যা খবরের বিরুদ্ধে তার ছেলে মোঃ সৈকত হোসেন গোয়ালন্দ ঘাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা করেছেন। জিডি নং ৯৮০, তারিখ ২১-০২-২০১৯। জিডিতে তিনি লিখেছেন, তিনি ও তার পিতার নামে মিথ্যা ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এবং তার পিতার জনপ্রিয়তায় ঈর্শান্বিত হয়ে রাজনৈতিক ও দলীয়ভাবে ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে এ ধরণের মিথ্যা বানোয়াট খবর প্রকাশ করা হয়েছে।

জানা গেছে, মো: সৈকত হোসেন বিজিএমই ইউনিভার্সিটি ফ্যাশন এন্ড টেকনোলজিতে টেক্সটাইল বিভাগে তৃতীয় বর্ষের একজন মেধাবী ছাত্র। তার কয়েক জন সহপার্টির সাথে আলাপ করে জানা গেছে, সৈকত কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মী নন।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!