• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
রাশিয়ার মন্তব্যে বিস্মিত ভারত

আন্তর্জাতিক ইস্যু হিসেবে স্বীকৃতি পেল কাশ্মীর


আন্তর্জাতিক ডেস্ক আগস্ট ১৮, ২০১৯, ০২:০৫ পিএম
আন্তর্জাতিক ইস্যু হিসেবে স্বীকৃতি পেল কাশ্মীর

ঢাকা : জম্মু-কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন ও বিশেষ মর্যাদা বাতিল হয়েছে ১২ দিন আগে। এখনো নিজ ঘরে অবরুদ্ধ হয়ে আছে কাশ্মীরের জনগণ। গত ৫ আগস্ট ভারত সরকার সংবিধানের ৩৭০ ধারা ও ৩৫-এ ধারা বাতিল করার পর সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করে। বন্ধ করে দেয় মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবা। দুয়েকটি জায়গায় যোগাযোগব্যবস্থা আবারো চালু করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন নরেন্দ্র মোদি সরকারের কর্মকর্তারা।

কিন্তু আদৌ হয়েছে কি না, তা এখনো কেউ নিশ্চিত করে জানাতে পারেনি। খবর বিবিসি, আলজাজিরা, এনডিটিভি, টাইমস অব ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়া টুডে ও ডনের।

কাশ্মীর ইস্যুতে শুক্রবার চীনের আহ্বানে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ অনানুষ্ঠানিক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসে। নিরাপত্তা পরিষদ জম্মু-কাশ্মীর বিরোধ নিয়ে সর্বশেষ ১৯৬৫ সালে আলোচনায় বসেছিল।

এ বৈঠকের মধ্য দিয়ে কাশ্মীর আন্তর্জাতিক ইস্যু হিসেবে স্বীকৃতি পেল। ৯০ মিনিটের রুদ্ধদ্বার বৈঠকে চীন কাশ্মীর পরিস্থিতি উদ্বেগজনক বললেও নিরাপত্তা পরিষদের পক্ষ থেকে কোনো বিবৃতি দিতে সম্মত হয়নি সদস্য রাষ্ট্রগুলো। বৈঠক থেকে একটি বিবৃতি দেওয়ার প্রস্তাব তুলেছিল চীন। বৈঠকের পর চীন বলেছে, কাশ্মীর নিয়ে ভারত বা পাকিস্তানের একতরফাভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত।

নিরাপত্তা পরিষদের এ বৈঠকে ভারত ও পাকিস্তানের কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত ছিল না। শুধু জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ৫ স্থায়ী ও ১০ অস্থায়ী সদস্য রাষ্ট্রই এই আলোচনায় অংশ নেয়। বৈঠকের পর চীন ছাড়া আর কোনো দেশ এ বিষয়ে কোনো কথা বলেনি।

অন্যদিকে রাশিয়া বৈঠকে যোগ দেওয়ার আগে বলেছে, কাশ্মীর ইস্যু ভারত-পাকিস্তানের দ্বিপক্ষীয় বিষয়। কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল নিয়ে শুরু থেকেই এর বিরোধিতা করে এ নিয়ে জাতিসংঘে বৈঠকের দাবি করে আসছিল প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান।

বৈঠকে কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে চীন নিরাপত্তা পরিষদের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দেওয়ার প্রস্তাব তুললেও নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্স এবং অস্থায়ী সদস্য জার্মানি এর বিরোধিতা করে।

তারা বলে, এ ধরনের বিবৃতি দিতে হলে তা সর্বসম্মতিক্রমে দেওয়া উচিত। বৈঠক শেষে জাতিসংঘে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ঝ্যাং জুন বলেন, নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যদের মতে, ভারত ও পাকিস্তান-উভয়েরই কাশ্মীর ইস্যুতে একতরফা সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত।

কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতি অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ ও বিপজ্জনক। রুদ্ধদ্বার আলোচনায় অংশ নেওয়ার আগে রাশিয়ার উপস্থায়ী প্রতিনিধি দিমিত্রি পলিয়ানস্কি বলেন, কাশ্মীর ইস্যু ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় বিষয়। আশা করছি দেশ দুটি আলোচনার মাধ্যমে সংকটটির সমাধান করবে। এ ছাড়া ভারতকে অবাক করে কাশ্মীর সংকট সমাধানে জাতিসংঘের চার্টার ও রেজুলেশন অনুসরণের আহ্বান জানিয়েছে  দেশটি।

পলিয়ানস্কি টুইটারে লিখেছেন, রাশিয়া সব সময়েই ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের পক্ষে জোর দিয়ে আসছে। আমরা আশা করি কাশ্মীর বিরোধ রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক উপায়ে দ্বিপক্ষীয়ভাবে সমাধান হবে।

যার ভিত্তি হবে ১৯৭২ সালের সিমলা চুক্তি ও ১৯৯৯ সালের লাহোর ঘোষণা এবং জাতিসংঘের চার্টার, জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট রেজুলেশন এবং ভারত ও পাকিস্তানের দ্বিপক্ষীয় চুক্তি। কাশ্মীর ইস্যুতে রাশিয়ার এই অবস্থানে বিস্মিত ভারত।

কারণ দীর্ঘদিন ধরেই ভারত জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ বা নিরাপত্তা পরিষদে কাশ্মীর বিরোধ উত্থাপনের ক্ষেত্রে সিমলা চুক্তি ও লাহোর ঘোষণাকে হাতিয়ার করে পাকিস্তানকে ঠেকিয়ে আসছে। দেশটি সব সময় দাবি করে আসছে, কাশ্মীর ইস্যু তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়।

এ ছাড়া নয়াদিল্লি সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে কাশ্মীর ইস্যুতে মধ্যস্থতা করতে মোদির অনুরোধের বিষয় অস্বীকার করেছে। কাশ্মীর নিয়ে ভারতের এই অবস্থান তাদের পুরোনো বন্ধুরাষ্ট্র রাশিয়ার জানা। তা সত্ত্বেও রাশিয়ার প্রতিনিধির এই ধরনের বক্তব্য ভারত সহজভাবে নিতে পারছে না।

নিরাপত্তা পরিষদের রুদ্ধদ্বার বৈঠকের সিদ্ধান্ত হওয়ার পর তা শুরুর আগে ২৪ ঘণ্টায় ভারত জাতিসংঘের পাঁচ স্থায়ী সদস্য-যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া, ফ্রান্স ও ব্রিটেনের কাছে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে। অস্থায়ী ১০ সদস্য রাষ্ট্রের কাছেও যায় নয়াদিল্লি, যাতে নিরাপত্তা পরিষদ বিষয়টি আনুষ্ঠানিক আলোচনায় না আনে।

কিন্তু পাঁচ স্থায়ী সদস্যের মধ্যে রাশিয়াকে নিয়েই ভারতের কোনো সংশয় ছিল না। ভারতের ধারণা ছিল, তাদের অবস্থানের পক্ষে দৃঢ় সমর্থন জানাবে রাশিয়া। পাকিস্তান যাতে কাশ্মীর ইস্যুকে আন্তর্জাতিকীকরণ করতে না পারে, সে জন্য ভারতের পক্ষে থাকবে রাশিয়া।

এর আগে রাশিয়া কাশ্মীর ইস্যুতে মোদি সরকারের সিদ্ধান্তকে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে স্বীকৃতিও দেয়। দেশটি নিরাপত্তা পরিষদে কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে পাকিস্তানের তোলা প্রস্তাবে বেশ কয়েকবার ভেটো দেয়। ফলে এই ইস্যুতে কোনো রেজুলেশন পাস করা সম্ভব হয়নি।
সম্প্রতি পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশির সঙ্গে আলোচনায় রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছিলেন, ভারত-পাকিস্তানের বিরোধ সমাধানে দ্বিপক্ষীয় রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক উপায়ের কোনো বিকল্প নেই।

এদিকে নিরাপত্তা পরিষদে রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পর জাতিসংঘে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি সৈয়দ আকবরউদ্দিন বলেন, জম্মু-কাশ্মীর পুরোপুরি ভারতের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এ বিষয়ে ভারত সরকার মূলত প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে। এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার সময় অনেক ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করতে হয়। কিন্তু তাতে কোনো প্রাণঘাতী ঘটনা ঘটেনি। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে মদদ দেওয়া থেকে পাকিস্তানকে সরে আসার আহ্বান জানান তিনি।

বলেন, পাকিস্তানের উচিত আলোচনার টেবিলে আসা। তারা যেভাবে কাশ্মীর ইস্যুতে উদ্বেগ প্রদর্শন করছে, তার সঙ্গে বাস্তব পরিস্থিতির কোনো মিল নেই।

জাতিসংঘে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত মালিহা লোদি বলেন, ৫০ বছরেরও বেশি সময় পর এই প্রথম কাশ্মীর ইস্যুতে নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক হলো। এ বৈঠকই পাকিস্তানের শেষ পদক্ষেপ নয়।

নিরাপত্তা পরিষদের এই বৈঠক কাশ্মীর সমস্যাকে আন্তর্জাতিক ইস্যু হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। নিরাপত্তা পরিষদে কাশ্মীর ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ভারতের পক্ষে কথা বললেও দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সংকট নিরসনে নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদকে আলোচনায় বসার ওপর জোর দিয়েছেন। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে ফোনালাপে তিনি এ কথা বলেন। হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশি দাবি করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইমরান খানের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ আলাপচারিতা হয়েছে। কাশ্মীর ইস্যুতে খোঁজখবর রাখবে যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়া তারা দুজন আফগানিস্তান নিয়েও আলোচনা করেন।

এর আগে জুলাইয়েও ইমরান খানের সঙ্গে এক বৈঠকে ট্রাম্প বলেছিলেন, কাশ্মীর সংকটে মধ্যস্থতা করতে তিনি আগ্রহী। তার পরপরই ভারত কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে।

কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তান জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্যের মধ্যে চারটির সমর্থন পেতে যোগাযোগ করেছিল। ফরাসি প্রেসিডেন্টের সঙ্গেও যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছিল।

গত ৫ আগস্ট ভারত সরকার জম্মু ও কাশ্মীরকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে দ্বিখণ্ডিত করার সিদ্ধান্ত নেয়। রাজ্যটিকে দ্বিখণ্ডিত করে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ নামে দুটি আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল সৃষ্টির সিদ্ধান্ত হয়। এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ভারতীয় হাইকমিশনারকে বহিষ্কার করে পাকিস্তান। নয়াদিল্লির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক হ্রাস করার সিদ্ধান্ত জানায় তারা। তবে শুধু পাকিস্তান নয়, ভারতের অন্যান্য অঞ্চলের লোকজনও মোদি সরকারর এ সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে।

বিভিন্ন রাজ্যের দুই শতাধিক বিভিন্ন ভাষাভাষী ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কবি-সাহিত্যিক, লেখক, নাট্যকার, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক কর্মীসহ সমাজের বিশিষ্টজনেরা শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেন, সরকার সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে জম্মু ও কাশ্মীরকে দ্বিখণ্ডিত করে ভারতের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সঙ্গে উপহাস করেছে। এ সিদ্ধান্তের ফলে ১৯৪৭ সালে কাশ্মীরকে সংযুক্তকরণের সময় যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, তা ভেঙে দেওয়া হলো।

বিবৃতিতে বলা হয়, পার্লামেন্টে জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে সংবিধান সংশোধনী বিল পেশ করার আগে কোনো মহলের সঙ্গে পরামর্শ করেনি। কাশ্মীর নিয়ে এত বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কোনো ধর্ম বা বর্ণের মানুষের মতামত নেওয়া হয়নি।

অন্য মতাদর্শের রাজনৈতিক লোকজনের সঙ্গেও আলোচনা করা হয়নি, বরং সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর কাশ্মীরজুড়ে নিরাপত্তাব্যবস্থা কড়াকড়ি করা হয়েছে। এ থেকে প্রমাণিত হয় ভিন্ন মতকে ভয় পাচ্ছে সরকার।

তারা কাশ্মীরে গণতন্ত্র ফেরাতে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী সব সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানায়। একই সঙ্গে ভারত সরকারকে ৩৭০ ধারা বিলোপের সিদ্ধান্তটি পুনর্বিবেচনা করারও দাবি জানান।

বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন অমিতাভ ঘোষ, অমিত চৌধুরী, পেরুমল মুরুগান, জেডি পাওয়ার, বেজওয়া উইলসন, শশী দেশপান্ডে, শরণকুমার লিম্বালে, টি এম কৃষ্ণন, সি সাইনাথ, দামোদর মোজো, নয়নতারা সেহগাল, অশোক বাজপেয়ি, দিলীপ কাউর তিওয়ানা, বামা, শম্ভাজী ভগত, জেরি পিন্টো প্রমুখ।

এদিকে বিশেষ মর্যাদা বাতিলের জেরে টানা ১২ দিন পর কাশ্মীরের অবরুদ্ধ পরিস্থিতি কিছুটা শিথিল করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। কিছু কিছু এলাকায় টেলিফোন সেবা চালু হয়েছে। লোকজন চলাচলের নিষেধাজ্ঞাও উঠিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তবে সড়কে অতিরিক্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা ব্যারিকেডগুলো বহাল রয়েছে। পরিচয়পত্র পরীক্ষার পরই স্থানীয়দের চলাচলের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।

সরকারের মুখপাত্র রোহিত কানসাল জানান, কাশ্মীরের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো আগামীকাল (সোমবার) থেকে আবারো চালু হচ্ছে। ওইদিন থেকে সরকারি অফিসগুলোও পুরোদমে কার্যক্রম শুরু হবে।

নিষেধাজ্ঞা ধীরে ধীরে উঠিয়ে নেওয়া হবে বলে তিনি জানালেও আটক কাশ্মীরী নেতারা কবে নাগাদ মুক্তি পাবেন, তার কোনো ঠিক নেই। এ বিষয়ে কানসাল জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে তাদের মুক্তির বিষয়টি বিবেচনা করবে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

৩৭০ ধারা বাতিলকে কেন্দ্র করে প্রায় এক হাজার রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু তাদের আটক রাখার জায়গা নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে প্রশাসন। আটক ব্যক্তিদের রাখার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ব্যক্তিগত বাড়ি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। যাতে আটক ব্যক্তিদের সেখানে রাখা যায়।

শ্রীনগরের শের-ই-কাশ্মীর আন্তর্জাতিক কনভেনশন কেন্দ্রসহ বারামুল্লা ও গুরেজের কনভেনশন কেন্দ্রকে অস্থায়ী কারাগার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এসব কারাগারে অন্তত ৫৬০ জন রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে আটক রাখা হয়েছে।

জম্মু-কাশ্মীর বিষয়ে সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের ঘোষণা দেওয়ার আগে ৪ আগস্ট গভীর রাতে কাশ্মীরের সাবেক দুই মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি ও ওমর আবদুল্লাহকে গৃহবন্দি করা হয়। এরপর ৫ আগস্ট ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদের পর মেহবুবা মুফতি ও ওমর আবদুল্লাহকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ ছাড়া অতীতে যেসব রাজনৈতিক কর্মী পাথর নিক্ষেপের ঘটনায় জড়িত ছিল তাদেরও পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পাশাপাশি পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে না যায়, সে জন্য আরো অনেক রাজনৈতিক কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মুনির খান জানান, জননিরাপত্তা আইনের (পিএসএ) আওতায় কয়েকজন ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। সন্দেহভাজন কোনো ব্যক্তিকে কয়েক বছর কারাগারে আটকে রাখতে উপত্যকায় এই আইন ব্যবহার করা হয়। জননিরাপত্তা আইনের আওতায় কয়েকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমরা তা চাই না কোনো প্রাণহানি হোক।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!