• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

আজ হোয়াইটওয়াশ না মান রক্ষা


ক্রীড়া প্রতিবেদক জানুয়ারি ২৭, ২০২০, ১২:০৩ পিএম
আজ হোয়াইটওয়াশ না মান রক্ষা

ঢাকা : টানা দুই ম্যাচে হার। সিরিজের ট্রফি নিশ্চিত করেছে পাকিস্তান। আজ টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে লাহোরে পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এই ম্যাচেও হারলে টাইগারদের কপালে জুটবে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা। সেই লজ্জা এড়াতে পারবে বাংলাদেশ? সেটা সময়ই বলে দেবে।

সিরিজের শেষ ম্যাচ আজ। প্রথম ম্যাচে ১৪১ রান করেও বাংলাদেশ হেরেছিল ৫ উইকেটে। দ্বিতীয় ম্যাচে হার আরো বাজেভাবে। ১৩৬ রান করে ৯ উইকেটের পরাজয়। তৃতীয় ম্যাচে তাই স্কোয়াডে রদবদল হতে পারে। সে ইঙ্গিত দ্বিতীয় ম্যাচ শেষেই দিয়েছিলেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো।

টাইগার দলপতি এই বিষয়ে বলেন, ‘আমাদের কিছু তরুণ ক্রিকেটারকে খেলিয়ে দেখতে পারি শেষ ম্যাচে। শেষ ম্যাচে আমাদের আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলে জেতার চেষ্টা করতে হবে।’

আর টাইগার দলপতির সুরে সুর মিলিয়ে রাসেল ডমিঙ্গো বলেন, ‘এই সফরে সবাইকে সুযোগ দিতে হবে। আমরা ২-০ ব্যবধানে সিরিজ এরই মধ্যে হেরেছি। তিনজন ক্রিকেটার এখনো দলে সুযোগ পায়নি, তারা অবশ্যই দলে আসবে এবং আমরা আরো পরিকল্পনা করছি।’

টাইগারদের দুই প্রধানের বক্তব্যে নিশ্চিত যে শেষ ম্যাচে একাধিক পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে। ডমিঙ্গোর কথা ধরলে দলের বাইরে এখন পর্যন্ত সুযোগ মেলেনি তিনজন ক্রিকেটারের। ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত, অভিজ্ঞ পেসার রুবেল হোসেন এবং তরুণ পেসার মাহমুদ হাসান।

তবে এই তিনজনের যদি সুযোগ মেলে একাদশে তাহলে বাদ পড়বে কারা? প্রসঙ্গতই আঙুল উঠছে তামিমের সঙ্গী মোহাম্মদ নাইম, মোস্তাফিজুর রহমান এবং মেহেদি হাসানের দিকেই।

সদ্য শেষ হওয়া বিপিএলে দারুণ ব্যাটিং করা নাজমুল হোসেন শান্তকে দলে নেওয়া হলে বাদ পড়তে পারেন মোহাম্মদ নাইম। তবে এর আগের দুই ম্যাচে নাইম করেছেন ৪৩ এবং ০। প্রথম ম্যাচে তো দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তো ছিলেন তিনিই। তবে? যদি নাইমকে তামিমের সঙ্গী হিসেবে রেখে শান্তকে ওয়ান ডাউনের জন্য বিবেচনা করা হয় তাহলে বাদ পড়বেন কে? সে সম্পর্কে অধিনায়ক রিয়াদ এবং প্রধান কোচ ডমিঙ্গো কোনো ধরনের মন্তব্য করেননি।

তবে নাইমের দলে থাকা নিয়ে ডমিঙ্গো মন্তব্য করেছেন ঠিকই। তিনি বলেন, ‘নাঈম প্রথম ম্যাচে ভালো করেছে। সে দুই মাস আগেও ভারতের বিপক্ষে দারুণ ব্যাটিং করেছিল। সে তার সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছে। সিনিয়র খেলোয়াড়দের অনুপস্থিতি নাইমদের মতো ক্রিকেটারদের জন্য সুযোগও।’

আর বিপিএলে দারুণ সাড়া জাগানো পেসার মাহমুদ হাসানকেও দেখা যেতে শেষ ম্যাচে। আর তাতে কপাল পুড়তে পারে মোস্তাফিজুর রহমানেরই। কারণ পাকিস্তানে দুই ম্যাচের একটিতেও নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি কাটার মাস্টার। দুই ম্যাচ খেলে বল হাতে ৭ ওভারে দিয়েছেন ৬৯ রান আর বিনিময়ে নিতে পেরেছেন কেবল ১টি উইকেট।

অন্যদিকে ৭ ওভারে ৫৪ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট নিয়েছেন শফিউল ইসলাম। এছাড়া আর এক পেসার আল-আমিন হোসেন ৭ ওভার বল করে মাত্র ৩৫ রানের বিনিময়ে নিয়েছিলেন ১টি উইকেট। অর্থাৎ পরিসংখ্যান বলছে টাইগারদের তিন পেসারের মধ্যে সব থেকে বাজে পারফরম্যান্স মোস্তাফিজুর রহমানের। পারফরম্যান্সের দিক বিবেচনা করলে বাদ পড়তে হতে পারে কাটার মাস্টারকেই। আর তার বদলে দলে আসতে পারেন মাহমুদ হাসান। আর সেইসঙ্গে দলে ঢুকতে পারেন রুবেল হোসেনও।

পাকিস্তানের মাটিতে জয়ের রেকর্ড নেই বাংলাদেশের। আজই ঘুচে যাবে সেই অপূর্ণতা? পেসার শফিউল ইসলামের চোখে শেষটা রাঙানোর। গতকাল টিম হোটেলে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন শফিউল ইসলাম। পাকিস্তান সফরে অন্যদের তুলনায় মোটামুটি সফল এ পেসার জানান, ছোট ছোট কিছু ভুল পিছিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশকে। তিনি বলেন, ‘সবাই জেতার জন্য খেলে। আমাদেরও লক্ষ্য ছিল জয়। একটা ম্যাচ আছে। ভালোভাবে যেন শেষ করতে পারি সেটাই চাই। পাকিস্তান ভালো ক্রিকেট খেলেছে বলেই জিতেছে। আমরা বিপিএল খেলে আসছি, হয়তো ভালো খেলা সম্ভব ছিল। প্রথম ম্যাচে হয়ত ১০ রান কম হয়েছে। দ্বিতীয় ম্যাচে বাবর আজম ও হাফিজ ভালো ব্যাটিং করেছে। আসলে ওরা

ভালো ক্রিকেট খেলেছে বলেই ওদের পক্ষে ফলাফল গিয়েছে। তবে আমাদের আরও ভালো করার সুযোগ ছিল।’

তিনি আরো বলেন, ‘সবাই চেষ্টা করেছে। দুটি দিনই ওদের পক্ষে গিয়েছে হয়তো। আমরা কিছু ভুল-ত্রুটি করেছি। ক্রিকেট খেলায় ছোট ভুলগুলোও অনেক বড় হয়ে যায়। সে কারণেই হয়ত আমরা পারিনি।’

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!