• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

আজ দ্বিতীয় মেঘনা, গোমতী সেতুর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী


নিজস্ব প্রতিবেদক মে ২৫, ২০১৯, ১০:২৫ এএম
আজ দ্বিতীয় মেঘনা, গোমতী সেতুর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ শনিবার দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দ্বিতীয় মেঘনা সেতু এবং দ্বিতীয় গোমতী সেতু উদ্বোধন করবেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেতু দুটি উদ্বোধন করবেন।

একই দিন প্রধানমন্ত্রী কোনাবাড়ি ও চন্দ্রা ফ্লাইওভার, কালিয়াকৈর, দেওহাটা, মির্জাপুর ও ঘারিন্দা আন্ডারপাস এবং কাড্ডা-১, সাসেক সংযোগ সড়ক প্রকল্পের আওতায় জয়দেবপুর-চন্দ্রা-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা মহাসড়কে বিমাইল সেতুরও উদ্বোধন করবেন।

এরপর প্রধানমন্ত্রী ঢাকা-পঞ্চগড় রুটে ‘পঞ্চগড় এক্সপ্রেস’ নামের আন্তঃনগর ট্রেনের শুভ উদ্বোধন করবেন।

কাঁচপুর, দ্বিতীয় মেঘনা, গোমতী সেতু নির্মাণ প্রকল্প পরিচালক আবু সালেহ মো. নুরুজ্জামান জানান, নবনির্মিত কাঁচপুর ব্রিজ ইতোমধ্যেই যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। নতুন দুটি সেতু চালু হলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বিশেষ করে ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা কিছুটা হলেও আরামদায়ক হবে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলতি বছরের ১৬ মার্চ শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতুর উদ্বোধন করেন।

নুরুজ্জামান জানান, জাপানি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ওবায়সি করপোরেশন, শিমঝু করপোরেশন, জেএফএফ করপোরেশন ও আইএইচআই ইনফ্রা সিস্টেম্স কোম্পানি লি. ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেঘনা ও গোমতীর সঙ্গে দ্বিতীয় কাঁচপুর ব্রিজের কাজ শুরু করে।

এ তিনটি সেতু নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছে- ৮ হাজার ৪৮৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাপানের জাইকা ৬ হাজার ৪৩০ কোটি টাকা সহায়তা দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এই প্রকল্পে প্রস্তাবিত ব্যয়ের তুলনায় ১ হাজার কোটি টাকা কম খরচ হয়েছে।

প্রকল্প পরিচালক বলেন, চুক্তি অনুযায়ী জাপানের প্রতিষ্ঠানগুলো ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে কাজ শুরু করে এবং ২০১৯ সালের জুনে সম্পন্ন করার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়।

তিনি আরও বলেন, কিন্তু ২০১৬ সালের জুলাইতে হলি আর্টিজান বেকারীতে সন্ত্রাসী হামলার কারণে নির্মাণ কাজ চার মাস বন্ধ থাকে।
এ কারণে সরকার নির্মাণ কাজ ৬ মাস বাড়িয়ে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ করে দেয়।

প্রকল্প পরিচালক আরও বলেন, সেতু তিনটির নির্মাণ কাজ নির্ধারিত সময়ের সাত মাস আগেই সম্পন্ন হয়।

নুরুজ্জামান জানান, ৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রায় ৪০০ মিটার দীর্ঘ নতুন কাঁচপুর সেতু নির্মাণ কাজ ২০১৭ সালে শেষ হয়।

তিনি আরও জানান, নতুন কাঁচপুর সেতু পুরানোটির চেয়ে প্রস্থে ২ মিটার বেশি। কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যেই পুরানো সেতুর সংস্কার কাজ শুরু করেছে।

তিনি বলেন, যথাক্রমে এক হাজার ৭৫০ কোটি ও ১ হাজার ৯৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন ৯৩০ মিটার মেঘনা ও ১,৪১০ মিটার গোমতি সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

নুরুজ্জামান আরও জানান, জনসাধারণের ঈদ যাত্রার সুবিধার্থে ৩১ মে কাঁচপুর সেতুর পূর্বাংশের ওভারপাস খুলে দেওয়া হবে।

বন্দর নগরী ও রাজধানীর মধ্যে দুটি যাতায়াত পথ মেঘনা ও গোমতি সেতুতে এসে এক হয়ে গেছে। প্রযুক্তিগতভাবে পুরানো কাঁচপুর সেতুতে দুটি যাতায়াত পথ থাকলেও এর প্রশস্ততা যথেষ্ট নয়।

এমতাবস্থায় সেতুর মুখে এসে যানজটের সৃষ্টি হয়। ঈদ ও সপ্তাহের শেষে যখন যান চলাচল বেড়ে যায় তখন পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটে।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!