• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আন্দোলন থামাতে বশেমুরবিপ্রবি বন্ধ ঘোষণা


সোনালীনিউজ ডেস্ক সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৯, ০৯:৫৯ এএম
আন্দোলন থামাতে বশেমুরবিপ্রবি বন্ধ ঘোষণা

ঢাকা : কথায় কথায় শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারসহ নানা অভিযোগে চলমান আন্দোলনের মধ্যেই গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যায় (বশেমুরবিপ্রবি) ৩ আগস্ট পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।

শবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে এই ঘোষণা দেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার। ঘোণায় সকাল ১০টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মো. নুরউদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ নির্দেশ দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্ভূত জরুরি পরিস্থিতিতে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত রাখতে, বিবাদমান গ্রুপসমূহের মধ্যে মতানৈক্য নিরসনে এবং সম্ভাব্য অপ্রত্যাশিত ঘটনা এড়াতে রিজেন্ট বোর্ডের সদস্যদের মৌখিক অনুমতিতে আসন্ন পূজার নির্ধারিত ছুটির সঙ্গে ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর তারিখ পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হলো। শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলসমূহের শিক্ষার্থীদের সকাল ১০টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হলো।

এদিকে, ভিসি’র পদত্যাগের এক দফা দাবিতে শনিবার তৃতীয় দিনের মতো শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন।

এর আগে ভিসি প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করাসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে পদত্যাগের দাবিতে বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে বিকাল থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তারা এখনও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ও হল ত্যাগের নির্দেশের চিঠি দেখেননি। বিষয়টি শুনেছেন। তবে ভিসির পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন চলবে। ভিসি পদত্যাগ করলেই কেবল আন্দোলন থেকে সরে যাবেন তারা। তা না হলে আন্দোলন চলবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মো. নুরউদ্দিন আহমেদ ছুটি ও হল ত্যাগের আদেশের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, ‘উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দিতে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছি।’

গত ১১ সেপ্টেম্বর আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ও ক্যাম্পাস সাংবাদিক ফাতেমা-তুজ-জিনিয়াকে সাময়িক বহিষ্কারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। পরে জিনিয়ার বহিষ্কারাদেশ তুলে নেওয়াসহ আরো কয়েকটি দাবি কর্তৃপক্ষ মেনে নিলেও ভিসির পদত্যাগের দাবিতে অন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।

সোনালীনিউজ/এএস

 

Wordbridge School
Link copied!