• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

‘আমরণ অনশনের’ ঘোষণা আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর


টাঙ্গাইল প্রতিনিধি ডিসেম্বর ১৭, ২০১৮, ০৯:৩৪ পিএম
‘আমরণ অনশনের’ ঘোষণা আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর

ঢাকা : বৃষ্টি, শীত উপেক্ষা করে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে তার অবস্থান ধর্মঘট পালন করে যাচ্ছেন।

তিনি সোমবার (১৭ ডিসেম্বর) জেলা প্রশাসককে পাঠানো চিঠিতে আমরণ অনশনের কথা জানিয়েছেন। তার কোনো ক্ষতি হলে নির্বাচন কমিশন দায়ী থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়ামের সাবেক এই সদস্য।

প্রবীণ এই রাজনীতিক রোববার দুপুর থেকে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে তার গাড়িবহরে হামলা ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে এই কর্মসূচি শুরু করেন। হামলাকারীদের গ্রেপ্তার এবং কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন লতিফ সিদ্দিকী। এ দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তিনি ধর্মঘট চালিয়ে যাবেন।

রোববার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে বসে পড়লেও রাতে সেখানে তার সমর্থকেরা একটি প্যান্ডেল তৈরি করেছেন। সেখানে চৌকির ওপর লেপ গায়ে দিয়ে শুয়ে আছেন লতিফ সিদ্দিকী। তার সমর্থকেরা জানান, এই কর্মসূচি শুরু করার পর থেকে তিনি খাবার খাননি। আজ সোমবার সকালে বৃষ্টি শুরু হলে তার সমর্থকরা পলিথিন এনে প্যান্ডেলের ওপর টাঙিয়ে দেন।

গতকালই টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা শহিদুল ইসলামকে একটি চিঠি দেন লতিফ সিদ্দিকী। চিঠির বিষয়: ‘প্রতিকারহীনতার ও কালক্ষেপণের কারণে অবস্থান ধর্মঘটের সঙ্গে আমরণ অনশন প্রসঙ্গে’।

চিঠিতে লতিফ সিদ্দিকী লিখেছেন, ‘আমার ধর্মঘটের ১৮ ঘণ্টা অতিক্রান্ত। কিন্তু কোনো প্রতিকার না পেয়ে আমি সিদ্ধান্ত নিলাম একই সঙ্গে আমরণ অনশন চালিয়ে যাওয়ার। আমার যদি কোনো ক্ষতি হয়, সে জন্য নির্বাচন কমিশন দায়ী থাকবে বলে ঘোষণা দিচ্ছি।’ লতিফ সিদ্দিকীকে দেখতে গতকাল তার নির্বাচনী এলাকা কালিহাতীসহ টাঙ্গাইলের বিভিন্ন স্থান থেকে তাঁর শুভানুধ্যায়ীরা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে ভিড় করছেন।

গত রবিবার দুপুর ১২টার দিকে নির্বাচনী প্রচার চালানোর জন্য লতিফ সিদ্দিকী গোহালিয়াবাড়ি ইউনিয়নের সরাতৈল গ্রামে যান। এ সময় রেললাইনের পাথর দিয়ে ঢিল ছুড়ে মারে। পরে লতিফ সিদ্দিকী তার বহর নিয়ে বল্লভবাড়ি গ্রামে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মহির উদ্দিনের বাড়িতে যান। পরে সেখানে হামলাকারীরা গিয়ে তার বহরের চারটি গাড়ি ভাঙচুর করে। এ সময় তার কয়েকজন কর্মী আহত হন।

প্রসঙ্গত, আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ১৯৭০, ১৯৭৩, ১৯৯৬, ২০০৮ ও ২০১৪ সালে টাঙ্গাইল-৪ আসন থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন। তার স্ত্রী লায়লা সিদ্দিকী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ১৯৮৬ সালে এ আসন থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন। লতিফ সিদ্দিকী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর মন্ত্রী হন।

২০১৪ সালে ধর্মীয় বিষয়ে কট‚ক্তি করে নিউইয়র্কে একটি সভায় বক্তৃতা দেওয়ার পর তাকে মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণ ও দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। পরে তিনি সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন। এতে আসনটি শূন্য হওয়ার পর ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে হাসান ইমাম খান সাংসদ নির্বাচিত হন। হাসান ইমাম খান এবারও আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!