• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আকরাম-শোয়েবদের বেদম প্রহার করলেন শচীন


ক্রীড়া প্রতিবেদক মে ২৪, ২০১৯, ০৭:৪৭ পিএম
আকরাম-শোয়েবদের বেদম প্রহার করলেন শচীন

ঢাকা : ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট মানেই পরতে পরতে উত্তেজনা। সেই উত্তেজনার রেনু ছড়িয়ে পড়ে দুই দেশের সাধারণ মানুষের মাঝেও। চির প্রতিদ্ব›দ্বী এই দুই দেশ যখন পরস্পর মুখোমুখি হয়, তখন ক্রিকেটের সবগুলো রাস্তা এসে যেন যোগ হয় তাদের লড়াইয়ের ময়দানে। যেখানে কোনও রক্তক্ষয় নেই। মারামারি নেই। কিন্তু হৃদয়ের রক্তক্ষরণ তো কারও না কারও হবেই!

আর বিশ্বকাপের মঞ্চে হলে সেটা নিশ্চিত পাকিস্তনের। বিশ্বমঞ্চে বরাবরই ভারতীয়দের কাছে হেরে হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে পাক সমর্থকদের। ২০০৩ সালে ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনিস ও শোয়েব আখতারদের মতো বিশ্বসেরা পেস আক্রমন থাকার পরও পাকিস্তানিদের পরাজয়ের স্বাদ উপহার দিয়েছিলেন শচীন টেন্ডুলকার।

২০০৩ সালের ১ মার্চ। টেন্ডুলকারের স্মরণীয় একদিন। ওই ম্যাচের পর তিনি নিজেই বলেছেন, ‘এক বছর আমাকে এই সুখ-স্মৃতিতে ভাসতে হয়েছে। যেখানেই গিয়েছি, সেখানেই লোক-জন আমাকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে ১ মার্চের কথা। এ এমনই এক ঘটনা, যেটা সারাজীবন মনে করা যায়। ওই ম্যাচের পর বারো রাত আমি ঠিকমত ঘুমাতেও পারিনি।’

সেঞ্চুরিয়নে গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত-পাকিস্তান। পাকিস্তান দলে বিশ্বমানের তিন পেসার। তাদের নাম শুনলে যে কোনও ব্যাটসম্যানের বুকে কাঁপন ধরে যায়!  তার ওপর দক্ষিণ আফ্রিকার বাউন্সি উইকেট। ভারতীয়রা যেখানে এমনিতেই বাউন্সি উইকেটে দুর্বল, সেখানে ওয়াসিম-ওয়াকার-শোয়েবদের কিভাবে সামলাবেন?

এ রকম পেসারদের সামনে ২৭৩ রান তাড়া করা সহজ কাজ নয়। কিন্তু টেন্ডুলকার দুঃসাহসে সবকিছুই যেন মুহূর্তে পরিবর্তন হয়ে গেল। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ২৭৩ রান করেছিল পাকিস্তান। সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন সাঈদ আনোয়ার (১০১)। জবাবে বীরেন্দ্র শেবাগকে নিয়ে ইনিংস শুরু করতে নেমেছিলেন টেন্ডুলকার। ৫৩ রানে শেবাগ এবং অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি ফিরে গেলে  বিপর্যয়ে পড়ে ভারত। দলকে একাই টানতে থাকেন টেন্ডুলকার।

শুরু থেকেই টেন্ডুলকার ছিলেন ভয়ডরহীন। বাউন্ডারীর ওপারে আছড়ে ফেলেছেন আকরামকে। বেশি তোপ দাগিয়েছেন শোয়েব আখতারের ওভারগুলোতে। তখন বিশ্বের সবচেয়ে গতিময় বোলার ভাবা হতো রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেসকে। তার প্রথম ওভারেই পরপর তিনবার বলকে বাউন্ডারিছাড়া করলেন টেন্ডুলকার।

শেষ পর্যন্ত ভারত ম্যাচটি জিতল টেন্ডুলকারের সৌজন্যে। ৭৫ বলে ৯৮ রানের ইনিংসটি তিনি সাজিয়েছিলেন ১২টি চার আর এক ছক্কায়। টেন্ডুলকার যখন আউট হয়েছিলেন তখন ভারতের স্কোর ১৭৭। কিন্তু তখনও বাকি ছিল ২২.৩ ওভার। বাকি কাজটুকু সারতে রাহুল দ্রাবিড় আর যুবরাজ সিংয়ের শেষ করতে আর কোনও বেগ পেতে হয়নি। পাকিস্তানকে হারিয়ে সুপার সিক্সে উঠে যায় ভারত। তবে বিশ্বকাপের ইতিহাসে যতগুলো ভারত-পাকিস্তান লড়াই হয়েছে, তার মধ্যে টেন্ডুলকারের এই ইনিংসটিই ছিল সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয় ও চিত্তাকর্ষক।

সোনালীনিউজ/আরআইবি/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!