• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

আক্ষেপ ঘোচালেন শুভ!


বিনোদন প্রতিবেদক সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২০, ০৩:৪০ পিএম
আক্ষেপ ঘোচালেন শুভ!

ঢাকা : এতদিন হলিউড বলিউডের নায়কদের ‘সিক্স প্যাক’ দেখে আক্ষেপ করতেন ঢালিউডের দর্শক। ‘বাংলাদেশের নায়কদের কি এভাবে দেখা যাবে?’-এমন প্রশ্ন চালাচালিও দেখা গেছে চলচ্চিত্রের বিভিন্ন গ্রুপগুলোতে। সেই আক্ষেপই যেন ঘোচালেন ঢাকাই ছবির আরিফিন শুভ!

এর আগে বরাবরই সুঠাম দেহ নিয়ে পর্দায় এলেও প্রথমবার ‘সিক্স প্যাক’ দিয়ে চমক দেখালেন ‘মুসাফির’-খ্যাত ছবির এই নায়ক। এজন্য তার টানা ৯ মাস হাড়ভাঙা শ্রম দিতে হয়েছে।

আরিফিন শুভ তার এ সিক্স প্যাক করার বিষয়টি নিয়ে একটি তথ্যচিত্র তৈরি করে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিজের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করেছেন। সাত মিনিটের ওই ভিডিওতে উঠে এসেছে শুভর সিক্স প্যাকে রূপান্তর, সেই সঙ্গে ৯৪ কেজি থেকে ৮২ কেজি ওজনে আসার গল্প।

এর সঙ্গে সঙ্গে ভিডিওতে দেখা গেছে, সিক্স প্যাকে আসার জন্য শুভর অক্লান্ত পরিশ্রমের চিত্র।

মূলত, শুভ অভিনীত মুক্তির অপেক্ষায় থাকা ‘মিশন এক্সট্রিম’ ছবির জন্য তার শারীরিক পরিবর্তন আনতে হয়েছে। শুভ প্রথমে মনে করেছিলেন, এ কাজটা করা অসম্ভব হবে। কারণ, এ ছবির আগে কলকাতার ‘আহা রে’ ছবির চরিত্রের জন্য শুভর ওজন বাড়াতে হয়েছে। ওই ছবির পর শারীরিক রূপান্তরের মাধ্যমে সিক্স প্যাকে আসাকে অনেক কঠিন বলে জানান আরিফিন শুভ।

তিনি বলেন, শারীরিক পরিবর্তন করতে হলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ডায়েট। কার্ডিও দিয়ে শুরু করেন। শুভ বলেন, এ ধরনের ট্রেনিং কখনোই করিনি। বিভিন্ন ওজন দেয়া হতো, আমি নিতেই পারছিলাম না। কোনোভাবেই পেরে উঠছিলাম না। কিন্তু আমাকে যিনি প্রশিক্ষণ দিতেন তিনি বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে আমার থেকে ঠিকই আদায় করেন নিতেন।

শুভ বলেন, ট্রেনিং নিতে নিতে ক্লান্ত হয়ে গেলে আমাকে বিশ্রামের জন্য এক ঘণ্টা সময় দেয়া হতো। জিম থেকে তো বাসায় ফিরতে পারতাম না, সেজন্য ওখানেই ঘুমিয়ে নিতাম। অনেকেই দেখে হাসাহাসি করত। এভাবে ট্রেনিং নিতে নিতে যখন আমার আত্মবিশ্বাস বাড়তে থাকতে তখনই এমন এক বিপদ আসে যেজন্য মনে হচ্ছিল আমার বোধহয় আর পারব না।

কী বিপদ? শুভ জানালেন, হেভি ওয়েট নেয়ার ফলে আমার গোড়ালি ফুলে গিয়েছিল, পানি চলে এসেছিল। ধৈর্য্যের বাইরে ছিল যে এত ব্যথা! এক্স-রে করে দেখা গেল টিস্যু ড্যামেজ হয়েছে। ৪-৫ মাস যখন বিশ্রাম করা হয় তাহলে শুটিংয়ে যেতে পারব কিন্তু কোনো ট্রেনিংয়ে যেতে পারব না। তখন সত্যি আমি ভেঙে পড়েছিলাম। কিছুই ভালো লাগত না। বাসায় একা পড়ে থাকতাম।

তিনি বলেন, শুধুমাত্র মনের জোরে সিদ্ধান্ত নিলাম আবার ট্রেনিংয়ে ফিরব। নিচের অংশ বাদ দিয়ে শরীরের ওপরে অংশ নিয়ে কাজ করব। তখন হাতে ছিল ৮ মাস। ওই অসুস্থ পা নিয়ে নেমে পড়লাম। হারতে চাইনি। আমি সব সময় বিশ্বাস করি, চেষ্টা করো এবং চেষ্টা করতে করতে দরকার হলে মরে যাও! কিন্তু চেষ্টা থামিয়ে দিও না। ফাইনালি ৯ মাসে আমি সফল হই। এই রূপান্তরের মাধ্যমে জীবন আমাকে নতুন শিক্ষা দিয়েছে। পৃথিবীতে যে কোনো কিছুই সম্ভব যদি আমি মন থেকে চাই। এর সঙ্গে নাছোড়বান্দা হয়ে লেগে থাকি, তাহলে সবকিছুই সম্ভব।

এদিকে, আরিফিন শুভর এ সিক্স প্যাকে রূপান্তরের ভিডিও প্রকাশের পর ভক্তদের মধ্যে ব্যাপক উচ্ছ্বাস লক্ষ করা যাচ্ছে। প্রশংসা পাচ্ছেন সিনেমার সর্বস্তারের মানুষের কাছ থেকে। বিশেষ করে তার একাগ্রতা, অধ্যবসায় আর পরিশ্রমের প্রশংসা করছেন।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!