• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

‘আমি নেতা না, শুধুই অভিনেতা’


বিনোদন প্রতিবেদক নভেম্বর ১৪, ২০১৮, ০২:৩৫ পিএম
‘আমি নেতা না, শুধুই অভিনেতা’

শাকিব খান

ঢাকা:  আমি এখনই নির্বাচন করার কথা ভাবিনি। রাজনীতির উপরের মহলে আমার অনেক ঘনিষ্ঠ বন্ধুবান্ধব আছে। তারা আমাকে নির্বাচনে অংশ নিতে অনেক জোর করেছে। নমিনেশন পেপার নিয়ে আসতে চেয়েছে। আমি বলেছি না, এখনই নয়, আমাদের চলচ্চিত্র জগতের অবস্থা ভালো নয়, এখন আমার দরকার কীভাবে চলচ্চিত্রের উন্নয়ন করা যায়, সেই চিন্তা করা। 

চলচ্চিত্রের মানুষদের তো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেখছেন, সহযোগিতা করছেন। আমি যদি নির্বাচন করতে চাইতাম অনেক আগেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে তাকে সালাম করে রাজনীতিতে চলে আসতাম। সময় তো ফুরিয়ে যায়নি। চলচ্চিত্রের পূর্ণতা দিয়ে পরে না হয় রাজনীতি আর নির্বাচন নিয়ে ভাবব। সবাই যদি এখন নেতা হয়ে যাই তাহলে অভিনেতা হবে কে ? আমি আপাতত নেতা না, শুধুই অভিনেতা। নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে এভাবেই বলেছেন সুপারস্টার শাকিব খান

শুনেছি চলচ্চিত্রের অনেকেই নির্বাচন করছেন। সবার জন্য আমার শুভ কামনা রইল। সবার কাছে অনুরোধ দেশ, মানুষ ও চলচ্চিত্র, শিল্প, সংস্কৃতির উন্নয়নে আপনারা সত্যিকার অর্থে কাজ করবেন। যেসব দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে সবার কাছে অনুরোধ, আপনাদের নির্বাচনী ইশতেহারে চলচ্চিত্র সেক্টরের উন্নয়নের বিষয়টি দয়া করে অন্তর্ভুক্ত করুন। নির্বাচিত সরকার যেন ৬৪টি জেলায় কমপক্ষে ৬৪টি মাল্টিপ্লেক্স গড়ে দেন। চলচ্চিত্র হচ্ছে একটি দেশের প্রধান গণমাধ্যম। এটি হলো দেশ, সমাজ ও পরিবারকে ইতিবাচক পথে এগিয়ে নেওয়ার অন্যতম হাতিয়ার।

 ইয়ং জেনারেশনকে যদি ভালো ছবি দিয়ে কয়েক ঘণ্টা সিনেমা হলে ধরে রাখা যায় তাহলে তারা মাদকসহ নানা নেতিবাচক কাজ থেকে দূরে থাকবে। প্রতিটি ছেলেমেয়ে নিজেকে সমাজের নায়ক-নায়িকা ভাবে। একটি ভালো ছবির ভালো চরিত্র তাকে তার স্বপ্ন পূরণে উদ্বুদ্ধ করতে পারে। হলিউডের ‘অ্যাভেটার’-এর মতো বিখ্যাত ছবিতে ভালো আর মন্দ চরিত্র ছিল। যা দেখে ইয়ং জেনারেশন ভালো কাজ করার অনুপ্রেরণা পেয়েছে। 

বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রতিটি দেশে এমন অনুকরণীয় কল্যাণকর পথ দেখানোর গল্প নিয়ে অনেক ছবি নির্মাণ হয়েছে। যা যুবসমাজকে ভালো পথে এগোতে সহায়তা করেছে। এমন ছবি নির্মাণ আমরা করব। সরকার শুধু মাল্টিপ্লেক্স নির্মাণসহ চলচ্চিত্রের উন্নয়নে সার্বিক পদক্ষেপ নেবেন। আর এই পদক্ষেপে অন্তর্ভুক্ত করবেন যারা বর্তমানে কাজ করছেন তাদের। যারা কাজ করছেন না বা চলচ্চিত্রের কেউ নয় তাদের নিয়ে প্রকল্প তৈরি করলে তা যথাযথ হবে না এবং এতে চলচ্চিত্রের কোনো উন্নয়নও হবে না।

চলচ্চিত্রের সবাইকে নিয়ে সরকারি সহযোগিতায় এই অবস্থান মাত্র দুই বছরে সুদৃঢ় করতে চাই। যুবসমাজ, দেশ, পরিবার আর সমাজের উন্নয়নে ভালো ছবির বিকল্প নেই। এখন চলচ্চিত্রে অশ্লীলতা নেই। আর চলচ্চিত্রের এই সুস্থ ও সুন্দর সময়ের উন্নয়নে চলচ্চিত্রের মানুষকে ঐক্যবদ্ধভাবে ভূমিকা রাখতে হবে।


সোনালীনিউজ/বিএইচ

Wordbridge School
Link copied!