• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

আগামী বছরের জুনে উল্কা বৃষ্টি!


বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক ডিসেম্বর ২৭, ২০১৮, ০৪:৩২ পিএম
আগামী বছরের জুনে উল্কা বৃষ্টি!

ঢাকা : সেই সাইবেরিয়ার তুঙ্গুস্কার মতো কি আরো একটি ভয়াবহ বিস্ফোরণ হতে যাচ্ছে আগামী বছরের জুনে? ঠিক যেমনটি হয়েছিল আজ থেকে ১১০ বছর আগে? আবার কি পৃথিবীর আকাশ ফাটিয়ে দেবে বহুতলের চেহারার কোনো একটি মহাজাগতিক বস্তুর বিস্ফোরণ? যার ঝলকানিতে ভরে যাবে ৮০০ বর্গ মাইল এলাকার আকাশ?

হ্যাঁ, তেমন সম্ভাবনা যথেষ্টই জোরালো বলে জানিয়েছেন আমেরিকার লস অ্যালামস ন্যাশনাল ল্যাবরেটরির পদার্থবিজ্ঞানী মার্ক বসলাফ ও অন্টারিওর ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডনের পদার্থবিদ পিটার ব্রাউন।

জটিল অংক কষে তারা জানিয়েছেন, আগামী জুনে একটি দৈত্যাকার অ্যাস্টারয়েড বা গ্রহাণু পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ঢুকে পড়বে। তারপর বায়ুমণ্ডলের সঙ্গে সংঘর্ষে তা ফাটবে ভয়ঙ্কর শব্দে। গবেষণাপত্রটি এই মাসে ওয়াশিংটনে আমেরিকান জিওফিজিক্যাল ইউনিয়নের বৈঠকে পেশ করা হয়েছে।

 গবেষকরা জানিয়েছেন, আগামী বছরের জুনে যে উল্কাবৃষ্টি হবে, তাতে তুঙ্গুস্কার ঘটনার মতোই কোনো দৈত্যাকার মহাজাগতিক বস্তু থাকবে নাকি তার আকার হবে তারচেয়েও বৃহৎ, তা নিয়ে তাদের পর্যবেক্ষণ ও হিসাবনিকাশ এখনো চলছে।

ঠিক এমনটাই হয়েছিল আজ থেকে ১১০ বছর আগে। ১৯০৮ সালের ৩০ জুন। ওই দিন সাইবেরিয়ার তুঙ্গুস্কার আকাশে আচমকাই একটি দৈত্যাকার মহাজাগতিক বস্তু ফেটেছিল ভয়ঙ্কর শব্দে। যার ঝলকানিতে পুড়ে ছারখার হয়ে গিয়েছিল তুঙ্গুস্কা (নদীর নামে এলাকার নাম) আর তার আশপাশের ৮০০ বর্গ মাইল এলাকার সব গাছপালা। থরথর করে কেঁপে উঠেছিল একটি বিশাল এলাকা। জনবসতিহীন এলাকায় ওই ঘটনায় অবশ্য কোনো প্রাণহানি হয়নি। জখমও হননি কেউ। তবে ওই বিস্ফোরণের কারণ এখনো জানা যায়নি। বিজ্ঞানীরা বুঝে উঠতে পারেননি, কোনো ধূমকেতু নাকি কোনো গ্রহাণু এসে ঢুকে পড়েছিল সেদিন পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে, যার ফলে ঘটেছিল ওই ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ।

কেউ কেউ বলেছিলেন, সেটা আদতে ছিল খুব বড় ধরনের উল্কাবৃষ্টির ঘটনা। যার নাম ‘বিটা টরিড’ উল্কা বৃষ্টি। ‘টরিড’ উল্কাবৃষ্টি সাধারণত বছরে দু’বার হয়। জুনের শেষে আর অক্টোবরের শেষভাগে বা নভেম্বরের গোড়ার দিকে। এদের মধ্যে যে উল্কাবৃষ্টি হয় জুনের শেষে, তাকে বলা হয় ‘বিটা টরিড’ উল্কা বৃষ্টি। এগুলি রাতে হয় না। হয় দিনের আলোয়। যখন সূর্যের আলোয় অন্য নক্ষত্রদের আলো ঢাকা পড়ে যায়।

গবেষকদের ধারণা, আগামী জুনের উল্কা বৃষ্টির মধ্যে যতটা বড় চেহারার মহাজাগতিক বস্তু থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, ১৯৭৫ সালের পর তত বড় চেহারার কোনো মহাজাগতিক বস্তু পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ঢুকে পড়েনি। ১৯৭৫ সালের সেই ঘটনার ফলে ভূকম্পন হয়েছিল, তা চাঁদে বসানো সাইসমোমিটারে ধরা পড়েছিল বলে জানিয়েছিলেন ‘অ্যাপোলো’ মহাকাশযানের অভিযাত্রীরা।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!