• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আজ থেকে প্রচারযুদ্ধ শুরু


নিজস্ব প্রতিবেদক ডিসেম্বর ১০, ২০১৮, ০১:৩৬ পিএম
আজ থেকে প্রচারযুদ্ধ শুরু

ঢাকা : প্রতীক বরাদ্দের মধ্য দিয়ে আজ থেকে শুরু হচ্ছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা। রোববার (৯ ডিসেম্বর) ছিল প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন।

মনোনয়ন প্রত্যাহার শেষে আইন প্রণেতা হওয়ার লড়াইয়ে ভোটের মাঠে থাকছেন নৌকা প্রতীকের ২৭২ জনসহ মহাজোটের ৩০৩ এবং ধানের শীষের ২৯৮ জনসহ ২০ দলীয় জোট ও ঐক্যফ্রন্টের ৩০০ প্রার্থী। এ প্রতিদ্বন্দ্বিতার দৌড়ে জাতীয় পার্টির প্রার্থীর সংখ্যা ১৭৩।

এদিকে নির্বাচনী প্রচারণার ক্ষেত্রেও বেশকিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারণায় সরকারি ডাকবাংলো, রেস্ট হাউজ, সার্কিট হাউজ বা কার্যালয় ব্যবহার করতে পারবেন না। প্রচারণার ক্ষেত্রে নির্বাচনী সভা ও পথসভার জন্য সব রাজনৈতিক দল ও তাদের মনোনীত প্রার্থী, স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং তাদের সমর্থকরা সমান অধিকার পাবে। তবে প্রতিপক্ষের সভা, শোভাযাত্রা এবং অন্যান্য প্রচারাভিযানে বাধা দিতে পারবে না।

সভা আয়োজনে সভার দিন, সময় ও স্থান সম্পর্কে যথাযথ কর্তৃপক্ষের লিখিত অনুমতি নিতে হবে এবং সভা অনুষ্ঠানের ২৪ ঘণ্টা আগে স্থান এবং সময় সম্পর্কে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে জানাতে হবে, যাতে ওই স্থানে চলাচল ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারে। জনগণের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করে কোনো সভা করা যাবে না।

পোস্টার ঝুলবে, লাগানো নিষেধ : নির্বাচনী প্রচারণার ক্ষেত্রে কোনো প্রার্থী বা তার সমর্থকরা দালান, দেওয়াল, গাছ, বেড়া, বিদ্যুৎ ও টেলিফোনের খুঁটি বা অন্য কোনো দণ্ডায়মান বস্তু এবং বাস, ট্রাক, ট্রেন, স্টিমার, লঞ্চ, রিকশাসহ কোনো প্রকার যানবাহনে পোস্টার, লিফলেট, ব্যানার ও হ্যান্ডবিল লাগাতে পারবেন না।

প্রচারণার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত সর্বোচ্চ ৬০ সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্য ও ৪৫ সেন্টিমিটার প্রস্থের সাদাকালো পোস্টার দেশের যেকোনো স্থানে ঝোলানো যাবে। কোনো প্রার্থীর পোস্টার, লিফলেট, হ্যান্ডবিলের ওপর অন্য কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পোস্টার, লিফলেট, হ্যান্ডবিল লাগানো যাবে না এবং ওই পোস্টার, লিফলেট ও হ্যান্ডবিলের কোনো প্রকার ক্ষতিসাধন ও বিকৃত করা যাবে না।

পোস্টারে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তার প্রতীক ও নিজের ছবি ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তির ছবি বা প্রতীক ছাপতে পারবে না। তবে দলীয় মনোনীত প্রার্থী কেবল তার বর্তমান দলপ্রধানের ছবি ছাপতে পারবেন।

মোটর শোভাযাত্রা, তোরণ নিষিদ্ধ : নির্বাচনী প্রচারণায় কোনো বাস-ট্রাক, মোটরসাইকেল, নৌ-যান, ট্রেন কিংবা অন্য কোনো যান্ত্রিক যানবাহনসহকারে মিছিল ও শোডাউন করা যাবে না। প্রচারকাজে দলীয় প্রধান ছাড়া কোনো প্রার্থী কোনো আকাশযান ব্যবহার করতে পারবেন না।

প্রচারণায় দেয়াল লিখন ও তোরণ নির্মাণও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে জনগণের চলাচলের স্থান ও সাধারণ ব্যবহারের স্থান ছাড়া নির্বাচনী ক্যাম্প বা প্যান্ডেল স্থাপন করা যাবে। এর আয়তন হবে সর্বোচ্চ ৪০০ বর্গফুট।

কিন্তু সেখানে কোনো আলোকসজ্জা করা যাবে না। নির্বাচনী ক্যাম্প স্থাপনের ক্ষেত্রে একজন প্রার্থী প্রতিটি ইউনিয়নে দলীয়-সহযোগী সংগঠনের সর্বোচ্চ একটি এবং প্রতিটি পৌরসভা বা সিটি করপোরেশন এলাকার প্রতি ওয়ার্ডে একটি কার্যালয় স্থাপন করতে পারবেন। প্রচারণায় প্রার্থীর ছবি ও প্রতীকযুক্ত কোনো শার্ট, জ্যাকেট, ফতুয়া ব্যবহার করা যাবে না। ক্যাম্পে ভোটারদের কোমল পানীয় বা খাদ্য পরিবেশন ও কোনো উপহারও নিষিদ্ধ।

বক্তব্যে বিধি-নিষেধ : নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যক্তির চরিত্র হননমূলক, তিক্ত ও উসকানিমূলক এবং লিঙ্গ, সাম্প্রদায়িকতা বা ধর্মানুভূতিতে আঘাত হানে এমন বক্তব্য দেওয়া যাবে না। মসজিদ, মন্দির, গির্জাসহ সব ধরনের ধর্মীয় উপাসনালয়ে প্রচারণা চালানো যাবে না। প্রচারণায় মাইক বা অন্যান্য শব্দযন্ত্রের ব্যবহার দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে শেষ করতে হবে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!