• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

‘আমরা ব্যর্থ হয়েছি’


নিজস্ব প্রতিবেদক এপ্রিল ১৭, ২০১৯, ০৫:১৮ পিএম
‘আমরা ব্যর্থ হয়েছি’

ঢাকা: ফেনীর সোনাগাজী ইসলামীয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফি হত্যার উত্তর দিতে আমরা ব্যর্থ হয়েছি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে জিয়া শিশু একাডেমি আয়োজিত দশম জাতীয় শিশুশিল্পী প্রতিযোগিতা ‘শাপলাকুঁড়ি’ উপলক্ষে এক পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

শিশুদের উদ্দেশ্য করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা কেনো এই হিংসা, প্রতিহিংসা, ক্ষোভ, হত্যাযজ্ঞের মধ্যে নেমে পড়েছি? কেনো আমাদের রাফিকে এভাবে নির্যাতিত হয়ে মরতে হয়? কেনো? আমি জানি না। এই উত্তর আমাদের রাজনীতিবিদদেরই দেওয়া কথা। কিন্তু আমরা ব্যর্থ হয়েছি। সুন্দর বাংলাদেশ দিতে আমরা ব্যর্থ হয়েছি। ব্যর্থ হয়েছি, তোমাদেরকে নিরাপত্তা দিতে। তারপরও আমি স্বপ্ন দেখি। আমি স্বপ্ন দেখি, এই বাংলাদেশ একটা সুন্দর ও সমৃদ্ধির দেশ হবে। আমি স্বপ্ন দেখি, এই শিশুরা নির্ভয়ে বিচরণ করবে। কোথায়ও তাদের ওপর কখনো আঘাত আসবে না। আমাদের মেয়েদেরকে পুড়িয়ে মারবে না। এই স্বপ্নগুলো আমরা দেখি।

নিজের শৈশবের স্মৃতিচারণ করে শিশুদের উদ্দেশ্য করে তিনি আরো বলেন, প্রতি মুহূর্তে আমরা যান্ত্রিক হয়ে যাচ্ছি। যন্ত্রের কাছে চলে যাচ্ছি। প্রতি মুহূর্তে আমরা প্রযুক্তির কাছে হেরে যাচ্ছি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম। কেনো করেছিলাম? আমরা সবাই বইয়ে পড়ি স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেছিলাম। তাই না? কিন্তু সেই স্বাধীনতা যুদ্ধ কেনো করেছিলাম? তখন আমরা যে দেশে বাস করছিলাম, সেই দেশটা নিজেদের দেশ বলে মনে হচ্ছিল না। মনে হচ্ছিল, কেউ বুঝি আমাদের বুকের ওপর চেপে বসে আছে। আমরা নিঃশ্বাস নিতে পারতাম না। এটা থেকে আমরা বের হয়ে আসতে চেয়েছিলাম। সেই কারণেই আমরা যুদ্ধ করেছিলাম।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে আমাদের যারা নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, তারা অত্যন্ত শ্রদ্ধেয় মানুষ। কিন্তু যে মানুষটি স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছিলেন এবং নিজেই অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন- সেই মানুষটির নামেই জিয়া শিশু একাডেমি। তোমরা নামটি শুনেছো। কিন্তু তোমরা জানো না। কারণ তোমাদের বই থেকে আস্তে আস্তে নামটা মুছে দেয়া হচ্ছে! কিন্তু নামটা বারবার আমরা বলতে চাই। কারণ যে মানুষটি স্বাধীন মুক্ত বাতাসের স্বপ্ন দেখিয়েছেন। এই কথাটি আজকে ভুলে গেলে চলবে না।

আয়োজক সংগঠনের মহাপরিচালক এম হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. এমাজউদ্দিন আহমেদ, ১০ম জাতীয় শিশু শিল্পী প্রতিযোগিতার বিচারক চলচ্চিত্রকার ছটকু আহমেদ, অভিনেত্রী রিনা খান, শিল্পী শফি মন্ডল, শিল্পী জিনাত রেহানা প্রমুখ।

পরে আবৃত্তি, অভিনয়, সংগীত, নৃত্যের ১৩টি একক ও তিনটি দলীয় বিষয়ে ক-খ বিভাগে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানপ্রাপ্ত ৮৫ জন খুদে শিল্পীকে ‘শাপলাকুঁড়ি-২০১৮’ পুরস্কার ও সনদ প্রদান করা হয়। পরে পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পীরা মনোজ্ঞ সংগীত পরিবেশন করে।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!