• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আটকে গেলো কেটলি বালিশ ফ্রিজ তোলার সব বিল


নিজস্ব প্রতিবেদক মে ২০, ২০১৯, ০৬:১৫ পিএম
আটকে গেলো কেটলি বালিশ ফ্রিজ তোলার সব বিল

ঢাকা: রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পে আসবাবপত্রসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক পণ্য কেনার দায়িত্ব পাওয়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সব বিল আটকে গেলো।

রোববার (১৯ মে) গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. ইফতেখার হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, 'রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ' প্রকল্পের আওতায় গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্মাণাধীন ছয়টি ভবনে আসবাবপত্রসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজের জন্য ছয়টি প্যাকেজে ই-জিপিতে দরপত্র আহ্বান করা হয়।

প্যাকেজগুলোর প্রতিটির ক্রয়মূল্য ৩০ কোটি টাকার নিচে প্রাক্কলন করায় গণপূর্ত অধিদপ্তর থেকে অনুমোদন দেয়া হয় ও ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়। এ ক্ষেত্রে দাপ্তরিক প্রাক্কলন প্রণয়ন, অনুমোদন ও ঠিকাদার নিয়োগে মন্ত্রণালয়ের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এর জের ধরে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে একজন অতিরিক্ত সচিব এবং গণপূর্ত অধিদপ্তর থেকে একজন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর নেতৃত্বে আলাদা দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সব পেমেন্ট বন্ধ রাখার জন্য গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় হতে ইতোমধ্যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

ওই কাজের বিপরীতে এখনও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে বিল পরিশোধ করা হয়নি। তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুযায়ী বাজারমূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে বিল পরিশোধের বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে।

এদিকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের দুর্নীতি ঘটনায় গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দেখতে চান হাইকোর্ট।

এ জন্য (২০ জন) সোমবার গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে গঠিত কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

উল্লেখ্য, গত কয়েক দিন ধরে দেশের বেশিরভাগ গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পে আসবাবপত্রসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক পণ্য অস্বাভাবিক দামে কেনা ও সেগুলো ফ্ল্যাটে তোলার ব্যয় নিয়ে বেশ বিতর্ক চলছে।

একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী, ওই ভবনের জন্য এক হাজার ৩২০টি বালিশ কেনা হয়েছে। এদের প্রতিটির মূল্য দেখানো হয়েছে ৫ হাজার ৯৫৭ টাকা। আর সেই প্রতিটি বালিশ নিচ থেকে ভবনের ওপরে তুলতে খরচ দেখানো হয়েছে ৭৬০ টাকা!

সোনালীনিউজ/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!