• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

আত্মহত্যাচেষ্টার আগে শোভন-রাব্বানীকে যা বলেছেন জারিন দিয়া


নিউজ ডেস্ক মে ২১, ২০১৯, ০১:০৬ পিএম
আত্মহত্যাচেষ্টার আগে শোভন-রাব্বানীকে যা বলেছেন জারিন দিয়া

ঢাকা: ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যাচেষ্টার আগে ফেসবুকে ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন এবং সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে উদ্দেশ্য করে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য জারিন দিয়া।

জানা গেছে, মধুর ক্যান্টিনে মারামারির ঘটনায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে সোমবার রাত ৯টার দিকে ছাত্রলীগ থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয় জারিন দিয়াকে।

এর তিন ঘণ্টা পর রাত ১২টার দিকে শোভন ও রাব্বানীকে উদ্দেশ্য করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন তিনি। এর পর ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন জারিন দিয়া।

নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে জারিন দিয়া লিখেছেন- ‘গত ১৩ তারিখ পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেয়ার পর যখন দেখলাম আমার নামটি নেই, তখন ভাবলাম- হয়তো যোগ্য না।

তাই হয়তো আমার নামটি দেয়নি। একপর্যায়ে শোভন ভাইকে ফোন দিলাম। ভাইকে বললাম, ভাই আমাকে কেন কমিটিতে রাখা হলো না? আমি শুনতে চেয়েছিলাম তিনি হয়তো বলবেন- আমি যোগ্য না। রাজনীতি করতে থাকো, পাবে একসময়। কিন্তু না…

ভাই আমাকে বললেন- তোকে অনেক রাখার চেষ্টা করেছি। কিন্তু রাব্বানীর জন্য তোকে রাখতে পারিনি। রাব্বানী তোর ওপর ব্যক্তিগত ক্ষোভ। আমাকে ভুল বুঝিস না। কথাটা শুনে কাঁদব না হাসব বুঝতে পারলাম না।

তখন আমি শোভন ভাইকে বললাম- ব্যক্তিগত ক্ষোভের সেই ঘটনাটা। আরও বললাম, কোনো দিন যদি আপার সামনে যেতে পারি ভাই, আমি আপাকে একটা বার বলতে চাই- আপা সম্মেলনের আগে রাব্বানী ভাইয়ের সাথে এই বিষয়টি নিয়ে কথাকাটাকাটি হয়। তখন ভাই আপনি কী উত্তর দেবেন? কোনো উত্তর দিতে পারেননি শোভন ভাই।

রাব্বানী ভাইকে অনেক বার ফোন দিয়েছি। উনি ফোন ধরেননি। তাই সামাজিকমাধ্যমে ফেসবুকের একটি স্ট্যাটাসে আমার সঙ্গে রাব্বানী ভাইয়ের ক্ষোভের ঘটনাটি উল্লেখ করি। যেটা ভাইরাল হয়ে যায়। আজ সেই স্ট্যাটাসটার জন্য আমাকে ছাত্রলীগ থেকে তারা বহিষ্কার করে দিলেন? আমার দেশরত্নের কাছে একটা প্রশ্ন রেখে যেতে চাই- আমরা মেয়েরা আর কতটা অসম্মানিত হলে তাদের যোগ্য বলে মনে হবে?

শোভন-রাব্বানী ভাই আপনাদের একটা কথা বলে যেতে চাই, ব্যক্তিগত ক্ষোভ না দেখিয়ে যারা সংগঠনের জন্য কাজ করে তাদের মূল্যায়ন দিয়েন। আমি সেদিনের মারামারিতে যখন কোমরে আঘাত পেলাম, কই আপনারা তো আমার একটা খোঁজ নিলেন না!

আমি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি। জানি না কী করব। আমি যদি মারা যাই শোভন-রাব্বানী ভাইদের কাছ থেকে উত্তরগুলো নিয়ে আমাকে কলঙ্কমুক্ত করবেন পারলে। রাজনীতি করতে এসে রাজনৈতিক নেতাদেরই দ্বারা এতটা অসম্মানিত হব কোনোদিন ভাবতেও পারিনি।’

ছাত্রলীগের গত কমিটির সমাজসেবা সম্পাদক রানা হামিদ বলেন, ‘বহিষ্কারের ক্ষোভ থেকে অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে দিয়া। তাকে আমরা হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি। ওয়াশ করা হয়েছে। এখন তার শারীরিক অবস্থা ভালো।’

প্রসঙ্গত ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও মারামারির ঘটনায় সংগঠনটির একজনকে স্থায়ী ও চারজনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া দুজনকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ পাঠানো হয়।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!