‘আন্দোলনের মধ্য দিয়ে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনবো’

ঢাকা: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সব আইনগত বিষয়ে হাইকোর্ট থেকে জামিন পাওয়ার পরও খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়া হয়নি। খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে, জনগণের কাছ থেকে দূরে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে সরকার।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়া জনগণের নেত্রী। হাজারো চেষ্টা করেও তাকে জনগণ থেকে দূরে রাখা যাবে না। আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তাকে মুক্ত করে আনা হবে।

বুধবার (১৩ জুন) রাজধানীর বিজয় নগরে বাংলাদেশ লেবার পার্টি আয়োজিত ইফতার মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ফখরুল।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া এ দেশে কোনো কিছুই সম্ভব নয়, এজন্য তাকে মুক্ত করতে হবে। একই সঙ্গে সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে। নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে এবং নিরপেক্ষ সরকার দিতে হবে।

সরকারকে ‘দানব’ উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশের জনগণের ওপর চেপে বসা এই ভয়ংকর দানব সরকারকে সরাতে হবে। এ জন্য জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করে আমাদের গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে। আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমাদের বিজয়ী হতে হবে।

খালেদা জিয়া চিকিৎসার বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, অবিলম্বে দেশনেত্রীকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। জেলকোডের কোথাও বলা নেই শুধু সরকারি হাসপাতালেই চিকিৎসা করতে হবে। দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, খালেদা জিয়াকে ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হোক। যাবতীয় খরচ দল বহন করবে। পরিবার থেকেও বলা হয়েছে, তার চিকিৎসার ব্যয় পরিবার থেকে বহন করা হবে।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, চিকিৎসার দেরি করা মানেই হচ্ছে খালেদা জিয়ার জীবনকে হুমকির মুখে ঠেলে দেয়া। আশা করি সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে, তারা অবিলম্বে তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে স্থানান্তর করে খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন।

বিজয় ছিনিয়ে আনার প্রত্যয় জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘খুন, গুম, অত্যাচার ও নির্যাতনের মধ্য দিয়ে একটি ভয়ংকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছে সরকার। আমরা জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করি। জনগণের শক্তি নিয়েই নির্বাচনে জিতেছে। কারও দয়ায় বিএনপি নির্বাচনে জিততে চায় না, জেতে না। স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে বিএনপি।’ জনগণের শক্তি নিয়েই বিজয় ছিনিয়ে আনার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।

বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে ইফতার মাহফিলে অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, এনাম আহমেদ চৌধুরী, আলতাব হোসেন চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, বরকত উল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হায়দার আলী, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম ছাড়াও ২০-দলীয় জোটের শরিক জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় পার্টি (জাফর), এনপিপি, মুসলিম লীগের নেতারা।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম