দিনাজপুর : জেলার ফুলবাড়ীতে শুরু হয়েছে আগম আলু উত্তোলন। আগাম জাতের আলুতে ফলন ও দাম ভালো পেয়ে লাভের মুখ দেখছে কৃষক, এতে হাসি ফুটেছে তাদের মুখে। উপজেলার পলি এলাকা বলে পরিচিত শিবনগর, খয়েরবাড়ী ও দৌলতপুর ইউনিয়ন গিয়ে দেখা যায় পুরোদমে শুরু হয়েছে আগাম (হলেন্ডার, রোমানা,সাদা ও লাল পাটনাই জাতের আলু উত্তোলন। এই আলু বাজারে নতুন আলু হিসেবে চাহিদা ও দাম দুটোই বেশি।
এদিকে অনান্য জাতের ন্যায় আগাম জাতের আলুতেও ফলন বেশি হয়েছে। ফলন ও দাম দুটিই পেয়ে হাষি ফুটছে কৃষকের মুখে।
উপজেলার রাজারামপুর গ্রামের আলু চাষি ফারুক হোসেন বলেন রোমানা জাতের আলু একর প্রতি ৫০ থেকে ৫৫ মণ করে ফলন হয়েছে, যদিও কৃষি কর্মকর্তা বলছেন একর প্রতি আলুর উৎপাদন ৮৫ থেকে ৮৮ মণ। আলু চাষিরা বলছেন আগাম জাতের আলু পাইকারি বাজারে ৪০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে।
একই কথা বলেন ওই এলাকার আলু চাষি নজরুল ইসলাম, বাতাশু মন্ডল ও আবু বক্কর। আলু চাষি ফরুক হোসেন বলেন তিনি এই বছর ৫ একর জমিতে আগাম জাতের আলু চাষ করেছে, এখন আলু উত্তোলন করে ওই জমিতে ভুট্টা চাষ করবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ টি এম হামিম আশরাফ বলেন, এ বছর এই উপজেলায ২১৫ হেক্টর বা ৪৯৭৭ একর জমিতে আলু চাষ করার লক্ষ মাত্রা নিদ্ধারন করা হয়েছে। তিনি বলেন যারা আগাম জাতের আলু রোপন করেনি, তারাও এখন আলু রোপণ করছেন, প্রতিটি আলু ক্ষেতে আলু উত্তোলনের পর ভুট্টা চাষ হবে।
কৃষি কর্মকর্তা আরো বলেন, যে কৃষক এখন পর্যন্ত আলু উত্তোলন করেনি, তারা আলু ক্ষেতেই সারিবদ্ধভাবে ভুট্টার বীজও রোপণ করছে, সাথী ফসল হিসেবে আলু ও ভুট্টা একই সঙ্গে বড় হবে। কৃষি কর্মকর্তা বলেন, আলুর পর ভুট্টা, ভুট্টা তুলেই আবার আউশ ধান চাষ করা হবে, আউশ ধান উঠার পর আবার ওই জমিতে আগাম জাতের আমন ধান রোপণ করতে পারবে কৃষক, এতে করে একই জমিতে বছরে চারটি করে ফসল উৎপাদন করছে কৃষক।
সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর
আপনার মতামত লিখুন :