• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আমরা ৩০০ মুরাতাদিনকে হত্যা করি : আসিফ আজাদ


বিশেষ প্রতিনিধি নভেম্বর ১, ২০১৮, ০৬:৫৬ পিএম
আমরা ৩০০ মুরাতাদিনকে হত্যা করি : আসিফ আজাদ

ঢাকা : ঢাকার ধানমন্ডির বাসিন্দা আসিফ আজাদ ঘর ছেড়েছিল ২০১৬ সালের ৩১ আগস্ট। পরিবারের সদস্যদের বলেছিল ইরানের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিনারে অংশ নেবে সে। কিন্তু আসিফের উদ্দেশ্য ছিল ভিন্ন। জঙ্গিবাদে জড়িয়ে সিরিয়ায় গিয়ে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটে যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা করে সে।

পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০১৬ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ইরান থেকে তুরস্কে যায় আসিফ। এরপর ১২ সেপ্টেম্বর তুরস্ক থেকে সিরিয়ার ইদলিবে গিয়ে পৌঁছায়। ১৭ সেপ্টেম্বর যায় পাশের শহর হামাতে। সেখানে গিয়ে গ্রেফতার হয়ে জেলে ছিল সে। ১২ অক্টোবর জেল থেকে মুক্তি পেয়ে আবারও ইদলিবে ফিরে আসে। ১৯ অক্টোবর জাবাহ মাকার থেকে পালিয়ে ২৯ অক্টোবর ফের যায় হামাতে। সেখানে গিয়ে লিওয়া আল আকসাতে যোগদান করে। গত বছরের (২০১৭) ফেব্রুয়ারি মাসে লিওয়া আল আকসার হয়ে রিবাতে ফ্রি সিরিয়ান আর্মির সঙ্গে যুদ্ধ করে আইসিস বা দাওলাতে যোগ দেয় আসিফ।

বাংলাদেশি এই তরুণের সিরিয়ায় গিয়ে আইসিস-এ যোগ দেওয়ার এই কাহিনী ও বার্তা আদান-প্রদানের তথ্য পাওয়া গেছে ঢাকার আরেক শীর্ষ জঙ্গি আকরাম হোসেন খান নিলয়ের চ্যাটবক্স থেকে। এবছরের ২২ মার্চ বগুড়া থেকে গ্রেফতারের পর নিলয়ের ব্যহৃত মোবাইলের ফরেনসিক পরীক্ষা করা হয়। তার মোবাইলের চ্যাটবক্স থেকে প্রায় ৩৪ হাজার পৃষ্ঠার ডকুমেন্ট (কথোপকথন) উদ্ধার করেছে ঢাকার কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)। এই কথোপকথনে সিরিয়ায় যাওয়ার পুরো কাহিনী এবং বিভিন্ন যুদ্ধে অংশ নেওয়াসহ নানা অভিজ্ঞতা এবং নিলয়সহ বাংলাদেশে থাকা সহযোগীদের সিরিয়ায় যাবার জন্য প্রলুব্ধ করেছে আসিফ আজাদ।

ঢাকার কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের উপ-কমিশনার মহিবুল ইসলাম বলেন, ‘আসিফ আজাদসহ সিরিয়ায় থাকা আরও অনেক বাংলাদেশি ফরেন ফাইটারের সঙ্গে ঢাকায় বসবাসকারী নিলয়ের যোগাযোগ ছিল। দেশের ভেতরেও অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে সে (নিলয়)। আমরা তার মোবাইল ফরেনসিক পরীক্ষা করে অনেক ডাটা উদ্ধার করেছি। এগুলো পর্যায়ক্রমে খতিয়ে দেখে তার সহযোগীদের চিহ্নিত ও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’

ওই কথোপকথনের কিছু নথিপত্র ঘেঁটে দেখা গেছে, বাংলাদেশে থাকা নব্য জেএমবির শীর্ষ  নেতা আকরাম হোসেন নিলয়ও সিরিয়া যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। গত বছরের ২ মার্চ আসিফ আজাদের কাছে পাঠানো একটি বার্তায় নিলয় বলেছে, ‘ভাই, আপনি যে ট্রায়াল দিয়ে গেছেন, ওইটা কল্পনা করার বাইরে। আমি জানি না ভাই, আমি তেমন যোগ্য কিনা। কিন্তু ভাই হাল ছাড়বো না ইনশাল্লাহ। আল্লাহ যতক্ষণ পর্যন্ত জান রাখছেন চেষ্টা করতেই থাকবো দারুস ইসলাম পৌছানোর।’

এক বার্তায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পিস অ্যান্ড কনফ্লিক্ট বিভাগের শিক্ষার্থী আসিফ আজাদ  সিরিয়ায় ঢোকার পর প্রথম যুদ্ধে অংশ নেওয়ার  বর্ণনা দিয়ে বলে, ‘আমরা ৭০০ মুহাজির এবং  একহাজার আনসার নিয়ে নিউ গ্রুপ ক্রিয়েট করি। ইদলিবে নাম দেওয়া হয় লিওয়া আল আকসা। প্ল্যান ছিল আমরা যুদ্ধ করে দাওলার রোড খুলবো। মুরতাদরা রোড ব্লক করে রাখছে। কিন্তু মুরতাদরা আমাদের প্ল্যান জেনে যায় এবং সবদিক থেকে আমাদের ওপর অ্যাটাক শুরু করে। ১৪ ফেব্রুয়ারি আমরাও খুব কাছ থেকে ফাইট করি। আমাদের ওয়ারের নাম ছিল ব্যাটল অফ আত্তামাহ। ৪০ ভাই শহীদ, অনেক ইনজুরড, কিন্তু আমরা প্রায় ৩০০ মুরাতাদিনকে হত্যা করি। ১৭২ জনকে আটক করি, পরে তাদের  হত্যা করি। এরপর মুরতাদরা আমাদের রাস্তা খুলে দেয়।’

বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন সময়ে অন্তত অর্ধশত তরুণ জঙ্গিবাদে যুক্ত হয়ে সিরিয়া গিয়ে আইসিস-এ যোগ দেয়। বিভিন্ন সময়ে অনেক তরুণ যুদ্ধ করতে গিয়ে মারাও গেছে। তবে আসিফ আজাদ নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষার্থীর সিরিয়ায় যাবার তথ্য আগে কারও জানা ছিল না। নিলয়ের মোবাইল ফরেনসিক পরীক্ষার পর বিষয়টি উদ্ঘাটন করেন সিটিটিসি’র কর্মকর্তারা।

সিটিটিসির কর্মকর্তারা বলছেন, ২০১৬ সালের ১ জুলাই হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার পর দুদফায় অন্তত ১৮ ব্যক্তির নাম ও ঠিকানা প্রকাশ করে তাদের ঘরে ফিরে আসার আহ্বান জানানো হয়। এদের মধ্যে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বাসিন্দা দুই ভাই ইব্রাহিম হাসান খান ও জুনায়েদ খানের নামও ছিল, যাদের সঙ্গে আসিফ আজাদের সিরিয়ায় দেখা হয়েছে বলে উল্লেখ রয়েছে ওই কথোপকথনে।

সিরিয়ায় যাওয়ার নিজের  অভিজ্ঞতা শেয়ারের পাশাপাশি আসিফ আজাদ সেখানকার আইসিস-এর পরিস্থিতিসহ নানা বিষয় নিলয়ের সঙ্গে শেয়ার করেছে। ২০১৭ সালের ৫ মার্চে পাঠানো এক বার্তায় আসিফ আজাদ বলে, ‘ভাই, শাম-এ আসার আগে একটা নাসিহ দেই, এখানে লাইফ এনজয় করার ইচ্ছা নিয়ে যদি কেউ আসে, তাইলে পুরা ব্যাম্বু খাবে, কজ অব কন্ডিশন বেশি টাফ, ফাইটারদের আগে ছুটি ছিল, এখন কোনও ছুটিও নাই। ম্যানেজমেন্ট ভেঙে যাচ্ছে, আস্তে আস্তে একদম দুর্বল হয়ে গেছে দাওলা। আই থিংক দাওলাতে এখন কোনও ফ্যামিলি আসাটাই ঠিক না। ওনলি ফাইটার আসা উচিত ভাই। খুব টাফ পরিস্থিতি এখন দাওলা আসলে অনলি একটাই নিয়ত থাকা উচিত- আর সেটা হলো ইসতেহাদি অথবা ইঙ্গিমাসি।’

সিটিটিসির কর্মকর্তারা বলছেন, নিলয় নিজে তার বাবা-মা ও বোনকে নিয়ে সিরিয়াতে চলে যাবার পরিকল্পনা করেছিল। গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে নিলয় এতথ্য স্বীকার করলেও আদালতে সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হয়নি। অবশ্য নিলয়কে গ্রেফতারের আগেই গত বছরের ১১ নভেম্বর রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে তার বাবা আবু তোরাব এবং মা সাদিয়া হোসনা লাকি ও বোন তাজরীন খানম শুভ্রকে গ্রেফতার করে সিটিটিসি।

নিলয়ের সঙ্গে আসিফ আজাদ এবং আকরাম হোসেনের কথোপকথনে ধীরে ধীরে আইসিস-এর কার্যক্রম গুটিয়ে আসা প্রসঙ্গও উঠে এসেছে। আসিফ আজাদ বলেছে, ‘ভাই, দাওলা ইজ  অ্যাট দ্য এন্ড অব দেইর সিস্টেম অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ফাংশন।’ আরেক বার্তায় আসিফ জানায়, ‘ভাই, আসলে দাওলায় আসার আগে আমার নিয়ত ভালো ছিল, বাট কী বলবো- দিন দিন হার্টের অবস্থা খারাপ হচ্ছে। এখন আমার ওয়ারে যাইতে মন চায় না। এটা মোস্ট অব দ্য ভাইদের সঙ্গে  হয়, অ্যাকচুয়ালি হিজরত করার পর ডেভিল যে কিভাবে আপনার সঙ্গে খেলা করবে, ইউ উইল সি। মে আল্লাহ প্রোটেক্ট আস ফর্ম দ্য হুইস্পার অব ডেভিল।’

নিলয়ের কাছে পাঠানো আরেক বার্তায় আসিফ আজাদ বলে, ‘ভাই, আপনাকে নিয়ে এত চিন্তা হয় কী বলি- ভাই, রাক্কায় আমি আপনাকে ভয়াবহ মিস করতেছি ভাই। রোড এত খারাপ যে কী বলবো আপনারে। আমি অনলাইনে থাকবো না। ভাই, হিজরা অফিস ভালো না দাওলার, সো নেভার এক্সপেক্ট ফর্ম হিজরা ডিপার্টমেন্ট ওব দাওলা।’ আরেক বার্তায় হতাশার কথা জানিয়ে আসিফ আজাদ বলেন, ‘এই ছয় মাসে বহু কিছু দেখলাম, আমি এগুলা লিখতেছি আপানার জন্য যেন আপনি স্ট্রং থাকেন। শোনেন আমি শাম-এ ঢুকছি। এক দিনে যেটা কেউ করতে পারে নাই। কিন্তু দাওলায় আসলাম কখন? সিক্স মান্থ আফটার এ হিউজ ওয়ার অ্যান্ড এ লট অব ব্লুাড অ্যান্ড হার্ডশিপ অ্যান্ড ট্রায়ালস।’

আজাদ তার বার্তায় বলে, ‘...এমন সিচুয়েশন হয়ে যায় অনেক টাইমে যে ইচ্ছা হয় এখনই চলে যাই, কিন্তু একটু সবুর জাস্ট অনেক অনেক ট্রায়াল আসবে অনেক কষ্ট হবে। ...ভাই, আমার লাইফে নিজের চোখে দেখতেছি তাই এগুলা বলতেছি। অনেককেই দেখছি চলে যাচ্ছে নিজের দেশে, হাল ছেড়ে দিছে অনেক তাওয়াকুল ওয়ালা ভাই। অনেক বড় মামুরা ছিল বাট সহ্য না করতে পেরে চলে গেছে...। ..বি হোপফুল, তার্কি আসেন। দেন ইদলিব, দেন একটা না একটা ব্যবস্থা হবেই। এখন অনেকটাই ফ্রি হইছে রোড বিকজ ম্যাক্সিমাম চলে আসছে দাওলাতে।’

নিলয়কে সিরিয়া যাবার কথা বলে আরেক বার্তায় আসিফ বলে, ‘ভাই মাথায় রাখেন রোড টু দাওলা শাম ব্রাঞ্চ কুড টেক ইউ টু সিজ্জিন, ক্যাপ্টিভিটি, বিং কিলড, ইনজুরি অথবা ৬ থেকে ৮ মান্থস অব আইডল সিটিং ওর ওয়েটিং মাকার। ...আঁখি, নাউ আই ওয়ান্ট টু ক্লিয়ার এবাউট দিজ, টিল নাউ ইউ আর ইন ইন্ডিয়া। সো টেক ইওর ডিসিশন ইফ ওয়ান্ট শাম বি প্রিপেয়ার ফর দিস ট্রায়াল। ... আই হ্যাভ টোল্ড ইউ এভব বাট অলওয়েজ প্রে টু আল্লাহ অ্যান্ড নট টু পুট ইউ ইন ট্রায়াল বাই দ্য ওয়ে ৬-৮ মান্থ ওয়েটিং, জেইলড, ইনজুরি এগুলা মোস্ট কমন ৯৯%। এগুলা বা এর যে  কোনও একটা ফেস করতে হইছে টু গেট ইনটু দাওলা।’

আজাদ তার বার্তায় বলছে, ‘শাম এ আসার ট্রাই করেন এটা খালি খালি বেস্ট না। ইভেন খোরাসান, ইন্দোনেশিয়া, সিনাই থেকে প্রচুর ভাইরা আসে। সো বুঝেন। বাট ওয়ে ঠিকমতো বুঝে আগান ভাইয়া। আসলে আমার বিগ নেটওয়ার্ক ছিল লিউয়া আল আকসাতে, অ্যাজ আই ওয়াজ ওয়ান অব দ্য...।’
এসব বার্তার প্রত্যুত্তরে আকরাম হোসেন নিলয় বলেছে, ‘অনেক মোটিভেটেড হইছি ভাই আপনার কথায়। ভাই, আজকে আমার পাসপোর্ট এর জন্য ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে আসলাম। ইনশাল্লাহ, ১৫ দিনের মধ্যে পেয়ে যাবো। ভাই মনে আছে, আপনি যখন গেছিলেন তখন খোরাসান যাবেন নাকি শাম আসবেন বুঝতেছিলেন না। ভাই, আমারো সেম সিচুয়েশন হচ্ছে। আমিও শাম আসার জন্য পাগল হয়ে যাচ্ছি। ভাই, আমি যদি ইজি রুট খোরাসান বাদ দিয়ে হার্ড রুট শাম চুজ করি, আল্লাহ কি আমার ওপর নারাজ হবেন? শাম আসতে খুব মন চায় ভাই। ভাই, আমি দুই তারিখ ভিসা নিয়ে রাখবো ইনশাল্লাহ। আমি আপনার সঙ্গে কথা বলেই আগাবো। ভাই, জীবনে অনেক তাড়াহুড়া করেছি, এখন ঠাণ্ডা মাথায় তাওয়াকুল করে আগাতে হবে। ভাই, দুয়া কইরেন আমার জন্য।’
কে এই আসিফ আজাদ?

ঢাকার ধানমন্ডির বাসিন্দা আসিফ আজাদের বাবার নাম নজরুল ইসলাম। তিনি সমাজসেবা অধিদফতরের কর্মকর্তা। মায়ের নাম রওশন আরা বেগম। দুই ভাইবোনের মধ্যে আসিফ ছিল বড়। তাদের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের গফরগাঁও থানাধীন পাগলাবাজার বালিপাড়ায়। ঢাকার ধানমন্ডির ১ নম্বর সড়কের ৩১ নম্বর বাসার চতুর্থ তলায় পরিবারের সঙ্গে থাকতো সে। ধানমন্ডির গর্ভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুল থেকে ২০১২ সালে এসএসসি ও ঢাকা কলেজ থেকে ২০১৪ সালে এইচএসসি সম্পন্ন করে ভর্তি হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, পিস অ্যান্ড কনফ্লিক্ট বিভাগে।

আসিফ আজাদের বাবা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ঘুণাক্ষরেও টের পাইনি যে, আসিফ এভাবে তুরস্ক হয়ে সিরিয়া চলে যাবে। ও ইরানের তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা সেমিনারে যোগ দেওয়ার জন্য গিয়েছিল। সেখান থেকে তুরস্কে যায়। ইস্তাম্বুলের বিলগি ইউনিভার্সিটিতে তার কম্পিউটার সায়েন্সে ভর্তি হবার কথা ছিল। আমি ২০১৬ সালের ৭ সেপ্টেম্বর ইউনিভার্সিটি বরাবর টিউশন ফি হিসেবে আড়াই লাখ টাকাও পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু এর কিছুদিন পর থেকেই তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।’

কান্নাজড়িত কণ্ঠে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আসিফ আমাদের বলেছিল, ও যদি সুযোগ পায় তাহলে ইউরোপে যাবার চেষ্টা করবে। ইতালিতে ওর মামারা থাকে। ওর সঙ্গে যখন যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেল, তখন আমরা ভেবেছি যে, ও জাহাজে করে ইউরোপে ঢোকার চেষ্টা করেছিল মনে হয়। আমরা ভেবেছিলাম ও হয়তো আর বেঁচে নেই। এজন্য থানা পুলিশের কাছে গিয়ে জিডিও করিনি।’

আসিফের বাবা বলেন, ‘বাসায় থাকতে কখনও মনে হয়নি ও জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়েছে। সেরকম কোনও লক্ষণও দেখিনি। সাধারণ মুসলিম পরিবারের মতো নামাজ-কালাম পড়তো। ইসলাম নিয়ে কট্টর ছিল না। কিন্তু কীভাবে কী হয়ে গেল আমরা বুঝতেই পারিনি।’

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!