• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আমি তাকে অভিভাবক মানতাম


বিনোদন প্রতিবেদক ডিসেম্বর ১৮, ২০১৮, ০১:২৯ পিএম
আমি তাকে অভিভাবক মানতাম

ঢাকা : অপু বিশ্বাস। চিত্রনায়িকা। সম্প্রতি হায়দরাবাদে অনুষ্ঠিত ‘তেলেঙ্গানা বাংলা চলচ্চিত্র উৎসব— আয়না ২০১৮’তে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে দেশে ফিরেছেন তিনি। উৎসবে দুই বাংলা মৈত্রী পুরস্কারেও ভূষিত হয়েছেন এই অভিনেত্রী। চলচ্চিত্র ও বর্তমান ব্যস্ততা প্রসঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।

অপু বিশ্বাস : ভারত সফর কেমন ছিল?

বিগত বছরের তুলনায় এবার সফরটি ছিল অন্যরকম। কারণ এবার ‘তেলেঙ্গানা বাংলা চলচ্চিত্র উৎসব—আয়না ২০১৮’তে আমি বাংলাদেশের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে অংশ নিয়েছি। তাছাড়া উৎসবে বাংলাদেশ থেকে আমাকে এবং কলকাতা থেকে জনপ্রিয় অভিনেতা দেবকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। সব মিলিয়ে এবার সফরের ভালোলাগা ছিল অনেক বেশি।

অপু বিশ্বাস : পরিবারের সঙ্গে তো সেখানে ঘুরতেও গিয়েছিলেন?

হ্যাঁ। আসলে, কাজের ব্যস্ততার কারণে পরিবারের সবার সঙ্গে সময় দেওয়া হয় না। তাই এ সুযোগটা কাজে লাগিয়েছি। তিনদিনের এই উৎসব ৭ ডিসেম্বর শুরু হয়। উৎসবে দুদিন অংশ নিয়ে ৯ ডিসেম্বর পরিবারের সবাইকে নিয়ে শিলিগুড়ি ঘুরতে গিয়েছিলাম। সবাই মিলে দারুণ মজা করেছি।

অপু বিশ্বাস : আপনি তো সদ্য প্রয়াত নির্মাতা আমজাদ হোসেনের ছবির মধ্য দিয়ে রূপালি ভুবনে পা রাখেন। গুণী এই নির্মাতার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ কীভাবে হলো?

আমি তখন নবম শ্রেণীর ছাত্রী। বগুড়ায় থাকি, তখন নাচ করতাম। ওইখানে আমাদের থিয়েটার করাতেন মিনু মামা। আহসানুল হক মিনু, আমি তাকে মামা বলে ডাকি। আমজাদ আংকেলের (আমজাদ হোসেন) সঙ্গে তার ভালো পরিচয়। আংকেল মিনু মামাকে বলেছিল, তার ‘কাল সকালে’ সিনেমার জন্য একটা নতুন মুখ দরকার। যার চেহারার মধ্যে হিন্দু বা ইন্ডিয়ানের ছাপটা বোঝা যায়। ঠিক ওই সময়ে আমি লাক্সের জন্য একটি ফটোসেশন করেছিলাম।

ওই ছবিগুলো মামাকে দেওয়া হয়েছিল। একদিন মামা আমাকে জানালেন, ছবিগুলো আমজাদ আংকেল খুব পছন্দ করেছেন, শাবনূরের বান্ধবীর চরিত্রে অভিনয় জন্য। সময়টা তখন ছিল সম্ভবত ২০০৬ সালের ডিসেম্বর। পরীক্ষা শেষ, পড়াশোনার ব্যস্ততাও কম। মায়েরও খুব ইচ্ছে ছিল ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ সিনেমার নির্মাতাকে দেখার। তাই মা সম্মতি দিলো। মা, আমি আর মিনু মামা, আমরা তিনজন মিলে ঢাকায় আসি। পূবাইলে তিনদিন ‘কাল সকালে’ সিনেমার শুটিং করি।

অপু বিশ্বাস : তার সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?

আমজাদ আংকেল আমার বাবার মতো ছিল। তিনিও আমাকে ভীষণ ভালোবাসতেন। আংকেলের সঙ্গে আমার খুব বেশি কাজ করা হয়নি। তবে তিনি যে গুণী শিল্পীদের একজন, এটা নিঃসন্দেহে বলা যায়। তার কাজ করার ধরন, কাজের মান, শিল্পীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক সবার কাছেই ছিল প্রশংসিত। ‘কাল সকালে’ সিনেমার শুটিংয়ের সময় আমজাদ আংকেল আমাকে বলেছিলেন, ‘তুই অনেক বড় হতে পারবি।’ আমি তাকে অভিভাবক হিসেবে মানতাম। আমি যখন ‘কোটি টাকার কাবিন’ সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাব পাই, তখন আংকেলকে ফোন করে বিষয়টি জানাই। তার আর্শীবাদ নিয়ে কাজ শুরু করি।

অপু বিশ্বাস : নতুন কাজের খবর বলুন।

নতুন কয়েকটি সিনেমায় কাজ করার কথা চলছে। তবে এখনও চূড়ান্ত কিছু না। এর মধ্যে দেবাশীষ বিশ্বাসের ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ ২’ সিনেমার শুটিং শেষ করলাম। তাছাড়ার কলকাতার সিনেমা ‘শর্টকাট’-এর কাজও শেষ হয়েছে কিছুদিন আগে। সম্প্রতি নতুন একটি বিজ্ঞাপনের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছি। শিগগিরই বিজ্ঞাপনের শুটিং শুরু করব।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!